ফেসবুককে যতটা পছন্দ করেন তার
চেয়েও বেশি সময় কাটানো হয়
এখানে। কিন্তু অধিকাংশ
ব্যবহারকারীরাই এর সেটিংস
সম্পর্কে বেশি ধারণা রাখেন
না। ফলে তাদের প্রোফাইলগুলো
অনিরাপদ থেকে যায়। এখানে
ফেসবুকে সর্বোচ্চ নিরাপদ করতে
নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।
.
★★..১. লগ ইন অ্যালার্ট ব্যবহার করুন :
কেউ যদি আপনার ফেসবুক
আইডিতে লগ ইন করার চেষ্টা
করেন, তবে আপনাকে জানান
দেবে ফেসবুক। এর জন্য ফেসবুকে
লগ ইন করে সেটিংস মেনুতে
যান। সিকিউরিটিতে ক্লিক
করে লগইন অ্যালার্টস-এ গিয়ে
এডিট করুন। গেট নোটিফিকেশনস
এবং ইমেইল লগ ইন অ্যালার্ট চালু
করুন। এটি সেভ করুন। কেউ আপনার
অগোচরে অ্যাকাউন্টে ঢুকতে
চাইলে তার তথ্য দেবে ফেসবুক।
.
প্রতিবারই লগইন করলে অ্যালার্ট
পাবেন। এ ছাড়া নির্দিষ্ট যন্ত্র
থেকে লগইন করার বিষয়টিও ঠিক
করে রাখতে পারবেন। নতুন
কোনো ব্রাউজার থেকে নতুন
যন্ত্রের লগইন করার সময় ফেসবুক
এটাকে মনে রাখবে কিনা তা
জানতে চাইবে। করতে চাইলে
সেব ব্রাউজার করতে হবে।
.
★★২. রিকোয়েস্ট লগইন
অ্যাপ্রোভালস : নিজের
অ্যাকাউন্টে কিভাবে লগইন
করবেন তাও নজরদারি করে
ফেসবুক। কয়েকটি পদক্ষেপ নিলেই
আগের অব্যবহৃত কোনো যন্ত্র
থেকে কেউ আপনার
অ্যাকাউন্টেল লগইন করলে তা
দেখবে ফেসবুক। সিকিউরিটি
সেটিংস-এ গিয়ে ‘রিকোয়ার এ
সিকিউরিটি কোড টু অ্যাকসেস
মাই অ্যাকাউন্ট ফ্রম আননোন
ব্রাউজারস’ লেখা বক্সে ক্লিক
করুন। একটি সিকিউরিটি কোড
পাওয়ার জন্য লিখিত নির্দেশনা
অনসরণ করুন এবং পাসওয়ার্ড পুনরায়
দিন।
.
রিকোয়েস্টটি
নিশ্চিতকরণের পর একটি বক্স পপ
আপ হবে যাতে প্রক্রিয়াটি
সম্পন্নের বিষয়ে তথ্য দেওয়া
থাকবে। এখানে ‘নো থ্যাঙ্কস,
রিকোয়ার এ কোড রাইট
অ্যাওয়ে’ লেখা বক্সে ক্লিক
করতে হবে।
★★৩. বাড়তি কোড হাতে রাখুন :
লগইন অ্যাপ্রোভালস চালু করলে
নতুন স্থান থেকে লগ করার সময়
নিরাপত্তা কোড চাইবে। এটা
টেক্সটের মাধ্যমে বা কোড
ডেনারেটর শাখা থেকে তা
উদ্ধার করতে হবে। যদি ফোন বা
ট্যাবে প্রবেশ করতে না পারেন,
তারপরও লগইন করতে কোড লাগবে
আপনার। এর জন্য ফেসবুক ১০টি
এলোমেলো কোড দেবে
আপনাকে। এসব কোডের যে
তালিকা দেখাবে তা প্রিন্ট
করে রেখে দিন।
.
★★৪. কোথায় লগইন এবং লগ আউট
করেছিলেন তা খেয়াল রাখুন :
যদি অন্য কোনো যন্ত্র থেকে
ফেসবুকে প্রবেশ করেন এবং লগ
আউট করতে ভুলে যান, তবে যে
কেউ আপনার ব্যক্তিগত তথ্য
দেখতে পারেন। নিজের
ব্রাউজার থেকে ফেসবুক
সিকিউরিটি সেটিংস-এ
‘হোয়ার ইউ আর লগড ইন’-এ যান।
আপনার সাম্প্রতিক লগইন
তালিকাটি দেখুন।
★★৫. ট্রাস্টেড অ্যান্ড লিগেসি
কন্ট্যাক্টস অ্যাড করুন : যদি কারো
জন্য ফোন ও ইমেইলে অ্যাকসেস
না পান তবে সিকিউরিটি
কোডের দরকার নেই। ফেসবুকের
কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে লগইন
কোড সংগ্রহ করতে পারবেন। যদি
দুজন দুজনের বিশ্বস্ত হয়ে থাকেন,
তবে দারুণ মিলবে। লিগেসি
কন্ট্যাক্টস পৃথক বিষয়। কারো
অবর্তমানে তার ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট দেখাশোনা করতে
বৈধ অনুমতি লাগবে। লিগেসি
কন্ট্যাক্টটি টাইমলাইনে পিন
করে রাখা যাবে।
.
এতে ফ্রেন্ড
রিকোয়েস্ট বা প্রোফাইলের
ছবি আপডেট হয়ে যাবে। এমনকি
একটি সময়ের পর অ্যাকাউন্টটি
মুছেও ফেলা যাবে।
এসব কাজ
সিকিউরিটি সেটিংস-এর
ট্রাস্টেড কন্ট্যাক্টস অ্যান্ড
লিগেসি কন্ট্যাক্টস-এর অধীনে
সম্পন্ন করা সম্ভব।
ধন্যবাদ
তথ্য প্রযুক্তি সেবায়, আপনাদের পাশে।
…♦ ♦…(ফেসবুকে আমি)..♦…♦.
2 thoughts on "ফেসবুক অ্যাকাউন্টকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার ৫ উপায়"