আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

একজন নতুন বিনিয়োগকারী আরেকজন পুরাতন বা অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীর থেকে কি শিখতে পারে।


আজকে আমি কথা বলব শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা নিয়ে। আপনি যদি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে চান তাহলে আপনাকে বিনিয়োগ করা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে আপনি বিনিয়োগ করে ক্ষতি সম্মুখীন হবেন।

শেয়ার বাজার না বুঝে প্রথমেই যদি বিনিয়োগ করে বসেন তাহলে আপনি ১০০% মধ্যে ৯৯% ক্ষতি সম্মুখীন হবেন। কারণ শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা হলো মাথার খেলা। আপনাকে সব কিছু জানার পরে মাথা ঠিক রেখে বিনিয়োগ করতে হবে।

আপনি যদি শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ করতে চান। তাহলে আপনাকে মাত্র ৫০০ টাকা দিয়ে একটা বিও একাউন্ট ওপেন করার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করতে হবে। এই বিও একাউন্ট খোলার পর একজন বিনিয়োগকারী সাধারনত আইপিও এবং আস্তে ধীরে সেকেন্ডারী মার্কেটে বিনিয়োগ করা শুরু করে।

একজন ব্যক্তি বিনিয়োগ করার আগে হয়ত কম বেশি ধারনা নিয়েই সে বাজারে আসে। তবে বাজারে আসার পর নতুন নতুন জিনিস দেখতে পায় এবং আস্তে ধীরে জ্ঞান অর্জন করে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ চলমান রাখে। আজকে আমাদের আর্টিকেল টপিক একজন নতুন বিনিয়োগকারী আরেকজন পুরাতন বা অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীর থেকে কি শিখতে পারে..?

আমার পরামর্শ হচ্ছে জ্ঞান মানুষকে অভিজ্ঞ করে ভুল জ্ঞান মানুষকে ধ্বংস করে। একজন নতুন বিনিয়োগকারীর কাজ হচ্ছে একজন পুরাতন বা অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীর কাছে থেকে জ্ঞান আহরণ করা।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনি হাতাশা বা ক্ষতির গল্প শুনবেন। অনেক টাকা বিনিয়োগ করে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

তবে আপনাকে এই ক্ষতির মধ্যে থেকে ইতিবাচক কি আছে সেটা খুজে বের করা। কেউ একজন ১০ লক্ষ্য টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে এখন সে ২ লক্ষ্য টাকা লসে রয়েছে তাহলে জানতে হবে কি কারণে লসে রয়েছে। সম্ভাব্য কারণ গুলো জানতে হবে।

১. ব্লকার হাউজের ট্রেডার কথায় শেয়ার কেনা।

আমি এমন অনেক মানুষকে চিনি যা ব্লকার হাউজ ট্রেডারের কথায় শেয়ার কিনে অনেক লসের সম্মুখীন হয়েছে। তার মানে এই না যে তারা ব্লকার হাউজ ট্রেড করে তারা মার্কেট বুঝে না। ভালোই মার্কেট বুঝে সমস্যা হয় টাকা ম্যানেজ করতে। এর মূল কারণ একজন ট্রেডার তার ক্লাইন্টের টাকা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শেয়ার কিনতে থাকে।

আবার অনেক সময় দেখা যায় অল্প লাভে শেয়ারটি সেল করে দেয়। দাম যখন কমতে শুরু করে তখন সেল না নিয়ে অনেক দাম কমলে শেয়ারটি সেল দিয়ে আরেকটি শেয়ার কিনে ফেলে। তাই একজন নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে এ বিষয়ে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

২. বছরে হাই প্রাইস এ শেয়ার কেনা।

বর্তমানে দেখা যায় একজন বিনিয়োগকারী বছরে সর্বোচ্চ দামে শেয়ার কিনে ফেলে। ফল সরূপ অনেক টাকা লস করে। একটা উদাহরণ দেওয়া যাক ধরেন একটা Abc লিমিটেড নামে কোম্পানির সর্বোচ্চ দাম বছরের মধ্যে সর্বোনিম্ন দাম ১৮ টাকা এবং সর্বোচ্চ দাম ৩২ টাকা। কোন একজন ব্যক্তি যদি সেই শেয়ারটি ৩১ বা ৩২ টাকায় কিনে তাহলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে লসে পড়তে পারে।

খালি চোখে ২১ বা ২২ টাকায় শেয়ারটি কিনতে পারলে লাভ করা যেতে পারে। তাই আপনি যেই দামে শেয়ারটি কিনবে এর আগে সেই শেয়ারের ৫২ সপ্তাহ বা ১ বছরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ম দাম দেখতে হবে।

৩. না বুঝে শেয়ার কিনা।

অনেক সময় দেখা যায় একজন বিনিয়োগকারী হুট করে না বুঝে শেয়ার কিনে ফেলে। সেই শেয়ারের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো একদম আমলে নেয় না। শুরুর দিকে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী এই ভুলটি করে থাকে যা আপনাকে লসে মধ্যে ফেলে দেয়। তাই এই ভুল গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।

৪. একবারে শেয়ার কিনা বা সেল করা।

আমাদের মধ্যে অনেকের মুখে শুনা যায় যখন সে শেয়ার কিনে তখন শেয়ার দাম বেড়ে যায় আবার যখন শেয়ার সেল করে তখন দাম কমে যায়। এই সমস্যা খুবই কমন। তবে এ সমস্যার সমাধান হলো একবারে শেয়ার কেনা বেচা করা যাবে না।

আপনি ১০ লক্ষ্য টাকা নিয়ে বাজারে আসলে আর ১০ লক্ষ্য টাকা শেয়ার কিনে বসে আছেন। দাম কমলে লসে পড়ে যাবেন আবার দাম বাড়লে লাভবান হবেন তাহলে এই অনুভুতি সাফল্য আনতে পারে না। আপনার উচিত হবে একসাথে শেয়ার না কিনা এবং একই থাকে দাম বাড়ার সাথে সাথে হাতে থাকা সবগুলো শেয়ার সেল না দেওয়া। এক্ষেত্রে আপনাকে অংক করতে হবে আপনাকে ঠিক করতে হবে একটা কোম্পানির মোট কতগুলো শেয়ার আপনি কিনতে চান।

ধরেন Abc লিমিটেডের আপনি ৫ হাজার শেয়ার কিনতে চান। তাহলে এক্ষেত্রে একবারে না কিনে প্রথমে ২ হাজার কিনতে পারেন তারপর দাম কমলে আরো ২ হাজার এভাবে শেয়ার কিনতে পারেন। একইভাবে সেল করার সময় এই নিতি অনুযায়ী কাজ করলে সফলতা আসতে পারে।

৫. একদমই কারো উপদেশ না নেওয়া।

আপনি হয়ত ভালো ইংরেজি বলতে পারেন তাই বলে আপনি ভালো দৌড়াবিদ নাও হতে পারেন। একজন কামার জানে কিভাবে লোহা পিটিয়ে সোজা বানাতে হয়। সোজা মাপে একজন দরজিও কাপড় সেলাই করতে পারে। কাপড় বানাতে চাইলে অবশ্যই দারজির কাছে যেতে হবে।

যখন আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করবেন তখন আপনি বই পড়ে ইউটিউব ভিডিও দেখে ধারণা পাবেন তবে প্রথমিক ধারণা জন্য একজন অবিজ্ঞ বিনিয়োগকারী সহায়তা করতে পারে। আমাদের বাস্তব জীবনে একজন মানুষের সাথে ৫ মিনিট কথা বললে তাহলে দেখবেন সেই মানুষের মধ্যে খারাপ ও ভালো উভয় গুণ রয়েছে। আপনি কোনটা গ্রহন করবেন আপনার উপর ডিপেন্ট করে। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

15 thoughts on "একজন নতুন বিনিয়োগকারী আরেকজন পুরাতন বা অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীর থেকে কি শিখতে পারে।"

  1. ভালো লিখেছেন।আর আপনি অনেক তাড়াতারি পোষ্ট করছেন অনেক ভালো।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ
    2. আপনাকেউ ওয়েলকাম।
    3. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ওকে
    4. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      জ্বি
  2. Sk Shipon Author says:
    অনেক সুন্দর লিখেছেন, এবং কার্যকারি পোস্ট।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ।
  3. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    আমি ভাবছিলাম কোথাও বিনিয়োগ করবো টাকা,, এটা দেখে ভালো হলো আমার জন্য
  4. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    ভালো হলো বিনিয়োগ করতে সুবিধা হবে
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      হুম
  5. Md Ibrahim Hossen Contributor says:
    Thank you for your kind information.
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ।
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ।

Leave a Reply