আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সকলে অনেক ভাল আছেন। আজ আমি আপনাদের মাঝে ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে তা তুলে ধরব। চলুন বেশি কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
এনালগ ক্যামেরা:
ক্যামেরার ভিতর এমনভাবে তৈরি যেন ল্যান্স বাদ দিয়ে, কোনোরকম আলো না আসতে পারে। ল্যান্সের ভেতরে যখন আলো প্রবেশ করে তখন ই ক্যামেরার ভিতর একটি উল্টো, সরল প্রতিবিম্ব গঠন করে। প্রতিবিম্ব গঠনের স্থানটিতে থাকে ক্যামেরার ফিল্ম। এটি সেলুলয়েডের অথবা প্লাস্টিকের তৈরি।
এর গায়ে সিলভার হ্যালাইডের প্রলেপ দেয়া থাকে। সিলভার হ্যালাইড আলোর সাথে বিক্রিয়া ঘটায়। এর পরিমান আলোর কম বেশি এর সাথে সাথে উঠা নামা করে। আলো বেশি হলে বেশি বিক্রিয়া, এবং কম হলে কম বিক্রিয়া।
এছাড়া বাইরে থেকে অতিরিক্ত আলো আসার কোনো সুযোগ নেই। কেননা এটি আলোকরুদ্ধ প্রক্রিয়া। এই সূত্র অনুযায়ী ই অবিকল ছবি তৈরি করে একটি ক্যামেরা। কিন্তু এটিই শেষ না, হাইপো নামের একধরনের রাসায়নিক দ্রবনে এই ফিল্মকে ধুয়ে নিতে হয়।
ক্যামেরার যেখানে বিক্রিয়া ঘটেছিল সেখানের “সিলভার হ্যালাইড” হাইপো দ্রবনের প্রভাবে উঠে যায়। এবং একটি নেগেটিভ কপি পাওয়া যায়। এই নেগেটিভ থেকে কিভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ ছবি আসে? উত্তর হলো, এই নেগেটিভের মধ্যে আলো প্রবেশ করিয়ে দেয়া হয়। এর ফলে বিক্রিয়ার স্থানে আলো প্রবেশ করে এবং বিশেষ প্রক্রিয়ায় ছবিটি প্রিন্টেড হয়।
ডিজিটাল ক্যামেরা:
এবার আসা যাক ডিজিটাল ক্যামেরার কথায়। এখানে নেই ফিল্মের ঝামেলা। এই ক্যামেরা গুলোতে ডট মেট্রিক পদ্ধতিতে তৈরি করা একটি সোলার সিস্টেম থাকে। এই সোলার সিস্টেম এর উপর আলো পড়লে বিদুৎ উৎপন্ন হয়। এই বিদুৎ হলো কম্পনমান বিদুৎ।
তখন ক্যামেরা এই বিদুৎ এর কম্পন মানকে গননা করে এনকোডার নামক স্থানে প্রেরণ করে এবং এটি সাথে সাথে এই মানকে বাইনারি মানে পরিণত করে (কম্পিউটার শুধু বাইনারি মানে ০ এবং ১ বুঝে। বাইনারি নিয়ে অন্য কোন দিন আলোচনা হবে) এবং এপ্লিফাই করে সংরক্ষণ করে থাকে। পরে ফটো ফরম্যাট করা হয় যেমন jpg/png/jpeg ইত্যাদি ফরম্যাটে। পরে এই ফাইলগুলো ওপেন করলে দেখা যাবে হুবহু আমাদের তোলা ছবিটি।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন ,আল্লাহ হাফেজ।