সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন এবং আগামিতে যে ভাল থাকেন এই কামনা করেই ট্রিকবিডিতে আমার প্রথম পুস্ট শুরু করছি।

কোন দিন কি চিন্তা করেছেন যে হঠাত একদিন দেখলেন আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়ে গেছে। নিশ্চই অনেক বিপদে পড়বেন। তাই এই বিপদ থেকে আগেই বেচে থাকা ভাল ও চালাক মানুষের কাজ।

তাই আপনি চালাক মানুষ হতে চান না? অবশ্যই চান। এইজন্যই আজ আপনাদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু টিপস দিলাম।

টিপসঃ


১) নিজের আত্মীয় হোক বা ঘনিষ্ঠ বন্ধু, কাউকেই নিজের পাসওয়ার্ড জানাবেন না। আর নিরাপদ সংযোগ ব্যবহার করে ওয়েবসাইট দেখার ব্যাপারটা সব সময়ই অগ্রগণ্য। কাজ শেষে অ্যাকাউন্ট থেকে লগ-আউট বা বের হতে ভুলবেন না ।

২) নিউজ ফিডে থাকা সন্দেহজনক কোনো ওয়েব ঠিকানার লিংকে ক্লিক করবেন না। নিশ্চিত না হয়ে কোনো অ্যাপ, গেম বা ভিডিও দেখার লিংকে ক্লিক না করাই ভালো। তৃতীয় পক্ষের কোনো প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশের অনুমতি চাইলে সেগুলো পরিহার করতে হবে। কোনো অ্যাপ ব্যবহার না করলে ফেসবুক থেকে সেটি মুছে দিন ।

৩) নিজের অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত আরেকটি ই- মেইল ঠিকানা যোগ করুন। কোনো কারণে নিজের প্রোফাইল হ্যাকড হলে সেই ই-মেইলে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধারের তথ্য পাঠিয়ে দেবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

৪) অপরিচিত কারও বন্ধুত্বের অনুরোধ গ্রহণ করার আগে যাচাই করে নিন। নিজেদের মধ্যে চেনাজানা ছাড়া কাউকে বন্ধু বানানো মানে তাঁকেও আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দেখার অনুমতি দিয়ে দিলেন। এ ছাড়া কোনো আর্থিক বা ব্যক্তিগত গোপন তথ্য জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট না করাই ভালো ।

৫) নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন। প্রতিবার নতুন একটি পাসওয়ার্ড দিন। পাসওয়ার্ড হিসেবে নিজের জন্মতারিখ, ফোন নম্বর বা জন্মস্থানের নাম দেবেন না। ফেসবুক সেটিংস থেকে লগইন নোটিফিকেশন অপশনটি চালু করতে ভুলবেন না।

৬) কম্পিউটারের নিরাপত্তাবিষয়ক সফটওয়্যারগুলো সব সময় হালনাগাদ করে রাখুন। বর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার সহজতম উপায় হলো ফিশিং আক্রমণ। এ জন্য ফিশিং সাইটগুলোকে ধরার জন্য সব সময়ই বিশ্বস্ত কোনো অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। এর ফলে ক্ষতিকর কি-লগার (যে প্রোগ্রাম গোপনে আপনার কম্পিউটারের প্রতিটি বোতাম চাপার তথ্য লিপিবদ্ধ করে হ্যাকারকে পাঠিয়ে দেয়) থেকেও কম্পিউটার রক্ষা পাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, ভাইরাস ডেটাবেস হালনাগাদ করা, ফায়ারওয়াল চালু রাখা, সর্বশেষ সংস্করণের ব্রাউজার ব্যবহার এবং সময়ে সময়ে অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা হালনাগাদ নামিয়ে ইনস্টল করা।

৭) ফেসবুক অনেকটা ভালো কোনো বন্ধুর মতো। এটি রোজনামচা লেখার পাশাপাশি নিজেদের সৃজনশীলতা প্রকাশের চমৎকার এক মাধ্যম। কোনো ভাবেই তাই ফেসবুক অ্যাকাউন্টটিকে ঝুঁকিতে ফেলা যায় না। একে যতটা সম্ভব ব্যক্তিগত আর নিরাপদ রাখতে সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করা উচিত ।

ধন্যবাদ।।,, সবাই ভাল থাকেন ।।।।

Leave a Reply