[start]

 হ্যাকিং অনেক ধরনের,যার কোন শেষ নেই।কিন্ত আমরা আমাদের চোখের সামনে বা খবরে যেটা দেখি কেবল মাত্র সেটাই জেনে থাকি।কিন্ত আমরা যেগুলো জানি তার থেকে আরো ভয়ংকর হ্যাকিং বা হ্যাকার আছে যারা নিজের পরিচয় গোপন রাখে এবং এসব কাজে নিজের পরিচয় দেয় না।হ্যাকিং মানে আমরা বর্তমান বা আগে থেকে যেটা জেনে আসছি সেটা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাই হ্যাক,ফেইসবুক আইডি হ্যাক,ইমেইল হ্যাক,মোবাইল হ্যাক ইত্যাদি।কিন্ত এর নাগালে আরো অনেক হ্যাকিং আছে যা আমাদের সবার জানা নেই।

মাধ্যমেই

লাইক দিন আমার facebook পেজে

হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। যারা এ হ্যাকিং করে তারা হচ্ছে হ্যাকার। এসব কথা তোমরা প্রায় সবাই জান। আমরা প্রায় সবাই জানি হ্যাকিং বলতে শুধু কোন ওয়েব সাইট হ্যাকিং আবার অনেকের ধারনা হ্যাকিং মানে শুধু কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করা, আসলে কি তাই? না আসলে তা না। হ্যাকিং অনেক ধরনের হতে পারে। তোমার মোবাইল ফোন, ল্যান্ড ফোন, গাড়ি ট্র্যাকিং, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ও ডিজিটাল যন্ত্র বৈধ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে তা ও হ্যাকিং এর আওতায় পড়ে। হ্যাকাররা সাধারনত এসব ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রের ত্রূটি বের করে তা দিয়েই হ্যাক করে।

হ্যাকারঃ যে ব্যক্তি হ্যাকিং practice করে তাকেই হ্যাকার বলে। এরা যে সিস্টেম হ্যাকিং করবে ঐ সিস্টেমের গঠন, কার্য প্রনালী, কিভাবে কাজ করে সহ সকল তথ্য জানে। আগে তো কম্পিউটারের এত প্রচলন ছিলনা তখন হ্যাকাররা ফোন হ্যাকিং করত। ফোন হ্যকার দের বলা হত Phreaker এবং এ প্রক্রিয়া কে বলা হ্য Phreaking। এরা বিভিন্ন টেলিকমনিকেশন সিস্টেমকে হ্যাক করে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করত।

হ্যাকার প্রধানত দুইধরনের দেখা যাই।

  1. Ethical Hacker
  2. N0n-Ethical Hacker 

এদের আর অনেক ভাগ আছে এদের কাজে দিক দিয়ে। হ্যাকারদের চিহ্নিত করা হয় Hat বা টুপি দিয়ে। এদের মধ্যে কিছু হলঃ-

  • White hat hacker

  • Grey hat hacker

  • Black hat hacker

  • Green hat hacker

  • Red hat hacker

  • yellow hat hacker

  • Blue hat hacker

আরও অনেক আছে তবে এইগুলাই প্রধান। এদের কাজের কিছু ধরন নিচে দেওয়া আছে।

 

 

  • Black hat hacker: আর সবছেয়ে ভয়ংকর হ্যাকার হচ্ছে এ Black hat hacker। এরা কোন একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রূটিগুলো বের করলে দ্রুত ঐ ত্রূটিকে নিজের স্বার্থে কাজে লাগায়। ঐ সিস্টেম নষ্ট করে। বিভিন্ন ভাইরাস ছড়িয়ে দেয়। ভাবিষ্যতে নিজে আবার যেন ঢুকতে পারে সে পথ রাখে। সর্বোপরি ঐ সিস্টেমের অধিনে যে সকল সাব-সিস্টেম রয়েছে সে গুলোতেও ঢুকতে চেষ্টা করে।

 

  • White Hat Hacker: সবাই তো মনে করে হ্যাকিং খুবই খারাপ কাজ তাই না? না হ্যাকিং খুব খারাপ কাজ না। White Hat Hacker হ্যাকাররাই প্রমান করে যে হ্যাকিং খারাপ কাজ না।যেমন একজন White Hat Hacker একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রূটিগুলো বের করে এবং ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে ত্রূটি দ্রুত জানায়।সিকিউরিটি সিস্টেমটি হতে পারে একটি কম্পিউটার, একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে্‌ একটি ওয়েব সাইট, একটি সফটওয়্যার ইত্যাদি।

 

  • Grey Hat Hacker: এরা হচ্ছে দু মুখো সাপ। কেন বলছি এবার তা ব্যাখ্যা করি। এরা যখন একটি একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রূটিগুলো বের করে তখন সে তার মন মত কাজ করবে। তার মন ঐ সময় কি চায় সে তাই করবে। সে ইচ্ছে করলে ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে ত্রূটি জানাতেও পারে অথবা ইনফরমেশনগুলো দেখতে পারে বা নষ্টও করতে পারে। আবার তা নিজের স্বার্থের জন্যও ব্যবহার করতে পারে। বেশিরভাগ হ্যাকাররাই এ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে।

 

  • Blue hat hacker :- এরা আসলে হ্যাকিংয়ের সাথে তেমন জড়িত নয় কোন সফটওয়ার বা সিস্টেম শুরু করার পূর্বে এরা ঐ সফটওয়ার বা সিস্টেমের খারাপ বা ক্ষতিকারক দিকগুলো যাচাই বাছাই করে তা শোধরানের চেষ্টা করে।

 

  • green hat hacker:-এদের কাজ হলা আনলাইন এ সাধারন মানুষদের নিরাপত্তা দেওয়া।এরা যে কোন সময় যে কোন কাজ করতে পারে। এরাই সাধারন মানুষের কাছে সেরা।

 

  • Red hat hacker:-আপনারা টিভি অথবা ফ্লিমে দেখে থাকবেন যে পুলিশদের সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাহায্য করার জন্য কিছু হ্যাকার আছে। এরাই Red Hat, এদের কাজ হল পুলিশদের জন্য হ্যাকিং করা।

আর কিছু আছে। যেমন –

  • Hacktivist:-এরা মূলত কোন রাজনৈতিক ব্যাপার ধর্ম সোসাল অ্যাটাক ইত্যাদির সাথে জড়িত। তবে অধিকাংশ হ্যাকটিভিস্টরা মূলত ডস অ্যাটাক বা ডি- ডস অ্যাটাকের সাথেই জড়িত।

 

  • Anarchists: Anarchists হচ্ছে ঐ সকল হ্যাকার যারা বিভিন্ন কম্পিউটার সিকিউরিট সিস্টেম বা অন্য কোন সিস্টেম কে ভাঙতে পছন্দ করে। এরা যেকোন টার্গেটের সুযোগ খুজে কাজ করে।

 

  • Crackers:- অনেক সময় ক্ষতিকারক হ্যাকার দের cracker বলা হয়। খারাপ হ্যকাররাই Cracker। এদের শক বা পেশাই হচ্ছে ভিবিন্ন পাসওয়ার্ড ভাঙ্গা এবং Trojan Horses তৈরি করা এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক সফটয়ার তৈরি করা।ক্ষতিকারক সফটওয়ারকে Warez বলে। এসব ক্ষতিকারক সফটওয়ারকে তারা নিজেদের কাজে ব্যবহার করে অথবা বিক্রি করে দেয় নিজের লাভের জন্য।   (তুমি কি এদের একজন? তাহলে তো তুমি ই হচ্ছ হ্যাকিং এর কিং)

 

  • Script kiddies: এরা কোন প্রকৃত হ্যকার নয়। এদের হ্যাকিং সম্পর্কে কোন বাস্তব জ্ঞান নেই। এরা বিভিন্ন Warez ডাউনলোড করে বা কিনে নিয়ে তার পর ব্যবহার করে হ্যাকিং।

হ্যাকাররা অনেক বুদ্ধিমান এটা সর্বোজন স্বীকৃত বা সবাই জানে। অনেক ভালো ভালো হ্যাকার জীবনেও কোন খারাপ হ্যাকিং করেনি। কিন্তু তারা ফাঁদে পড়ে বা কারো উপর রাগ মিটানোর জন্য একটি হ্যাকিং করল। তখন আমরা তাকে উপরের কোন ক্যাটাগরিতে ফেলবো? সেও Grey Hat Hacker কারন তার হ্যাকিংটা নির্ভর করছে তার ইচ্ছে বা চিন্তার উপর।

আরও অনেক ধরনের হ্যাকিং আছে যা গুনে শেষ হবে না,   আজ এইটুকু ।

[end]

প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলHamwap.com এ

Leave a Reply