আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সকলে আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। সকলের জন্য শুভকামনা জানিয়ে আজকের আলোচনা শুরু করছি।
আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের কিভাবে পরীক্ষার শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি নেয়া উচিত, কি করলে বেশি কমন থাকতে পারে তা নিয়ে।
আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
আমরা বাঙ্গালী আমাদের মাঝে এমন একটি স্বভাব আছে যেটা কিনা আমরা সব সময় করে থাকি। পরীক্ষা আসার আগে থেকে পড়ালেখা না করে, আমরা পরীক্ষায় ভালো ফলাফল আশা করি।
যারা যারা আগে থেকে অনেক পড়ালেখা করেছেন তাদের জন্য রইল শুভকামনা আপনারা পরীক্ষায় ভালো করুন সেটাই প্রত্যাশা করি। আর যারা পড়ালেখা না করে পরীক্ষার আগেই বুঝতেছেন না কি করবেন না করবেন আজকের পোস্ট শুধুমাত্র তাদের জন্য। বাকিরা এড়িয়ে করে যেতে পারে।
পরীক্ষার আর দুই দিন বাকি এই মুহূর্তে আপনারা হয়তোবা মাথার মধ্যে অনেক বোঝা নিয়ে আছেন কখন শেষ করবেন এত পড়া কিভাবে করবেন মাথা হয়তো বা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কারো কারো কেউ হয়তো ভাবতেছে শুধু পাশ করলেই চলবে আর কিছু লাগবে না অনেক কিছু। আপনারা যদি কম সময়ের ভিতরে বেশি কিছু করতে চান তাহলে এমনটা করে দেখতে পারেন।
প্রথমেই আপনি মাথায় রাখবেন যে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি গুলোতে প্রশ্ন রিপিট করা হয় অর্থাৎ আগে যে প্রশ্নগুলো এসেছিল সেই প্রশ্নগুলো আবার নতুন করে আপনাদের এখনকার এক্সামে দিয়ে দেয়া হয়। তবে সব না ১০% এর মত থাকতে পারে।
এখন কথা হচ্ছে আপনি কোন সালের প্রশ্নগুলো বেশি পড়বেন?
২০১৪ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত যেই প্রশ্নগুলো বোর্ড এক্সামে এসেছিল সেগুলোর দিক বেশি নজর দিন।
আপনারা খেয়াল করলে দেখতে পারবেন যে ২০১৪ সালের প্রশ্ন ২০১৭ সালের এক্সাম এসেছিল আবার ২০১৫ সালের এক্সামের প্রশ্ন ২০১৬ সালে এসেছিল এমন কিছু হয় প্রায় সময়ই ঘটে থাকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে।
মূলত দুইদিন পড়ালেখা করে তো তেমন কিছু পার্থক্য হবে না তবুও আশা করি যে আপনাদের আগে থেকে একটু ভালো হলেও হতে পারে। আমার এই পোস্ট আপনাকে কতটুকু সাহায্য করবে তা আপনি পরীক্ষা দেয়ার পরেই বুঝতে পারবেন।
নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলতেছি যে, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিগুলোতে আগের প্রশ্ন ১০% হলেও পুনরায় ভবিষ্যতের এক্সামগুলোতে দেয়া হয়ে থাকে। এটা ফলো করলে যে আপনার এক্সামে খুব ভালো রেজাল্ট হয়ে যাবে এমন না তবে আগের খারাপের থেকে একটু হলেও ভালো হবে।
কোন কিছু মুখস্ত করার হলে অবশ্যই সকালে ঘুম থেকে উঠে করবেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে।
আর রিভাইস দেয়ার জন্য রাতের সময়টুকু বেছে নিবেন।
আর একটা কথা মাথায় রাখবেন, আপনি পারবেন সেটা বিশ্বাস করবেন। কেননা আপনি যতক্ষণ নিজে বিশ্বাস রাখবেন না ততক্ষণ নিজে কিছু করতেও পারবেন না। তোর নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে শিখুন।
আর যাদের কাছে পরীক্ষার রুটিন নাই শুধুমাত্র তাদের জন্য রুটিনটি দিয়ে দিচ্ছি:-
আর আপনার বইয়ে যদি দশটি অধ্যায় থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই অন্ততপক্ষে পাঁচ থেকে ছয়টি অধ্যায় শেষ করুন।
আর সকলের উদ্দেশ্যে একটি কথা, আপনারা অন্য কিছুর পিছনে আপনার মূল্যবান সময় না ব্যয় করে একটু হলেও পড়ালেখা মুখি হন। কেননা আপনার ফ্যামিলির অবস্থা যখন খারাপ হবে তখন অবশ্যই আপনাকে আপনার ফ্যামিলির দায়িত্ব নিতে হবে। আপনি যদি এখন থেকেই ফাঁকি দিয়ে দিয়ে ভবিষ্যতে যান, পরে গিয়ে বুঝতে পারবেন যে, আপনার যখন কোন জব হবে না বা কোন কিছু হবে না কোথাও জব খুঁজে পাবেন না সত্যি বলতে তখন আপনাদের বুঝতে অনেক দেরি হয়ে যাবে তো সময় থাকতেই সকলেই সাবধান হয়ে যান।
আপনাদের সবারই বোঝার মত জ্ঞান আল্লাহ নিশ্চয়ই দিয়েছেন। আশা করি সকলে বুঝতে পারবেন নিজের জীবন নিজেকেই গড়তে হয়। আপনার বাবা আপনার মা আপনার জন্য সারা জীবন অনেক কিছুই করে যায়। এখন দায়িত্ব নিজের উপর নিয়ে শিখুন বাবা আমাকে একটু রেস্ট করার সুযোগ করে দিন।
সকালে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, নিজের এবং পরিবারের যত্ন নিবেন, যদি পারেন আশেপাশে থাকা গরিব অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াবেন।
আল্লাহ হাফেজ।