যুক্তরাজ্যের রাস্তাঘাট পরিষ্কার
অভিযানে ব্যবহৃত অ্যাপ লিটলগ্রাম
এক বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন
হয়েছে। অ্যাপটির নামের কারণে
এর বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছে
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক।
দেশটির কেন্ট এলাকার ব্যবসায়ী
ড্যানি লুকাস লিটলগ্রাম নামের এই
অ্যাপ তৈরি করেছিলেন। দেশে
ক্রমাগত বাড়তে থাকা বর্জ্য
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করাই হল এই
অ্যাপটির মূল উদ্দেশ্য বলে
জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড
মিরর।
কোথাও কোনো জঞ্জাল বা মাছি
উড়ছে এমন নোংরা জায়গার খোঁজ
পেলে এই অ্যাপটির মাধ্যমে
ব্যবহারকারীরা অভিযোগ করতে
পারেন। প্রমাণস্বরূপ তারা ফটোও
আপলোড করতে পারেন। স্থানীয়
সরকারকে তাদের সম্পদ সঠিকভাবে
কাজে লাগানোর জন্য এই
অভিযোগগুলো ব্যবহার করতে ‘লিটল
ম্যাপ’ তৈরি করা হয়েছে।
২০১৫ সালে এমন হাজারো
অভিযোগ প্রকাশের জন্য
লিটলগ্রাম যথেষ্ট প্রশংসিত
হয়েছে।
এ ছাড়াও টনব্রিজ এবং মেইলিং
বরো কাউন্সিলের সঙ্গে
অফিসিয়াল অংশীদারিত্ব
স্বাক্ষর করেছে। এর ফলে অন্যান্য

স্থানীয় সরকারের কাছেও এটি
প্রসারিত হবে বলে তারা আশা
করেছিলেন।
কিন্তু ইতোমধ্যে ফটো অ্যাপ
ইনস্টাগ্রামের মালিক ফেইসবুক,
লুকাস-কে লিটলগ্রামের নাম
পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে।
কেননা ইনস্টাগ্রামের মতো এর
নামের শেষ অংশেও গ্রাম আছে।
১৪ এপ্রিল এক চিঠিতে ফেইসবুকের
আইনি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান
ব্রিস্টোস লিটলগ্রামকে
জানিয়েছে, এই প্রজেক্টের জন্য
ব্যবহৃত নামটি ‘আমাদের মক্কেলের
জন্য গ্রহণযোগ্য নয়’।
এটি আরও বলেছে, “আমাদের
মক্কেল আপনাদেরকে লিটলগ্রাম
নামটি পরিবর্তন এবং ভবিষ্যতে
কখনো ইনস্টাগ্রামের সঙ্গে
সংযোগ করা যায় এমন কোনো চিহ্ন
ব্যবহার বা প্রয়োগ না করার
ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে। এটি এর
লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক মাধ্যমকে
ব্যবহার ও নির্ভর করে এবং
আমাদের মক্কেল এমন একটি সেবার
নাম ব্যবহার করার অনুমতি দিতে
পারে না যা এইক্ষেত্রে
কার্যক্রমের জন্য বিশ্বে বিখ্যাত।”
অপরদিকে লুকাস ফেইসবুকের এমন
পদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক’ বলেছেন।
তিনি ফেইসবুক প্রধান মার্ক
জাকারবার্গ যাতে তাদের
উকিলদের থামতে বলেন, তার
অনুরোধ করেছেন। আর এক সঙ্গে
কাজ করার মাধ্যমে লিটলগ্রামকে
সমর্থন করতেও জাকারবার্গকে
আহ্বান জানিয়েছেন লুকাস।
তিনি বলেন, “লিটলগ্রাম একটি
পরিচিত নাম হয়ে গিয়েছে।
ফেইসবুক আমাদের হুমকি হিসেবে
দেখছে তাই আমরা ব্র্যান্ডের
পরিচয় পরিবর্তন করলে আমাদের
উদ্ভাবনী দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রম
ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদেরকে
ড্রয়িং বোর্ডে ফিরে গিয়ে আবার
নতুন করে সবকিছু শুরু করতে হবে।”
“সরকারি কোনো সহায়তা বা
অনুদান ছাড়া এবং লিটলগ্রাম
প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে গৌরবের
সঙ্গে আজ এ পর্যন্ত আনার জন্য
আমি আমার প্রচুর সময়, প্রচেষ্টা ও
অর্থ ব্যয় করেছি। পুরো
যুক্তরাজ্যের জনগণের স্বার্থে
আমি সত্যিই আশা করি আপনি
বুঝতে পারবেন এবং সহানুভূতিশীল
লিটলগ্রাম চালু রাখতে দেবেন।”
লিটলগ্রামকে ফেইসবুকের দাবির
প্রত্যুত্তর দেওয়ার সময় পেড়িয়ে
গেছে ২৮ এপ্রিল। এরপর এই
অ্যাপটি পুনরায় ব্র্যান্ডিংয়ে
সেবা চালু করতে তিন থেকে ছয়
মাস সময় পাবে।
ফেইসবুক এ ব্যাপারে কোনো
প্রকার মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছে।
♦♦♦♦Visit My Site .. ♦♦♦

One thought on "জাকারবার্গের কাছে নাম চাইছে লিটলগ্রাম"

  1. RONY Contributor says:
    Bolo Ki?

Leave a Reply