আসসালমুআলাইকুম প্রিয় trickbd এর সকল সদস্যগণ। কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো আছেন মহান আল্লাহ এর রহমতে। আমিও ভালো আছি বলেই হাজির হয়েছি আপনাদের সকলের মাঝে নতুন কিছু নিয়ে।

ছাত্র জীবন হলো বড়ই অদ্ভুত একটা সময় এই সময় অনেক কিছু আমাদের ফেস করতে হয়। মা বাবা পরিবার সবার স্বপ্ন থাকে সেই স্বপ্ন গুলো কে পূরণ করতে চেষ্টা করতে হয়। অনেক চাপ এর মধ্যে থাকতে হয় শুধু ভালো কিছু করার আশা নিয়ে।

কিন্তু সেই অতিরিক্ত চাপ মানসিকভাবে অনেক বাধা এর সৃষ্টি করে জীবনে। মানসিক রোগ গুলো ধীরে ধীরে শরীরে বাধা শুরু করে। এবং আস্তে আস্তে নিস্তেজ করে দেই জীবন কে। যার ফলে হাজার চেষ্টা করেও ভালো কিছু অর্জন করা সম্ভব হয়ে পড়ে নাহ।

বর্তমানে প্রায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের আত্নহত্যার প্রবণতা বেড়েই যাচ্ছে, পেপার পত্রিকা টিভি সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই প্রায় শোনা যায় কোনো না কোনো শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। মানসিক রোগ গুলো শিক্ষার্থী এর জীবনে গ্রাস করে চলেছে। যার ফলাফল হিসেবে বিভিন্ন অপমৃত্যু ঘটছে।

তো কিভাবে বুঝবেন আপনি নিজেই মানসিক রোগ নিয়ে বাস করছেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা অনুযায়ী পরিবার গুলো শিক্ষার্থী দের কে সব কিছু তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সবাই সেটা নিতে পারে না ,,ফলাফল তীব্র হতাশা নিয়ে জীবন এর শেষ প্রান্তে এসে পৌঁছায়।

আপনি যখন দেখবেন আপনি নিজে খুব ভালো একজন শিক্ষার্থী সব কিছু তেই আপনি এক্সপার্ট তবে ধীরে ধীরে কোনো প্রকার কারণ ছাড়া মনোযোগ কে ধরে রাখতে পারছেন না। নিজের পড়াশোনা নিজের ব্যক্তিগত কাজে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। ঠিক তখনই বুঝবেন কোনো না কোনো ভাবে আপনি মানসিক রোগ এ ভুগছেন।

হুট হাট মুড সুইং হচ্ছে। ধরুন আপনি হাসি খুশি আছেন কিন্তু হুট করেই নিজের মধ্যে এমন অনুভব করছেন যে আপনি বড়ো একা নিজের কেউ নাই ভালো কোনো অর্জন নেই। নিজের অজান্তেই আপনি নিজের ক্ষতি করছেন। মুড সুইং হলে কাউকে বুঝানো মুশকিল যে কি হচ্ছে নিজের মাঝে। ফলাফল হিসেবে অতিরিক্ত মুড সুইং এর ফলে ফলাফল অপমৃত্যু।

আগে অনেক ক্ষেত্রে মনোযোগী ছিলেন দৌড়াদৌড়ি আড্ডা খেলাধুলা সব ক্ষেত্রেই থাকেন কিন্তু আজকাল নিজের মধ্যে ক্লান্তি কাজ করে কিছুই ভালো লাগে না সব কিছু তে বিরক্তি এর ছাপ আসে। বুঝে নিবেন আস্তে আস্তে আপনি মানসিক ভাবে একা হয়ে যাচ্ছেন। এবং একাকীত্ব বোধ হয়ে গেলে দুর করা কঠিন।

নিজের কাছে নিজের দেওয়া কথা না রাখা, স্বাভাবিক সময় এর চাইতে বেশি বেশি দুশ্চিন্তা করা নিজের মৃত্যু কে প্রতিদিন কামনা করা এমন হলেই আপনার একজন ভালো কোন মনোবিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে হবে।

কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনেক চিন্তা ভাবনা করা। বেশি চাপ অনুভব করা। কোনো কিছু তে নিজেকে আকৃষ্ট করতে না পারা জনিত বিভিন্ন সমস্যা জীবনে ফেস করা। তাহলে অবশ্যই বুঝে নিতে হবে আপনার মধ্যে মানসিক রোগ গুলো বিস্তার হচ্ছে। তাই নিজেকে এইসব এর মধ্যে থেকে দূরে রাখুন। পরিবার কে সময় দিন বিজি থাকুন। ইনশাআল্লাহ আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন।

তো এই ছিল বিস্তারিত ধন্যবাদ সবাইকে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য লিখার মধ্যে বানান এর ত্রুটি হয়ে যায় ভুল করে অনুঘপূর্বক নিজ গুনে ক্ষমা করবেন।দেখা হচ্ছে খুব জলদি নতুন কিছু নিয়ে

One thought on "শিক্ষার্থীদের মানসিক রোগ এবং আত্মহত্যা প্রবণতা এর কারণ কি!! জেনে নিন"

  1. mithu8099 Author says:
    আপনি নিজের ভীষন্নতা থেকে পোস্টটি লিখেছেন?,, দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বাস্তবতার সাথে মিলে গেলো। জীবনটা এমনই হয়! “একুল ভাঙে_ওকুল গড়ে”?, ধৈর্য ধরে বয়সটা পার করতে পারলেই সাফল্য আসবে…✌️

Leave a Reply