কিভাবে অনলাইনে একটা ই-পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন ?
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
কেমন আছো সবাই আসা করি সবাই আল্লাহর রহমতে ভাল আছো আমি তোমাদের দোয়া ভাল আছি। আজ আমি একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আমি হাজির হলাম। আজকের পোস্টের বিষয় হচ্ছে কিভাবে ঘরে বসে দালাল ছাড়া নিজে নিজে একটা পাসপোর্ট করবেন। আমি আপনাদের সম্পুর্ন প্রসেসিং পদ্ধতির শিখিয়ে দিব যে পদ্ধতির মাধ্যামে আমি নিজে ও পাসপোর্ট করেছি কোন রকম জামেলা বা দালালের প্রয়োজন হয় নাই। সম্পুর্ন পোস্টের সাথে থাকুন।
আমরা অনেক আছি যারা বিদেশে কাজ করার জন্য যাই বা ভ্রমণ করি তাদের অনেকে বিদেশ যাওয়া জন্য একটা পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়৷ আর এই পাসপোর্ট করতে আমাদের দালালের সাহায্য নিতে হয়।এক এর পর এক জামেলা পড়তে হয়। আজকের পোস্ট টি সটিক ভাবে পড়লে আমার মনে হয় আর কোন দালালের সাহায্য নিতে হবে না । আমি নিজে অনলাইনে আবেদন করে পাসপোর্ট করেছি মাত্র ১৮ দিনে আমার পাসপোর্ট হাতে পেয়ে যাই।
তাহলে দেখে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনে একটা পাসপোর্ট জন্য আবেদন করবো।
ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে হলে আমাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের সাহায্য আমরা আবেদন করতে পারি। আবেদন করার জন্য প্রথমে ই-পাসপোর্ট এর সাইটে প্রবেশ করতে হবে ?E-passport
ওয়েবসাইট প্রবেশ করার পর এই রকম আসবে এর পর পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
স্কীনে দেখানো অংশে আমাদের জেলা আর পুলিশ স্টেশন দিয়ে পরবর্তী ধাপ যেতে হবে।
ই-পাসপোর্ট করার জন্য আমাদেরকে প্রথমে তাদের ওয়েবসাইটে একটা জিমেইল দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। তারপর পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
স্কীনে দেখানো অংশে আমাদেরকে একটা সচল ফোন নাম্বার দিতে হবে। তারপর পরবর্তী ধাপ যান।
এখানে একটা ভাল পাসওয়ার্ড দিন যে পাসওয়ার্ড লগ ইন করার ক্ষেত্রে আমাদের লাগবে। তারপর পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
create account ক্লিক দিন। তারপর পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
যে জিমেইল দিয়ে আমরা অ্যাকাউন্ট করেছি সেই জিমেইল একটা লিংক দিয়েছে পাসপোর্ট ওয়েবসাইট থেকে আমাদেরকে এই লিংকে ক্লিক করতে হবে।
লিংকে ক্লিক করার পর দেখুন আমাদের জিমেইল অ্যাক্টিভ হয়ে গেছে। তারপর সাইন ইন করতে হবে।
আমরা যে জিমেইল বা পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট করেছিলাম সেটা দিয়ে সাইন ইন করবো।
এখানে যেহেতু আমরা নতুন একটি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবো তাই এখানে আ্যপ্লাই ফর নিউ ই-পাসপোর্ট ক্লিক দিন।
এখানে আমাদের যাবতীয় সব ইনফরমেশন দিয়ে সকল ডাটা পূরুণ করতে হবে। এখানে আমাদের একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যাবতীয় সব কিছু আমাদের এন আইডি অনুযায়ী সব কিছু পূরুণ করতে হবে।
এখানে আমাদের পাসপোর্ট টাইপ সিলেক্ট করতে হবে। অডিনারী আর অফিসিয়াল দেয়া আছে আমরা এখান থেকে অডিনারী সিলেক্ট করবো। কারন অফিসিয়াল টা হচ্ছে সরকারি বা কর্মকর্তা জন্য প্রযোজ্য। তারপর পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
এখানে আমাদের প্রারসনাল তথ্য দিতে হবে অবশ্যই এন আইডি কার্ড অনুযায়ী দিবেন। নিজের জন্য হলে i apply for myself এটা ক্লিক করে দিবেন।
এখানে সব কিছু আপনার এন আইডি কার্ড অনুযায়ী বসান।
এন আইডি কার্ড অনুযায়ী সব address এখানে দিয়ে দিন কারন এই address পুলিশ ভেরিফিকেশন করবে।
স্কীনে দেখানো অংশে present address same হলে এই টিক টি দিয়ে দিন আর সেইম না হলে এখানে এন আইডি কার্ড অনুযায়ী বসিয়ে দিন।
স্কিনে দেখানো No এই অফশনে আমাদের ক্লিক করতে হবে। আর উপরে যে দুইটা অফশন আছে সেটা হল পৃর্বে আমার কোন পাসপোর্ট থাকলে সেটা সিলেক্ট করে দেওয়া জন্য বলা হয়েছে।
এখানে আমরা No তে ক্লিক দিব। এখানে বলা হয়েছে আমআদের অন্য কোন দেশের পাসপোর্ট আছে কি না। আমাদের যেহেতু অন্য দেশের কোন পাসপোর্ট নাই।
স্কিনে দেখানো অংশে আমাদের পিতা মাতার সব তথ্য দিতে হবে অবশ্যই পিতা মাতার এন আইডি কার্ড অনুযায়ী দিবেন।
এখানে আপনার গ্রাডিয়ান ইনফরমেশন দিতে হবে।
গ্রাডিয়ান ইনফরমেশন দিলে এখানে সব কিছু দিয়ে পরবর্তী ধাপ যেতে হবে।
এখানে আপনার বৈবাহিক অবস্থা উল্লেখ করতে হবে। বিবাহিত থাকলে স্ত্রী/স্বামীর নাম দিতে হবে।
স্কীনের দেখানো অংশে আমাদের Emergency নাম্বার দিতে হবে যাতে কোন জরুরি কাজেত ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অফিস হতে যোগাযোগ করতে পারেন কোন প্রয়োজনে।
এখানে আমাদেরকে পাসপোর্ট পেইজ সিলেক্ট করতে হবে এবং কত বছরের জন্য আপনি পাসপোর্ট করবেন তা সিলেক্ট করতে হবে। যারা বেশি ভ্রমন করেন তারা ৬৪ পেইজ সিলেক্ট করতে পারেন। তারপর পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
স্কিনে দেখানো অংশে এখানে দুইটা সার্ভিস দেওয়া আছে। রেগুলার হচ্ছে এক মাসের মধ্যে আর এক্সপোর্ট হচ্ছে ১৫ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। আমি এক্সপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছি আপনার আপনাদের ইচ্ছা মত আবেদন করতে পারেন।
এখানে আমাদের আবেদনের সম্পুর্ন কিছু ওভারভিউ দেখানে আমাদের ১০-১৫ মিনিট সময় নিয়ে ভাল করে দেখে আবেদন করবেন আর কোন কিছু ভুল হলে edit অফশন হতে পরিবর্তন করতে পারবেন। তারপর পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
এখানে ক্লিক করে আমাদের পেমেন্ট প্রসেজ যেতে হবে।
উপরে দেখানো ব্যাংক হতে আমাদের পাসপোর্ট টাইপ অনুযায়ী পেমেন্ট পরিশোধ করতে হবে। আমার কাছে A- CHALLAN অনেক ভাল মনে হয় কারন এই চালান যেকোন কম্পিউটার দোকানে পাওয়া যায়। আর কোন ব্যাংকে লাইনে দাড়িয়ে সময় নস্ট করার প্রয়োজন হয় না।
স্কীনে দেখুন আমাদের আবেদন টি সটিক ভাবে সাবমিট হয়ে গেলো। তারপর পরবর্তী ধাপ অনুসরণ করুন।
এখানে আমাদের প্রিন্ট সামারী দেখাবে এখান থেকে আমরা এটা ডাউনলোড করে ফোনে ফাইল টি রেখে দিব।
এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে ফেলুন
ডাউনলোড করার পর আমাদের ৩ পেইজের একটা পিডিএফ কপি পাবো সেটা প্রিন্ট করে নিবেন আর যাবতীয় সব তথ্য দিয়ে আমাদের পাসপোর্ট অফিস জমা দিয়ে দিতে হবে। ফাইল টি যে দিন জমা দিবেন সেইদিন পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ আপনার কাছে থেকে ১০ আঙ্গুলের ফিঙ্গার ২ চোঁখের আইরিশ নিবে। এগুলা দিয়ে আসবেন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ এখন পুলিশ ক্লিলারেন্স এর পালা দুই এক দিনের মধ্যে পুলিশ আপনার বাড়ি গিয়ে সব ডকুমেন্টস চেক করে পুলিশ ক্লিলারেন্স দিয়ে দিবে। ব্যাস কাজ হয়ে গেল এখন পাসপোর্ট এর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
স্কীনে দেখানো পাসপোর্ট টি আমি ১৭ দিন পর এসএমএস পাই যে আমার পাসপোর্ট টি রেডি পাসপোর্ট টি অফিসে এসে নিয়ে যান। ১৮ দিন পরে আমি আমার জীবনের এই প্রথম পাসপোর্ট টি হাতে পেয়ে যাই।
বি দ্রঃ পোস্টের শেষে কিছু কথা পোস্ট লিখতে অনেক কস্ট হয়ে সবাই একটা কমেন্ট লাইক করবেন আর নিচে দেওয়া ওয়েবসাইট টি ভিজিট করে আসবেন কারন আপনাদের অনুপ্রেরণা পোস্ট লেখার উৎসাহ পাই।
My Website: Technical Alim
ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে।
যেদিন কাগজ পাসপোর্ট অফিসে জমা দিতে যাবো সেদিন আবার হয়রানি হতে হবে নাতো?
আপনার ক্ষেত্রে জমা দেওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা জানতে চাই।
তবে জায়গাভেদে এমন না হতেও পারে। তবে ৯৫% পাসপোর্ট অফিসে একি অবস্থা ⚠️। লজ্জাজনক হলেও দালাল ধরাটাই বেটার অপশন বলা জেতে পারে। ?
লিংক?
টোটাল কতো খরচ হয় এটাতে?
আর কাগজ পাতি কবে জমা দিতে হয়?
যেদিন সিডিউল টাইম দেয়,না কি তার আগে যেতে হয়।