Freeware (ফ্রিওয়্যার), Free Software (ফ্রি সফটওয়্যার), Open Source (ওপেন সোর্স), Shareware (শেয়ারওয়্যার), Trialware (ট্রায়ালওয়্যার), Adware (অ্যাডওয়্যার), Nagware (নাগওয়্যার) সহ ইত্যাদির মতো শর্তাবলী প্রায়শই আমরা বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা সফটওয়ারে ব্যবহার করতে দেখে থাকি। কেউ কি বলতে পারবেন যে এগুলোর মানে কি? যদিও জানেন তাহলে কি সত্যিই বলতে পারবেন ফ্রিওয়্যার এবং ফ্রি সফটওয়্যারের মধ্যে পার্থক্য কি? আমি নিশ্চিত কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ছাড়া বাকি কেউই তেমন এগুলো সম্পর্কে বলতে পারবেন না। যদিও অনেক সময় এগুলো আপনার চোখে পড়েছে। কিন্তু কখনোই আপনি এগুলো নিয়ে ঐভাবে চিন্তা করেন নাই। যার কারণে আসলে শব্দগুলি পরিচিত হওয়ার পরও আমরা অনেকেই এগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। সুতরাং, আজকের এই টপিকে আমরা চেষ্টা করব এই শব্দগুলির বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরার জন্য।
প্রোগ্রাম বা সফটওয়ারে ব্যবহৃত শর্তাবলীর নামঃ
যারা কম্পিউটার এবং স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকেন তারা সকলেই কমবেশি কাজের সুবিধার্থে সেগুলোতে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। আর এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের শর্তাবলী নিয়ে তৈরি করা কিছু নামের সাথে পরিচিত হয়ে থাকেন। যেগুলো মূলত Freeware, Crippleware, Donationware, Free Software, Open Source, Shareware, Adware, Bundleware, Spyware, Nagware, Malware, Scareware, Abandonware নামক শর্তাবলী। তো চলুন নিচ থেকে এগুলো নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেই। যার মাধ্যমে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন যে কোনটার মধ্যে কি পার্থক্য।
Freeware (ফ্রিওয়্যার):
যে প্রোগ্রাম বা সফটওয়ারে Freeware (ফ্রিওয়্যার) নামক শর্তটি যুক্ত থাকবে। সেটি মূলত একটি ফ্রি সফটওয়্যার। এটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে কোন ধরনের ফি বা টাকা দেওয়া লাগবে না। এটির সকল ফিচার আপনি একদম ফ্রিতে লং টাইমের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
যেকোন ফ্রিওয়্যার প্রোগ্রাম বা সফটওয়ারের মালিকানা তার ডেভেলপারের উপর নির্ভর করে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। ডেভেলপার চাইলে যেকোন সময় কোন ফ্রিওয়্যার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার থেকে প্রিমিয়াম প্রোডাক্ট হিসেবে পরিবর্তন করতে পারেন। এছাড়াও যেকোন ফ্রিওয়্যার প্রোগ্রাম বা সফটওয়ার সোর্স কোড ছাড়াই সকলের কাছে শেয়ার হয়ে থাকে। যার ফলে যে কেউই চাইলেই কিন্তু এটিকে নিজের মত করে কাস্টমাইজেশন করতে পারে না। ফ্রিওয়্যার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার লাইসেন্সের আওতায় রেখে ফ্রিতে ব্যবহারের জন্য সকলের কাছে উন্মুক্ত করা হয়। যার কারণে যে কেউ চাইলে একে অপরের সাথে এটি ফ্রিতে শেয়ার করতে পারে তবে বিক্রি করতে পারে না। কিছুকিছু ক্ষেত্রে লক্ষ করলে দেখা যায় লাইসেন্সের কারণে বিক্রি করা তো দুরে থাক, একে অপরের সাথে শেয়ারও করতে পারে না অর্থাৎ শেয়ার করার অনুমতি দেওয়া হয় না।
Crippleware (ক্রিপলওয়্যার):
অনেকসময় দেখবেন কিছু প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ফ্রিতে ফ্রিওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তবে সেগুলোতে লক্ষ করলে দেখবেন যে, সেগুলিতে থাকা ফিচার বা ফাংশনগুলির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার বা ফাংশনগুলি আপনাকে ব্যবহার করতে দিবে না বা অনুমতি দিবে না। গুরুত্বপূর্ণ ফিচারগুলি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে টাকা দিয়ে প্রিমিয়াম ভার্সনটি নিতে হবে। তো এইরকম প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারগুলিকে Crippleware বলা হয়।
এখন আপনি বলতে পারেন কোনো প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের গুরুত্বপূর্ণ ফিচার বা ফাংশন যদি ব্যবহার করার অনুমতি না দিয়ে থাকে তাহলে শুধু শুধু কেন এগুলোর কিছু ফিচার বা ফাংশন ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে এটিকে উন্মুক্ত করা হয়। আসলে এগুলোর ডেভেলপার মূলত এগুলোর প্রচারের জন্য এই কাজটি করে থাকে। যাতে করে আপনি এগুলোর লিমিটকৃত ফিচার বা ফাংশনগুলি ব্যবহারের পর প্রয়োজনের কারণে টাকা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিচার বা ফাংশনগুলি ব্যবহার করেন।
Donationware:
প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার সহ বিভিন্ন ধরনের সার্ভিসে লক্ষ্য করে দেখবেন সেটার ডেভেলপার বা কর্তৃপক্ষ আপনার কাছে তাদের সার্ভিস ভোগ করা বাবদ আপনার কাছে অনুদান দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে আপনাকে বার্তা পাঠাবে বা দেখাবে। আর এই পদ্ধতিকে বলে Donationware. অর্থাৎ আপনাকে তারা তাদের পুরো সার্ভিসটি ব্যবহার করার জন্য সার্ভিসের সকলকিছু উন্মুক্ত করে দিবে। তবে এটার জন্য আপনার কাছে কিছু অনুদান চাইবে। আপনার ইচ্ছে হলে আপনি দিবেন না হলে দিবেন না।
Free Software:
একজন ব্যবহারকারী চাইলে Free Software কে রান, কপি, ডিস্ট্রিবিউট, পরিবর্তন এবং ডেভেলপ করে আরো উন্নত করতে পারেন। অর্থাৎ একজন ব্যবহারকারী ফ্রি সফটওয়্যারগুলো নিজের ইচ্ছেমত ব্যবহার করতে পারেন। কোন সফটওয়ার চালানো, কপি করা, বিতরণ করা, তার খুঁটিনাটি জানা এবং তা পরিবর্তন ও উন্নত করার স্বাধীনতাই হল ফ্রী সফটওয়ারের মূল কথা। এটি সম্পর্কে আরো ভালো করে বুঝতে চাইলে প্রথমে বলা যায় ব্যবহারকারীর উদ্দেশ্য অনুযায়ী সফটওয়্যারটি চালানোর স্বাধীনতা। দ্বিতীয়ত বলা যায় ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নিজের মত করে সফটওয়্যারকে ডেভেলপ করে পরিবর্তন করার স্বাধীনতা। তৃতীয়ত বলা যায় ব্যবহারকারী নিজের ইচ্ছেমতো অন্য কারো সাথে শেয়ার করার স্বাধীনতা। চতুর্থত বলা যায় যে কেউ চাইলে সকলের সুবিধার্থে সফটওয়্যারের সংস্করণ উন্নত করে সকলের সাথে শেয়ার করার স্বাধীনতা। কোনো সফটওয়্যারে যদি এইরকম স্বাধীনতাগুলি বা এইরকম ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করা হয় তাহলে সেটিই ফ্রি সফটওয়্যার হিসেবে বিবেচিত হবে।
Shareware বা Trialware:
নির্ধারিত সময়ের জন্য যে প্রোগ্রাম বা সার্ভিস উন্মুক্ত করা হয় সেগুলিকে Shareware বা Trialware বলে। আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন কিছু প্রোগ্রাম বা সার্ভিস ১৫ থেকে ৩০ দিন এইরকম সময়ের মধ্যে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় তারপর তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এখন ব্যবহারকারী যদি আরো সময় ধরে সেটি ব্যবহার করতে চায় তাহলে নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধ করে তারপর তা ব্যবহার করতে হয়।
সুতরাং মূলত এটি ট্রায়াল ভিত্তিতে উন্মুক্ত করা হয় যাতে করে একজন ব্যবহারকারীকে আকর্ষণ করতে পারে এবং পরবর্তীতে এটি বিক্রি করতে পারে। এছাড়াও কিছু শেয়ারওয়্যার ‘Liteware’ হিসাবে উন্মুক্ত করা হয়। ‘লাইটওয়্যার’ প্রোগ্রামগুলিতে নির্দিষ্ট কিছু ফিচার রাখা হয়।পরবর্তীতে প্রোগ্রামটির সম্পূর্ণ সংস্করণ ক্রয় বা আপগ্রেড করার পরেই ব্যবহারকারী চাইলে সম্পূর্ণ ফাংশন অ্যাক্সেস করতে পারে। তখন সেটি লাইটওয়্যার থেকে ফুল ফিচারযুক্ত একটি একটি প্রিমিয়াম অ্যাপে রূপান্তর হয়।
Adware:
Adware বিজ্ঞাপন সফটওয়্যার হিসাবে বেশি পরিচিত। এগুলো এমন একটি সফটওয়্যার যেগুলো রান করার পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিজ্ঞাপন রেন্ডার বা প্রদর্শন করে। এই বিজ্ঞাপনগুলির বেশিরভাগই বিরক্তিকর পপ-আপ আকারে প্রদর্শিত হয়। তো এই বিজ্ঞাপন থেকে একজন ব্যবহারকারীকে মুক্তি পেতে হলে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স কি ক্রয় করতে হয়। ফ্রিওয়্যারের মতো অ্যাডওয়্যারও ব্যবহারকারীদের জন্য ফ্রিতে উন্মুক্ত হয়ে থাকে। তবে পার্থক্য হচ্ছে ফ্রিওয়্যারে কোন বিজ্ঞাপন দেখায় না। আর অ্যাডওয়্যারে বিজ্ঞাপন দেখায়।
Bundleware:
একটি একক ইনস্টলেশন প্রোগ্রামকে Bundleware বলে থাকে। যেটিতে একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম যুক্ত করা থাকে। একাধিক প্রোগ্রামকে একসাথে যুক্ত করে একটি প্রোগ্রাম ইনস্টলার তৈরি করা হয়। পরে ব্যবহারকারী উক্ত প্রোগ্রামটি ইনস্টল করার সময় নিজের ইচ্ছেমতো যুক্ত থাকা বিভিন্ন প্রোগ্রাম থেকে যেকোন প্রোগ্রাম ইনস্টল দিতে পারে আবার চাইলে সবগুলি দিতে পারে। এটি বুঝতে হলে আপনি Microsoft Office প্রোগ্রামের দিকে লক্ষ্য করলে ভালো করে বুঝতে পারবেন। যেখানে Word, Excel, PowerPoint, Access সহ বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম একসাথে যুক্ত থাকে।
Spyware:
কম্পিউটারে বা স্মার্টফোনে চোখের আড়ালে বা গোপনে কিছু প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ইনস্টল হয়ে থাকে। তাদের কাজ হচ্ছে গোপনে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহ করে ডেভেলপার অথবা অন্য কোনো স্থানে পাচার করা বা পাঠিয়ে দেওয়া। আর এইরূপ প্রোগ্রামকেই মূলত Spyware বলে থাকে। এগুলো বিশেষ করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করানোর জন্য ব্যবহারকারীর পছন্দ সম্পর্কে জানার জন্য বা বুঝার জন্য এই কাজ করে থাকে।
Nagware:
যে প্রোগ্রামগুলি প্রতিনিয়ত ব্যবহারকারীকে ফ্রি ব্যবহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রয় করার জন্য বা পেইড অথবা প্রিমিয়াম ভার্সন নেওয়ার জন্য মনে করিয়ে দেওয়ার বার্তা প্রদান করে থাকে সেগুলিকে Nagware বলে থাকে। এইরকম প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে গেলে এগুলোর প্রিমিয়াম সার্ভিস নেওয়ার জন্য ব্যবহারকারীকে বারবার বিরক্তিকর বার্তা প্রদান করে থাকে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে কানের কাছে গ্যান গ্যান করে থাকে যা আসলেই খুবই বিরক্তিকর।
Malware:
Malware সাধারণত ‘দূষিত সফ্টওয়্যার’ হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। ম্যালওয়্যার হল এমন এক প্রোগ্রাম যার উদ্দেশ্য থাকে খারাপ ব্যবহারকারীর সম্মতি বা অনুমতি ছাড়াই কম্পিউটারের ডেটা ব্যবহার করে থাকে। এই প্রোগ্রাম কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে একবার প্রবেশ করতে পারলে পুরো কম্পিউটারকে হাইজ্যাক করে ফেলতে পারে।
ম্যালওয়্যার অপারেটিং সিস্টেমের একদম গভীরে লুকিয়ে থাকতে পারে। এমনকি সম্পূর্ণরূপে এটিকে রিমুভ করার বা সরানোর পরেও সে নিজেকে পুনরায় ইনস্টল করতে সক্ষম হয়। তাই এটিকে চাইলে ব্যবহারকারী সহজে রিমুভ করতে পারে না। ভাইরাস, ট্রোজান, ইত্যাদি সবই ম্যালওয়্যার হিসাবে বিবেচিত প্রোগ্রাম।
আর তখনই যারা না বুঝে থাকে তারা বার্তায় দেখানো প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল করে ফেলে। একবার যখন ডাউনলোড এবং ইনস্টল হয়ে যায় প্রোগ্রামটি মিথ্যা ভাইরাস সতর্কতা প্রদর্শন করে এবং তাকে সংক্রমণ (কাল্পনিক) অপসারণের জন্য ‘সম্পূর্ণ সংস্করণ’ ক্রয় করার নির্দেশ দিয়ে থাকে। শেষ পর্যন্ত যদি একজন ব্যবহারকারী পুরো বিষয়টি যে মিথ্যে। তা না বুঝে থাকে তখনই সফটওয়্যারটি ক্রয় করে থাকে এবং টাকা নষ্ট করে ধোঁকার সম্মুখীন হয়।
Abandonware:
প্রোগ্রামটির ডেভেলপার যদি প্রোগ্রামটি ডেভেলপ করা বন্ধ এবং সার্ভিস বা সাপোর্ট করা বন্ধ করে দেয় তাহলে ঐ প্রোগ্রামকে Abandonware হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এই ধরনের কোন প্রোগ্রামের কোন নিত্যনতুন আপডেট, সমর্থন, সাপোর্ট ইত্যাদি থাকে না। যেমন মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের দিকে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন তাদের পূর্বের পুরাতন ভার্সনগুলি থেকে তারা তাদের সাপোর্ট তুলে নিয়েছে। এছাড়াও এই ধরনের প্রোগ্রামের রেজিষ্ট্রেশন কোড অনলাইনে সচারাচর পাওয়া যায়।
অবশেষে আজকের টপিকের উপর আলোচনা করতে করতে একদম শেষপ্রান্তে চলে এসেছি। আশা করি বিষয়টি সম্পর্কে অনেকেই একদম নতুন করে জেনেছেন। আর অনেক জ্ঞানী ভাইরা আছেন যারা আগে থেকে জেনে থাকবেন। এখন কথা হচ্ছে যে আমি কি আমার এই টপিকে কোন “-Ware” ভিত্তিক শব্দ মিস করেছি কিনা? উপরোল্লিখিত ওয়্যারগুলো সম্পর্কে আমার ব্যাখ্যার মধ্যে কোন ভুল ত্রুটি আছে কিনা? যদি থেকে থাকে তাহলে তো আপনাদের জন্য কমেন্ট বক্স আছে কি বলেন। এই বলে আমি আমার আজকের টপিকটি এখানেই শেষ করলাম।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।
সৌজন্যে : বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষায় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক টিউটোরিয়াল সাইট – www.TutorialBD71.blogspot.com নিত্যনতুন বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল পেতে সাইটটিতে সবসময় ভিজিট করুন।
3 thoughts on "Freeware, Free Software, Open Source, Shareware ও Trialware সহ ইত্যাদির মধ্যে পার্থক্য কী?"