দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন প্রকার ইলেক্ট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকি যেমন টিভি, ফ্রিজ, এসি, কম্পিউটার, আই পি এস ইত্যাদি। এসব যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুৎ প্রবেশ করাতে ৩ পিনের প্লাগ বেশি ব্যবহার হয় ।
এগুলো L (Live), N (Neutral) এবং, E (Earthing) হিসাবে কাজ করে। প্লাগের গায়ে ৩ টি পিনের নাম আলাদা আলাদা করে লেখা থাকে বা L,N,E সংকেত দেয়া থাকে।
রংঃ তার গুলো আলাদা আলাদা রং’য়ের হয়ে থাকে যেন সহজেই চিহ্নিত করা যায়।
যেমনঃ
- আর্থ তারের রং সবুজ / সবুজ-হলুদ মিশ্রিত রং এর হয়।
- লাইভ তারের রং হয় বাদামী / লাল।
- নিউট্রাল তারের রং হয় নীল / কালো।
সবচেয়ে মোটা এবং লম্বা পিনটির নাম আর্থপিন। যেহেতু যন্ত্রের মধ্যে শক্তির রুপান্তর ঘটে ফলে কিছু শক্তি লিকেজ হয়, এই লিকেজ শক্তি আর্থ পিন দিয়ে মাটিতে চলে যায়।এজন্য একে গ্রাউন্ড পিন ও বলা হয়। এই পিন বা তার স্পর্শ করলে আপনাকে শক দিবেনা।
এবার আসি এটি অন্য দুটির চেয়ে মোটা কেনো থাকে?
- বাকি দুটি পিনের সাথে এই পিনটির পার্থক্য সহজে বুঝতে পারার জন্য এই পিনটি অপেক্ষাকৃত মোটা হয়ে থাকে।
- যেহেতু ৩টি পিন একটি ত্রিভুজাকৃতি ধারণ করে তাই তিনটি পিন-ই একই আকৃতির হলে কেউ ভুল করে এদিক সেদিক ঘুরিয়ে প্লাগ ইন করে ফেলতে পারে এতে মারাত্নক দুর্ঘটনা ঘটবে।
আর্থ পিন কেন লম্বা থাকে?
- একটি কারন হলো যখন আপনি প্লাগটি সকেটে ঢুকাবেন তখন যেন আর্থ পিনটি সবার আগে সংযোগ পায় সকেটের আর্থ পোর্টের সাথে, আবার যখন খুলবেন তখন যেনো সবার শেষে আর্থ পিনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। ফলে জমে থাকা স্থির তড়িৎ সহজেই মাটিতে চলে যায়। এই প্রক্রিয়াটি অনাকাঙ্ক্ষিত বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা থেকে আপনার ব্যবহৃত যন্ত্রের নিরাপত্তা প্রদান করে।
অনেকেরই কম্পিউটার এর সিপিউ বা বিভিন্ন বৈদ্যুতিক জিনিসের ধাতব অংশ স্পর্শ করলে হালকা শক দেয়। এর কারন হতে পারে আপনি ৩ পিনের প্লাগ এবং সকেট ব্যবহার করেন না অথবা করলেও ওই স্থানে আর্থিং কানেকশনটি নেই।
এবার আসি বাকি দুইটি পিনের কাজ নিয়ে, এদের একটি হলো লাইভ অন্যটি নিউট্রাল ।
লাইভঃ এই পিন বা পিনের সাথে সংযুক্ত সকেট বা তারে বিদ্যুৎ থাকে। টেস্টার দিয়ে টেস্ট করার সময় ও আমরা লাইভ-কেই টেস্ট করে দেখি যে টেস্টারে বাতি জ্বলছে কিনা কারন দুটি বা তিনটি তারের মধ্যে এই একটি তারের মধ্যেই বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। আবার যখন আমরা শক খাই তখন আমরা আমাদের শরীরের মাধ্যমে লাইভ পিন বা তারকে গ্রাউন্ড এর সাথে যুক্ত করে বর্তনী পূর্ন করি। ফলে উচ্চবিভব এবং নিম্নবিভবের সৃষ্টি হয় এবং ইলেকট্রন প্রবাহিত হয়। সহজভাবে বললে কারেন্ট উৎস থেকে লাইভ তারের মাধ্যমে আমাদের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে আসে।
নিউট্রালঃ এর কাজ হলো উৎস থেকে আসা কারেন্ট কে বর্তনী তথা আপনার বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ঘুরিয়ে আবার উৎসে প্রেরণ করে বর্তনী সম্পন্ন করা। নিউট্রাল পিন বা তারটি স্পর্শ করতে পারবেন শক না খেয়েই।
লাইভ এবং নিউট্রাল মিলে যখন একটি বর্তনী সম্পন্ন করে তখন সেখানে বিভব-পার্থক্য সৃষ্টি হয় যা ইলেকট্রন প্রবাহ করায় এবং এভাবেই আমাদের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি গুলো কাজ করে।
সবশেষে একটি টিপসঃ আপনার আর্থিং সিস্টেমটি কাজ করছে কিনা কিভাবে বুঝবেন? (বাসা-বাড়ির ক্ষেত্রে)
এটা পরীক্ষা করার জন্য আপনার একটি ভোল্ট / মাল্টি-মিটার লাগবে। প্রথমে মিটারটি এসি কারেন্ট এ সেট করুন। রেঞ্জ থাকলে ২৫০+ ভোল্ট দিন। এরপর মিটারের একটি প্রোব সকেটের লাইভ এ সংযুক্ত করুন অন্যটি নিউট্রালে । মিটারে আপনি সে লাইনের বর্তমান ভোল্টেজ দেখতে পাবেন। এবার লাইভ এর প্রোব টি লাগানো অবস্থায় নিউট্রালের প্রোব টি খুলে গ্রাউন্ড/আর্থ পিনে লাগিয়ে দিন।
এখন আপনি যদি একটু আগে প্রাপ্ত ভোল্টেজ এর সমান কিংবা কিছুটা কম ভোল্টেজ দেখতে পান তাহলে বুঝবেন ভালো আর্থিং করা আছে। যদি শূন্য দেখায় তাহলে বুঝবেন আর্থিং করা নেই আর যদি অর্ধেক বা আরো কম দেখায় তাহলে বুঝবেন আর্থিং আছে কিন্তু তা খুবই দুর্বল। পরিপূর্ন আর্থিং না থাকলে ৩পিন ব্যবহার করেও এর কোনো সুবিধা পাবেন না, দুই পিনের প্লাগের মতোই কাজ করবে।
যদি পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে আমার সাইটটি ঘুরে দেখুন একবার ☞ hmvai.com
ধন্যবাদ ৷
মানসম্মত পোস্ট করেন, আপনার পোস্ট এপ্রুভ করা হবে।
তবে মানসম্মত হতে হবে সপুর্ন নিজের লেখা পোস্ট হতে হবে ৷ যে পোস্ট গুলা লিখেছেন সেগুলা আগে ট্রিকবিডিতে আছে কিনা তা দেখতে হবে ৷ যদি না থাকে তাহলে Done হবে ৷
আর কোন প্রশ্ন থাকলে বলতে পারেন ৷
Do not do such stupidity since the next time।।
সব পোস্ট দেখুন ভালো করে তারপর কমেন্টস করুন যে সুত্র লেখিনা এইটা ভুল ধারনা ৷
(Your Ex. আপনি ক্লাস ফাইভে পড়েন ৷ প্রতিদিন মায়ের কাছ থেকে ১০ টাকা করে নেন এবং টাকা দিয়ে কিছু কিনে খেলেন, সেখানে বলেন না যে টাকা আমার মা দিয়েছে ৷ বড়ং বলেন দুইটা রুটি দেন এই নেন আমার টাকা ৷
এখন প্রশ্নঃ মা কোথায় টাকা পেল?
দয়াকরে উওর টা দিবেন)
কোয়ারার আগে ঐ পোস্ট গুলা wikipedia বা বিভিন্ন সাইট/ব্লগে আছে যাস্ট ট্রান্সলেট করা বুঝেছেন ৷
আপনার সঠিক উওর যদি না পেয়ে থাকেন তাহলে আবার প্রশ্ন করতে পারেন ৷