তো বন্ধুরা, আমি আজকে যে বিষয়ে পোস্ট করছি তা দেখে অনেকে অবশ্যই রেগে গেছেন।
এখন হয়তোবা অনেকে কমেন্টে গালিগালাজ করবেন।
আবার কেউ বলবেন এর আগে এই পোস্ট করা হয়েছে।
হ্যা, আমি মানছি যে আগে পোস্ট করা হয়েছে।
এখন আবার কেনো সেয়ার করলাম?
কারন, আজ থেকে ১৫ দিন আগে MyGP আমাদেরকে এই অফার দিয়েছিলো ২৬ মার্চ (মহান স্বাধীনতা দিবস) উপলক্ষে।
আর, সেই অফার ছিল সকাল ১১টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত (সীমিত সময়ের জন্য) ।
আমি অনেক দিন যাবত MyGP তে প্রবেশ করিনা।
তখনি চোখে পড়লো বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে MyGP App এর এই অফার।
তো বন্ধুরা, দেখুন আমি নিয়েছি।
প্রমাণ দেখুনঃ
510 Coupon যোগ হয়েছে।
আর যদি কারো না আসে তাহলে স্ক্রিনশটে দেখানো কুপন কোডটি দিয়ে চেষ্টা করতে পারেন।
Dekhen Trainership fire pan kina.
https://www.0.freebasics.com/https/trickbd.com/trainer-re-enable?iorg_service_id_internal=1789840481287773%3BAfr_Fmvxg2pHTEWt
যারা একটু পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে ঘাটাঘাটি করেন তারা আবশ্যই নামটার সাথে পরিচিত।আসলে ব্লেকহোল শব্দটা মানুষ শুনলেই ভাবে কি জানি এটা কি জটিল জিনিস।আসলে এটা যতটা জটিল মনে করেন ততটা জটিল নয়।আজকে আমার এই পোস্ট করার একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকপ পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী করা এবং মানুষকে খুটিনাটি পদার্থবিজ্ঞান সম্পর্কে জানানো।তাই পোস্টা আনেক মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
ব্লেকহোল সৃষ্টি হয় নক্ষত্র থেকে।একটি নক্ষত্র মৃত্যুর কয়েকটি ধাপ আছে।এর শেষ পর্যায় হলো ব্লেকহোল।
নক্ষত্র মৃত্যুর ধাপ:
প্রথমে আমরা সৃষ্টি থেকেই শুরু করি।আমরা জানি বিগব্যাঙ্গ এর মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি।সৃষ্টির পর হাইড্রোজেন সৃষ্টি হয়।তাই মহাবিশ্বে হাইড্রোজেনের সংখ্যা বেশি।এর পর হিলিয়াম তৈরি হয়।এখন হাড্রোজেন ও হিলিয়াম মিলে বিক্রিয়া শুরু করে।এখান থেকে বিভিন্ন লাল দানবের মতো নক্ষত্রের সৃষ্টি।সেই নক্ষত্র উজ্ব্বল ভাবে জ্বলতে থাকে।একসময় তা হয়ে যায় সাদা বামন। এর পর এভাবে আরো আনেক কোটি বছর থাকে এরপর তা নিউট্রন তারাতে পরিনত হয়।এখন এখান থেকে আনেক নিউট্রন তরকা সুপার নোভায় পরিণত হয় এবং ব্লেকহোল এর উতপত্তি হয়। আবার আনেক নিউট্রন তারকা সরাসরি ব্লেকহোলে পরিণত হয়।
এখন প্রশ্ন হলো সব নক্ষত্রই কি ব্লেকহোলে পরিণত হবে?
না সব নক্ষত্রই ব্লেকহোলে পরিণত হবে না।যেসব নক্ষত্রের ভর মৃত্যুর আগে ৩মোল এর বেশি হবে তারা ব্লেকহোলে পরিণত হবে।আর যাদের ভর এর থেকে কম থাকে তারা শ্বেত বামনে পরিণত হবে।
এখন চলুন দেখি আসলে কিভাবে ব্লেকহোল গঠিত হয়।
???????????
আপনারা হয়ত আপেক্ষিক তত্ত্বের কথা যানেন।স্থান-কাল,মহাকর্ষ সম্পর্কে জানেন।না জানলে কমেন্টে বলুন।তারপরেও আমি একটু ধারণ দিচ্ছি।
স্থান-কাল:স্থান-কাল হলে স্থান ও কাল এর মিশ্রণ।আমাদের আশেপাশে আমরা ত্রিমাত্রিক বস্তু দেখছি।এই ত্রিকাত্রিক বস্তু সাথে মিলে আছে কাল বা সময়।এটা আমরা দেখতে পারি না পারলে আমরা টাইম ট্রাভেল করতে পারতাম।যাইহোক স্থান-কালকে বাকানো যায় যেকোনো ভারি বস্তু দ্বারা
স্থান-কালকে বাকানো যায়।যে বস্তু যত বেশি স্থান-কালকে বাকাতে পারে সে বস্তু ততই সময়কে নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা পায়।যেমন আপনার শরীর এটাও স্থান-কালকে বাকায়। কিন্তু এটা অনেক কম বাকায় তাই আমরা সময়কে সেভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারি না।
মহাকর্ষ: মহাকর্ষ হলো “এক ধরণের বল।মহাবিশ্বের প্রত্যেকটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষনই মহাকর্ষ”, নিউটনের মতে।
আসলে নিউটনের টা আংশিক সত্যি।আসল ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইনস্টাইন।
এটা নিয়ে কারো জানার ইচ্ছা থাকলে কমেন্ট বক্সে বলবেন।
এখন ব্লেকহোল।যখন নিউট্রন তারা বা সুপারনোভার উৎপত্তি হয় তখন তাদের ভর এবং ঘনত্ব অনেক বেশি থাকে কিন্তু আয়তন আনেক কম থাকে।তখন এর মধ্যাকার মহাকর্ষ বলে অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। তার ভর বেশি হওয়ার কারণে এটি আনেক বেশি পরিমাণে স্থানকালকে বাকাতে থাকে। এই দুই আবস্থার কারণে এটি স্থানকালকে আনেক বেশি বাকিয়ে স্থানকালের ভিতরে ডুকে যায়।একে কিন্তু এটা ভেদ করে না।একটি রাবারের কাপড়ে যদি আপনি আপনার আঙ্গুল আনেক চাপ দি তা ভেদ করার চেষ্টা করেন তখন যে আবস্থা হবে ঠিক সেবাভেই
ব্লেকহোল উৎপন্ন হয়।না বুঝলে নিচে দেখেন।
ব্লাকহোলের মহাকর্ষ বল এতই বেশি যে আলোও একবার এর মধ্যে দিয়ে ঠুকলে বের হতে পারে না।তাই একে কালো দেখস যায়।ব্লেকহোলের একটা সীমা আছে যার মধ্যে কোনো কিছু প্রবেশ করলে আর বের হতে পারে না।একে বলে “ইভেন্ট হরাইজন”(ঘটনা দিগন্ত)।এই ঘটনা দিগন্তের দৈঘ্য কত হতে পারে তার জন্য শোয়ার্জশিল্ড একটি সমীকরণ তৈরি করেছেন।
এটা হলো:(Rs=2GM/c^2)
এখানে M হলো ব্লেকহোলের ভর,G মহাকর্ষীয় ধ্রুবক,c হলো আলোর বেগ।আনেক বিজ্ঞানি বলে ব্লেকহোল নাকি একটা হোয়াইট হোলের সাথে সম্পর্কযুক্ত।এগুলো নাকি ব্লেকহোলের মাধ্যমে অন্য মহাবিশ্বে প্রবেশ করে।ঘটনাটা আসলে সত্য কিনা আমি জানি না।কিন্তু আমার জ্ঞান থেকে বলতে পারি যে না।এটা সত্য নয়।কুন্তু এটা সত্যি ব্লেকহোলের মাধ্যমে টাইম ট্রাভেল করা যায়।
কিভাবে??
জানতে চাইলে নিচে লিংকে ঠুকে পড়ুন।
এখানে
https://trickbd.com/?theme_change=mobile