আমি মুরাদ আপনাদের সমনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।

আগের পোষ্ট গুলোতে আমি গেমিং এর ইতিহাস সম্পর্কে কিভাবে এটি বিস্তার লাভ করলো সেগুলো আলোচনা করেছি
চাইলে পোষ্ট দুটি দেখে আসতে পারেন

১।
গেমিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজানা ইতিহাস জানুন। পোষ্টটি প্রত্যেকের দেখা দরকার । প্রথম পর্ব।

২।
গেমিং সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজানা ইতিহাস জানুন। আসা করি সকলে দেখবেন। দ্বিতীয় পর্ব।

আগের দুটি পোষ্টের চেয়ে এই পোষ্টটি একটু বড়ো হতে চলছে।

আর বলতে গেলে তেমন সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখতে পারিনি আর লিখার মাঝে ভুল ত্রুটি হবে এটা স্বাভাবিক তাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

আজকে আলোচনা করবো বর্তমান গেম এবং এর ভবিষ্যৎ আর জানবো ভিডিও গেম কি আমাদের বিপদগামী হিসাবে তৈরি করছে না তো!

আমরা চারিদিকে লক্ষ করলে দেখতে পারবো যে ভিডিও গেম এর দিকে কিভাবে তরুণ প্রজন্ম ঝুকে পড়ছে।

বাংলাদেশে ভিডিও গেম জনপ্রিয় হয় ১৯৯০-২০০০ সালের দিকে।

সে সময় এ খুব কম পরিবার এ পারসোনাল কম্পিউটার ছিলো।
তবে খন শহরের বিভিন্ন দোকান এ গেম খেলার ব্যাবস্থা ছিলো।

ঐ দোকান গুলোতে তখন ছেলেমেয়ে রা পকেট ভর্তি কয়েন নিয়ে ভিড় করতো।
তখন বাংলাদেশের জনপ্রিয় গেম গুলো ছিলো

প্যাকম্যান, স্পেস ইনভেডার, স্ট্রিট ফাইটারের এগুলো ছিলো চার কালারের CGA (2D) গ্রাফিক্সের গেম তবুও
তখন এই গেম গুলো অনেক জনপ্রিয় ছিল।

তখন কার বাচ্চারা টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে স্কুল ফাঁকি দিয়ে, এসব গেম খেলতো।
আর এটি বিনোদন এর জন্য জনপ্রিয় মাধ্যম তখন থেকে হয়ে উঠছিলো

পৃথিবীর ইতিহাসে ভিডিও গেম সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শিল্পগুলোর মাঝে একটি।
খুব কম সময়ে গেমিং শিল্পের ব্যাপক উন্নতি করেছে।

গেমিং এত তাড়াতাড়ি বাড়ার কারন হচ্ছে সবাই এই শিল্পকে রাজনৈতিক ভাবে কাজে লাগিয়ে ছে।

গেমিং ব্যাবসায় বিভিন্ন গেম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি মাত্র একটি গেম দিয়েই কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করে ফেলতে পারে।

আর এখনকার দিনে ইন্টারনেট সকলের হাতের নাগালে আসার ফলে বেড়েছে অনলাইন গেমিং এর চাহিদা।

গেম খেলার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ডিভাইস বাজারে আসছে যা সবাই কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে আর ঐ কোম্পানি গুলো কোটি কোটি টাকার ব্যাবসা করে নিচ্ছে।
আর এই গেম আমারদের তরুণ সমাজ এর ওপর আসক্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
আর আমাদের এই আসক্তি কে কাজে লাগিয়ে ব্যাবসা করছে।

বড়ো বড়ো গেমিং কোম্পানিগুলো প্রতি বছর অনেক আকর্ষণীয় গেম বাজারে আনছে। কিন্তু এখানে আমাদের এবং অভিভাবকদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে।

কারন বাজারের সকল গেম সকল এর খেলার উপযোগী না।
গেমটি খেলার আগে খেয়াল করতে হবে গেমটি আসলেই বাচ্চাদের বা আপনার জন্য উপযোগী কিনা

কারন ভিডিও গেম খেলে গেমের কাহিনি এর ওপর বেস করে ভুল ধারণা নিয়ে যাতে অল্প বয়সী বাচ্চা বা আমরা উগ্রপন্থী না হয়ে যায়,
কোন গেমটি আপনার জন্য উপযোগী তার জন্য বয়স ভিত্তিক রেটিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। যার নাম
Pan European Gaming Information (PEGI)।

যেমন একটি জনপ্রিয় গেম গ্র্যান্ড থেফট অটো বা জিটিয়ে ভাইসিটি ফাইভ এর রেটিং হলো PEGI 18+।

তারমানে এই গেমের বিষয়বস্তু ১৮ বছরের কম বয়সী দের জন্য উপযুক্ত নয়।

কিন্তু আমাদের দেশে ছোটো বাচ্চাদের এই ধরনের গেম খেলতে দেখা যায়।
যেসব গেম প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি করা হয় , সেসব গেমে যৌনতা, নানারকম বিকৃত ও দৃষ্টিকটু বিষয় থাকে তা ছোটদের হাতে গেলে তারা এসব দেখে উগ্রপন্থী হয়ে উঠে।

তাই আমরা এই ব্যাপার এ সচেতন হবো গেম খেলতে হলে গেমিং এর PEGI রেটিং দেখে গেম খেলবো আর খেয়াল রাখবো আমাদের আসেপাশে ছোটো বাচ্চার এসব গেম খেলছে কিনা তার দিকে নজর দিবো।

ভিডিও গেম একটি বিনোদনের মাধ্যম হওয়ায় কারনে স্কুল-কলেজ ছাত্ররা ছত্রী ছাড়াও প্রাপ্তবয়স্ক সবাই অবসরে গেম খেলে সময় পার করে। এখানে মুল সমস্যা হচ্ছে এই বিনোদন যেকোনো সময়ে আসক্তিতে পরিণত হতে পারে।

অতিমাত্রায় গেম খেললে এটি আমাদের আসক্তিতে পরিনত হয়ে যায় এবং এটি আমাদের আচরণের উপর প্রভাব ফেলে ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবন এর রুটিন গুলো এলোমেলো হয়ে যায়।
অতিরিক্ত ভিডিও গেম খেলার কারনে খুব সাময়িক সময়ের জন্য হলেও একজন মানুষের মাঝে নেতিবাচক আচরণ দেখা দিতে পারে।
যার ফলে আমরা সন্ত্রাসবাদ বা সন্ত্রাসি কর্মকান্ড লিপ্ত হতে পারি।
তাই আমাদের এই বিষয় নিয়ে নিজে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং আমাদের খেয়াল আমাদের রাখতে হবে।

গেম খেললে কি আমরা সন্ত্রাসবাদ হয়ে উঠবো?
একজন গেম খেলে অপরাধীর সন্ত্রাসবাদী হয়ে উঠবে এমনটার প্রমান পাওয়া যাইনি।
প্রায় দুই যুগ ধরে এ নিয়ে গবেষণা চলছে।
আমেরিকান সাইকোলজিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন ২০১৫ সালে গবেষণার প্রতিবেদন প্রাকাশ করে তারা উল্লেখ করেন যে,গোলাগুলি ও বন্দুকযুদ্ধ আছে এমন ভিডিও গেমের পেছনে অনেক সময় দিলে তা একজন মানুষের স্বাভাবিক আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন আনে।

আক্রমণাত্মক আচরণ, সহানুভূতি ও সহনশীলতার অভাব, অসামাজিকতা ইত্যাদি নেতিবাচক দিক অতিরিক্ত গেম খেলার ফলে হতে পারে।
তবে বহু গবেষক এ প্রতিবেদন নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে এই গবেষণায় প্রচুর ভুল তথ্য রয়েছে এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক ভালোভাবে পর্যালোচনা না করেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
কিন্তু এই দুই বিষয় নিয়ে মতভেদ রয়েছে।

এ নিয়ে পরবর্তীতে ২০১৮ সালে জার্মানে গবেষনা করা হয়
এই গবেষণায় ৭৭ জন অংশ হয় ।
সবাইকে ৩ টি দলে ভাগ করেন।
প্রথম দলকে প্রতিদিন অন্তত দুই ঘণ্টা গ্র্যান্ড থেফট অটো ফাইভ গেমটি খেলতে দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় একটি দলকে সিমস নামের একটি অতি সাধারণ ও কোনো গোলাগুলি নেই এমন গেম খেলতে দেওয়া হয়।
তৃতীয় দলকে কোনো গেমই দেওয়া হয় না।
পরে তাদের আচার আচরন, হিংস্রতার মাত্রা, উগ্র স্বভাব, উদ্বিগ্নতা ইত্যাদি পরিমাপ করেন।
কিন্তু পরবর্তী তাদের তিন দলে কারো মধ্যে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন দেখা যাইনি।
টানা অনেকক্ষণ ধরে গেম খেললে হয়তো একজনের মাঝে একটু উগ্র আচরণ লক্ষ্য করা যায়।
কিন্তু সে গেম খেলে বাইরে গিয়ে কোনো অপরাধ করে বসবে এটা ভাবা ভুল।

তবে যে বিষয়টি একেবারে এড়ানো উচিত নয়
ভিডিও গেমের যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব হয়না তা কিন্তু নয়।
বর্তমান অনেক গেম বাজারে আছে বিষেষ করে অনলাইন গেম গুলো নিয়ে খুব মাতামাতি।
এই অনলাইন গেমগুলোর কোন শেষ নেই আর অনলাইন এ একে অন্যের সাথে গেম খেলার সুযোগ রয়েছে যার ফলে অধিক বিনোদন এর সৃষ্টি হয় আর আপনি এই গেম গুলোতে খুব সহজে আসক্তি চলে আসে।

বর্তমান এ কিছু ব্যাটেল রয়াল গেম, পাবজি, ফোর্টনাইট, ফ্রিফাইয়ার, ইত্যাদি নিয়ে এতটাই মাতামাতি শুরু হয়েছে গেছে যে ইন্ডিয়া সহো বিভিন্ন দেশের সরকার এই গেমগুলো তাদের দেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করছে।

এই গেম গুলো ছাত্র ছাত্রী দের অনেক সময় অপচয় হয়ে যায়। যেটি কিনা তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার এর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

USA ডার্থমুথ কলেজ আরো মোট ২৪টি গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করে,
যেই গবেষণা প্রায় ১৭,০০০ কিশোর এর ওপর করা হয়ে ছিল।
তদের মতে ভিডিও গেম কমবয়সী দের মাঝে আক্রমণাত্মক আচরণের সৃষ্টি করছে।
ভিডিও গেমস এর মাধ্যমে তারা অসামাজিক, কারো সাথে না মিসতে চাওয়া। ইত্যাদি লক্ষন দেখা দেয়।

ভিডিও গেম ও সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড এর কিছু নমুনা।
আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন ভিডিও গেম খেলে আবার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সাথে কিভাবে সম্পর্কযুক্ত হয়? কিন্তু এর কিছু প্রমাণ রয়েছে যার ফলে বিভিন্ন দেশের সরকারি ব্যক্তিত্ব নানা সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডের জন্যে ভিডিও গেমকে সরাসরি দায়ী করেছেন।

কিছুদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন গণহত্যার কারণ হিসেবে ভিডিও গেমস কে দায়ী করে ঐ গেম প্রস্তুতকারী কোম্পানিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন ।
তিনি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি এ ব্যাপারে একমত হয়।

একজন তরুণকে গনহত্যা মতো ভয়ংকর কাযে উস্কে দেওয়ার পেছনে ভিডিও গেমগুলোর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এছাড়াও গণহত্যার সাথে জড়িত অনেক ব্যক্তি নিজেরাই শিকার করেছেন যে তারা ভিডিও গেম খেলে এমনটা করেছেন।
২০১১ সালে ‘আন্দ্রেস ব্রিভিক” নামের ব্যক্তি নরওয়েতে একাই একটি বিরাট গণহত্যা পরিচালনা করেন।

তিনি সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ও বন্দুক ব্যবহার করে তিনি একাই মোট ৭৭ জন মানুষ হত্যা করেন এবং অনেক মানুষ কে আহত করেন । এই ব্যক্তি নিজের শিকার করেন যে সে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে তিনি
‘কল অফ ডিউটি: মডার্ন ওয়ারফেয়ার ২’
নামক একটি FPS গেমের কথা বলেছিলেন।

গেমটি আমি নিজেও খেলেছি।

গেমটিতে একটা মিষন থাকে যেখানে আমাকে একটা শপিং মলে গনহত্যা করতে পরিচালনা করতে হয়।

ঐ মিষন এ আমার সাথে একটকা টিম থাকে আর আমার টিমের সবাই অনবরত গুলি চালাতে থাকে শপিং মলে থাকা মানুষ এর ওপর।

এই পুরো মিষন টা মানুষ হত্যা করে শেষ করতে হয় হয় এবং মিসন শেষে আমাকেও মেরে ফেলা হয় গেমের ভিতরে।

শুধু এই একটি ঘটনাই না কিছুদিন আগেই USA তে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল
পাসো শহরে একটি গণহত্যার ঘটনা পরিচালনা হয় যেটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিলো।

এক ব্যাক্তি পুরো স্টোরে মোট ২২ জনকে হত্যা এবং ২৪ জনকে আহত করে।
তার বয়স ছিলো ২১ তার নাম প্যাট্রিক উড ক্রুসিয়াস।

সেও তার জবানবন্দিতে কল অফ ডিউটি গেমটির কথা উল্লেখ করেন।

কল অফ ডিউটি হচ্ছে একটি FPS গেম PC গেম।

বর্তমান এর ব্যাটেল রয়েল ভার্সন মোবাইল এর জন্য বের হয়েছে কল “অফ ডিউটি মোবাইল” যেটি কিনা বর্তমান এ পাবজির সাথে কম্পেয়ার করছে।

তবে এর PC গেমারদের মাঝে জনপ্রিয় এই গেমটির প্রতি বছরই একটি করে নতুন পাট বের হয়।

গেমটিতে অনেক মিষন থাকে যা সত্যিকার মিলিটারি প্রশিক্ষণ, যুদ্ধ কৌশল ইত্যাদি এই গেমে অনেক নিখুঁতভাবে প্রয়োগ করা হয়।

এই গেমে রয়েছে সকল প্রকার বন্দুক অস্ত্র সম্পর্কে সম্পূর্ন তথ্য।
এই গেম খেলার মাধ্যমে কোনো প্রকার মিলিটারি প্রশিক্ষণ ছাড়াই একজন গেমার জানতে পারেন অ্যাসল্ট রাইফেল, সাবমেশিন গান, বিভিন্ন পিস্তলের ম্যাগাজিনে কত সংখ্যক গুলি থাকে। বন্দুক এ গুলি রিলোড করা।

কোন বন্দুকের বিশেষত্ব কী, সে সম্পর্কেও এই ধরনের গেম থেকে ভালো ধারণা পাওয়া যায়।
আর গেম এ রয়েছে উন্নত মানের গ্রাফিক্স যা হুবহু বাস্তব রুপ দেয়।

যার ফলে এই গেম গুলো থেকে একজন সহজে সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রশিক্ষণ নিয়ে এর অপব্যবহার করতে পারে।

সর্ব শেষ কথায় আমরা বলতে পারি ভিডিও গেম এর প্রতি আসক্তির কারনে আমরা উগ্রপন্থী হয়ে উঠছি।

তাই আমাদের এখন থেকেই সচেতন হতে হবে গেম খেলা কমিয়ে সেটি আমাদের নিয়ম করে খেলতে হবে।

মনে রাখবেন বিষ ও যদি পরিমাণ মতন খান তাহলে আপনার কিছু হবেনা।

আমি আপনাদের পরবর্তী পোষ্টে গেমি এর আসক্তি থেকে মুক্তির কিছু বিষয়ে আলোচনা করবো
আজকে আর সম্ভব না এমনিতে পোষ্ট অনেক বড়ো হয়ে গেছে।

আজকে এই পযন্ত পরের পর্বে আবার হাজির হচ্ছি।
আর হ্যা আমার পোস্ট টি যদি একটুও ভালো লেগে থাকে প্লিজ আমাকে একটু সাপোর্ট দিবেন আমার একটা ফেসবুক পেজ আছে প্লিজ লাইক করবেন আর ইউটিউব চ্যানেল টা সাবসক্রাইবার করবেন।

Facebook page

Facebook page Like plz

YouTube Channel

Youtube channel

ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।

2 thoughts on "অতিরিক্ত গেম খেলে কি আমরা সন্ত্রাসবাদ মনোভাব গেড়ে তুলছি? তৃতীয় পর্ব।"

  1. prosk Contributor says:
    onek valo likco vai

Leave a Reply