সাত দিন
হলো ফেসবুকসহ
ইন্টারনেটে
সামাজিক
যোগাযোগের সব
মাধ্যম বন্ধ।
বাংলাদেশের
ব্যবসা-বাণিজ্য
এখনো পুরোপুরি
অনলাইন ভিত্তিক
না হলেও এর ফলে
উদীয়মান কিছু
ব্যবসা বিশেষ করে
ই-কমার্স
সাইটগুলো বড়
ধরনের লোকসানের
মুখে পড়েছে। এই
পরিস্থিতি
দীর্ঘস্থায়ী হলে
সাইট
পরিচালনাকারীদের
খরচ বাড়বে, ফলে
বাড়বে পণ্যের দাম।
সর্বোপরী দেশের
অর্থনীতিতেও এর
বিরূপ প্রভাব পড়বে
বলে মনে করছেন
সংশ্লিষ্টরা।
সরকারের
ভিশন-২০২১
বাস্তবায়নও
বিলম্বিত হবে।
২০০৭ সালের আগেও
মানুষ ফেসবুকের
সঙ্গে তেমন
পরিচিত ছিল না।
২০০৭ থেকে ২০১০
পর্যন্ত হাতে গোনা
মানুষের ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট ছিল।
কিন্তু ইন্টারনেট
সহজলভ্য হওয়ার
সাথে সাথে
প্রত্যন্ত গ্রামেও
পৌঁছে গেছে
সামাজিক
যোগাযোগের এ
মাধ্যম। সব বয়সের
মানুষ এখন এটি
ব্যবহার করে।
‘ডিজিটাল
বাংলাদেশে’
ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট না
থাকাটা রীতিমতো
লজ্জার ব্যাপার।
শুধু তা-ই নয়,
সাধারণ মানুষের
কাছে ইন্টারনেট
আর ফেসবুক প্রায়
সমার্থক হয়ে
উঠেছে। এ কারণে
দেশের অনলাইন
গণমাধ্যম, ই-
কমার্স সাইটসহ
বাণিজ্যিক
ওয়েবসাইটগুলো
অনেকটাই ফেসবুক
নির্ভর হয়ে
পড়েছে। বিশেষ
করে তরুণ-তরুণীরা
যারা ইন্টারনেট
ব্যবহারকারী
সংখ্যাগরিষ্ঠ
এজগ্রুপ তারা
সরাসরি খুব কম
ওয়েবসাইটেই
প্রবেশ করে,
হালনাগাদ খবরগুলো

ফেসবুকে
নিউজফিডেই দেখে
নিতে চায়। এ
কারণে
ওয়েবসাইটগুলোর
ফেসবুক পেজ না
থাকলে ভিজিটর
পাওয়া যায়
অতিনগণ্য।
এমনকি অনেক ই-
কমার্স সাইট আছে
যেগুলো পুরোপুরি
ফেসবুক নির্ভর।
এরা নামেমাত্র
একটি ওয়েবসাইট
চালায়। পণ্যের
বিজ্ঞাপন,
বেচাকেনা
সবকিছুই চলে
ফেসবুকে। অনেকে
আবার ফেসবুক
অনলাইন স্টোর
চালু করে ঘরে
বসেই ব্যবসায়ী
বনে গেছেন!
কিন্তু হঠাৎ করে
সরকার ফেসবুক
বন্ধ করে দেয়ায়
ওইসব ব্যবসায়ী
পড়েছেন বিপাকে।
নিরাপত্তার
স্বার্থে গত ১৮
নভেম্বর থেকে
ফেসবুকসহ
সামাজিক
যোগাযোগের সব
মাধ্যম বন্ধ করে
দেয় সরকার। ফলে
হুমকির মুখে পড়েছে
ই-কমার্স খাত।
অথচ ডিজিটাল
সরকারের এটি
অন্যতম অগ্রাধিক
খাত।
ই-কমার্স সাইট
এসো ডটকমের
স্বত্বাধিকারী
দিদারুল আলম
সানী বলেন,
‘ফেসবুক বন্ধ
হওয়ার কারণে
আমরা পুরাতন
গ্রাহক তো
হারাচ্ছি সঙ্গে
আমাদের নতুন কোন
গ্রাহক সৃষ্টি
হচ্ছে না। গ্রাহকরা
ফেসবুক বা
সামাজিক
যোগাযোগের
মাধ্যমে পণ্য
বিক্রেতা
প্রতিষ্ঠানগুলোর
সঙ্গে নিজেদের
চাওয়া পাওয়া নিয়ে
যোগাযোগ করতে
পারছে না। এভাবে
পূর্ব ঘোষণা
ব্যাতীত সামাজিক
যোগাযোগগুলো বন্ধ
হয়ে যাওয়া ই-
কমার্স ব্যবসার
জন্য হুমকি
স্বরুপ।’
বিডি ই-বাজারের
প্রধান নির্বাহী
কর্মকর্তা মো.
সদরুল আমীন
সজীব বলেন,
‘আমাদের ব্যবসার
৬০ শতাংশ গ্রাহক
আসে সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যম
থেকে। আমরা
মন্ত্রণালয়ের
সঙ্গে যোগাযোগের
চেষ্টা করছি।
আমি চাই, এখনি
ফেসবুক চালু করে
দেয়া হোক। তবে
দেশের নিরাপত্তা
সবকিছুর উপরে।
দেশের নিরাপত্তার
সঙ্গে সঙ্গে
ফেসবুক সবার
জন্য উন্মুক্ত
হোক এই আমার
প্রত্যাশা।’
ই-কমার্স
ব্যবসায়ীদের
একমাত্র সংগঠন
ই-কমার্স
অ্যাসোসিয়েশন
অব বাংলাদেশ (ই-
ক্যাব)।
প্রতিষ্ঠানটির
ভারপ্রাপ্ত
সেক্রেটারি
রেজওয়ানুল হক
জামি বলেন,
‘ফেসবুকসহ
সামাজিক যোগাযোগ
গুলো বন্ধ করে
দিলে আমাদের
বিকল্প প্রচারণা,
বিজ্ঞাপন ও
প্রমোশনের কথা
চিন্তা করতে হবে।
সে ক্ষেত্রে
আমাদের খরচ বেড়ে
যাবে। ফলে পণ্যের
দাম বাড়বে। গ্রাহক
কমবে। সর্বোপরী,
আমরা
ব্যবসায়ীরাই
ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
আর দেশের
অর্থনীতিতেও এর
প্রভাব পড়বে।’
মোবাইলে অর্থ
আদান প্রদান
মাধ্যম বিকাশ বন্ধ
হয়ে গেলে মানুষ
যেমন মোবাইল
লেনদেন থেকে
আগ্রহ হারাবে,
তেমনি ভাবে
ফেসবুক সহ
সামাজিক
যোগাযোগ
মাধ্যমগুলো বন্ধ
থাকলে মানুষ ই-
কমার্স থেকেও মুখ
ফিরিয়ে নেবে বলে
মনে করেন তিনি।
ই-কমার্স
ক্ষতিগ্রস্ত হলে
সরকারের
ভিশন-২০২১
বাস্তবায়ন
বিলম্বিত হবে এবং
আশানুরূপ হবে না
বলে তার মত।

সবাই ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন

2 thoughts on "ফেসবুক বন্ধ : বাধাগ্রস্ত হবে ভিশন-২০২১ আলাউদ্দিন আলিফ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,"

  1. Md sifat Contributor says:
    হুম খুব কষ্টে আছে লোকেরা!
    ফেসবুক কবে খুলবে তার কি
    কোন আপডেট পাওয়া গেছে?
  2. kaderakhi Contributor says:
    বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৮
    নভেম্বর
    ছিল ফেসবুকের একটি কালো দিন!
    ওইদিন বাংলাদেশ হানাদার
    বাহিনীর
    হাতে ৮০% ফেসবুক মুক্তি বাহিনী
    নিহত হবার পর স্বাধীনতার ডাক
    দিল
    আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা
    UC BROWSER ### লেফটেনেন্ট
    VPN ###### কন্যেল OPERA
    এক্ষেত্রে আথি্ক ভাবে সাহায্যে
    এগিয়ে এসেছে জাপান,
    সিংগাপুর ও
    ফ্যান্স! USA & UK সহ আরো কিছু
    দেশের proxy বাহিনী!
    কবে এ যুদ্ধ শেষ হবে??????????

Leave a Reply