আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

ব্যবসায় মার্কেটিং করার কৌশল


আপনি কি ব্যবসা শুরু করবেন বা ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন। আপনি যদি ব্যবসা করে উন্নতি করতে চান তাহলে আপনাকে মার্কেটিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। আপনি যদি মার্কেটিং ভালো না করতে পারেন তাহলে আপনার ব্যবসা উন্নতি বা কাস্টমার পাবেন না।

আপনার ব্যবসায় গ্রাহককে আগ্রাহ করার জন্য আপনাকে ভালো মার্কেটিং করা জানতে হবে। মার্কেটিং করার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্রান্ডের ভ্যালু যেমন বৃদ্ধি করতে পারবেন তেমনই আপনার বিক্রি বেশি হবে। ব্যবসা ভালো করার জন্য আপনাকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আর এই কৌশলটা আপনি ব্যবহার করবেন মার্কেটিং এ।

ব্যবসা করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে পণ্যের মার্কেটিং করতে হবে। মার্কেটিং ছাড়া আপনি কখনোই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পারবেন না সেটা যত বড় ব্যবসায় হোক। কারণ বর্তমানে প্রতিযোগিতার যুগ আপনাকে প্রতিযোগিতা করে মার্কেটে টিকে থাকতে হবে।

আর মার্কেটে টিকে থাকতে গেলে অবশ্যই পণ্যের গুণগত মান ভালো থাকতে হবে এবং পণ্যের মার্কেটিং করতে হবে। বর্তমানে মার্কেটিং ছাড়া ব্যবসা কল্পনাই করা যায় না। আপনি যত ভালো মার্কেটিং করতে পারবেন আপনার গ্রাহক তত বৃদ্ধি হবে।

প্রাচীনকালের মত পণ্যের মার্কেটিং করলে মানুষ আপনার পণ্য গ্রহন করবে না। মার্কেটিং করতে হবে সবার থেকে আলাদা এবং সবার থেকে ভিন্ন ভাবে পণ্যকে তুলে ধরতে পারলে ব্যবসার প্রসার ভালো হবে।

আজকে আমি মার্কেটিং এর কিছু কৌশল এর ব্যাপারে আলোচনা করব। তো বেশি কথা না বলে চলুন জেনে নেই মার্কেটিং এর কিছু কৌশল।

মার্কেটিং কি…?

অনেকে ব্যবসা করবে কিন্তু মার্কেটিং সম্পর্কে কোন ধারণাই নাই। ব্যবসা করার আগে আপনাকে জানতে হবে মার্কেটিং জিনিসটা কি! মার্কেটিং হলো কোন পণ্যকে বা কোন ব্যবসাকে সবার মাঝে অনেক আকর্ষণীয় ভাবে এবং বিশ্বাস যোগ্যভাবে উপস্থাপন করা।

এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন বাজারে এর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আর এটা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই কৌশল অবলম্বন করতে হয়। যাতে কাস্টমার পণ্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়। আপনি যদি ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আপনাকে পণ্যের মার্কেটিং এর দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। আমি এই আর্টিকেলটি দুই পর্বে পোস্টে করব। আজকের পোস্টে ৫টি টিপস শেয়ার করব।

১. কাস্টমার টার্গেট করা

ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে কাস্টমার টার্গেট করতে হবে। কারণ কাস্টমার টার্গেট না করে মার্কেটিং করলে সেই মার্কেটিং এ কোন ফায়দা হবে না উল্টো আরো মার্কেটিং এর জন্য টাকা খরচ হবে। ধরেন আপনি বই বিক্রি করবেন এর জন্য আপনাকে স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে বইয়ের সম্পর্কে মার্কেটিং করতে হবে।

আপনি যদি স্টেডিয়ামে গিয়ে বইয়ের মার্কেটিং করেন তাহলে তো আর বই বিক্রি হবে না। আপনাকে কৌশল করে স্থান, কাল সব কিছু মাথায় রেখে মার্কেটিং করতে হবে।

২. সঠিক স্থান নির্ধারণ

উপরে তো হালকা বুঝতে পেরেছেন যে সঠিক স্থান কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি ড্রেস বিক্রি করেন তাহলে আপনাকে শপিং মলে মার্কেটিং করতে হবে। আপনি যদি হাসপাতালে গিয়ে ড্রেস বিক্রির মার্কেটিং করেন সেখানে আপনি জনগণের পিটনি খেতে পারেন।

তাই আপনার পণ্যের মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে সঠিক স্থান নির্বাচন করতে হবে। তাহলেই আপনি মার্কেটিং করে ব্যবসার প্রসার করতে পারবেন।

৩. বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করা

আপনার পণ্যের মার্কেটিং করার জন্য আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করতে পারেন। প্রোগ্রাম আয়োজনে মাধ্যমে আপনি ক্রেতাদের পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

আপনি চাইলে অনলাইনেও পণ্যের মার্কেটিং করতে পারেন। বর্তমানে প্রায় সব ব্যবসা অনলাইনে মার্কেটিং করা হয়। কারণ অনলাইনে মার্কেটিং করা অনেক সহজে। পণ্য সম্পর্কে ভালো মার্কেটিং করতে পারলে অনেক গ্রাহক পাবেন।

৪. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে গুরুত্ব দেয়া

ডিজিটাল মার্কেটিং তো আমরা সবাই বুঝি অনলাইনে মার্কেটিং করা। আপনার ব্যবসার পণ্য সহজে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে আপনি অনলাইনে মার্কেটিং করতে পারেন। যখন আপনি আপনার পণ্যের প্রচার বা বিজ্ঞাপন অনলাইনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করবেন তখন সেটা ডিজিটাল মার্কেটিং।

এখন সব ব্যবসায়ী ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করে ব্যবসার উন্নতি করছে। আপনার ব্যবসার জন্য আমি ডিজিটাল মার্কেটিং বেছে নিতে সাজেস্ট করব।

৫. গ্রাহক বাজেটে পণ্যের দাম নির্ধারণ

পণ্যের দামটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। পণ্যের মান এবং গ্রাহক বাজেট দুইটা জিনিসই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার পণ্য মার্কেটে আনার আগে আপনার গ্রাহকের বাজেট মাথায় রাখতে হবে। পণ্যের দাম বেশি হলে আপনি সাধারণ কাস্টমার হারাবেন এবং কাস্টমার টার্গেট করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।


আপনি পণ্য নিদিষ্ট কিছু মানুষ ছাড়া আর কেউ ক্রয় করবে না। আবার আপনি যদি পণ্যের দাম কমাতে গিয়ে পণ্যের মান খারাপ করেন তাহলে কিছু সময় পরে সেই পণ্য আর কেউ ক্রয় করবে না।

পরিশেষে কিছু কথা

ব্যবসার জন্য মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে ভালো গুনগত পণ্য বিক্রি করতে হবে এবং সঠিক পরিকল্পনা অনুযায়ী মার্কেটিং করতে হবে। সব জায়গায় মার্কেটিং করলে চলবে না। সঠিক জায়গায় সঠিক মার্কেটিং করতে পারলে আপনার ব্যবসা অতি তারাতাড়ি সফলতা অর্জন করতে পারবে। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

10 thoughts on "আপনি কি ব্যবসা করে চান..? ব্যবসায় মার্কেটিং করার কৌশল। (পর্ব ১)"

  1. Sk Shipon Author says:
    মার্কেটিং সম্পর্কে ধারনা পেলাম।সুন্দর লিখেছেন।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ।
  2. অনেক ভালো লিখেছেন।অনেকের কাজে দেবে পোষ্টটি।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ।
  3. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    যদিও এইগুলো জানা কথা তবে বর্তমানে মার্কেটিং সেক্টরে নতুন কিছু যোগ হচ্ছে আপনার উচিত সেইগুলো কে উল্লেখ করা
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে চেষ্টা করব
    2. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
      জ্বি অবশ্যই
  4. বর্তমানে সব ব্র‍্যান্ড ট্র‍্যাডিশনাল মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ অত্যাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে, ডিজিটাল মার্কেটিং টার্মস গুলো নিয়ে আলোচনা করলে আরো ভালো হতোম
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ইনশাআল্লাহ পরবর্তীতে চেষ্টা করব

Leave a Reply