সাইবার নিরাপত্তাঃ
বিশেষজ্ঞদের উচিৎ সরকারের কাছে একটা দাবি উত্থাপন করা। সরকার যেন একটা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে, Bangladesh Cyber Intelligence & Sensor Board (BCISB) এই ধরনের অথবা তাদের পছন্দ মত যেকোনো নামে।
সরকারী কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যেক্তি ব্যবহারের জন্য কম্পিউটার, পেন্ড্রাইভ, ক্যামেরা, স্মার্ট ফোন সহ যেকোন ধরনের ডিজিটাল সামগ্রী কিনলে সেগুল ব্যবহারের আগে BCISB দারা পরিক্ষা করতে হবে। BCISB যদি মনে করে ডিভাইস্ টি রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যবহার উপযোগী তাহলে তারা ডিভাইসের উপর একটা সিল মেরে দিবে, যে এটা “অনুমদিত”।BCISB কত্রিক অনুমদিত নয় এরকম ডিভাইস ব্যবহার করলে উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনা যেতে পারে।
এবার BCISB গঠন সম্পর্কে।
এদের দুইটা পরীক্ষাগার থাকবে হার্ডওয়ার এবং সফটওয়ার। কারন, হার্ডওয়্যারের মদ্ধ্যেও ম্যালওয়ার বিল্ট-ইন থাকতে পারে, আবার সফটওয়্যারের মদ্ধেও ম্যালওয়্যার থাকতে পারে।
উধারনঃ এন্টিভাইরাস সাপ্লায়ার থেকে আপনি এন্টিভাইরাস কিনলেন। এখন, এন্টিভাইরাস সাপ্লায়ার যদি তার এন্টিভাইরাসের সাথে ক্ষতিকর ম্যালওয়ার জুক্ত করে সিডি রাইট করে আপনার কাছে লাইসেন্স সহ বিক্রি করে আপনার কোন কিছুই করার থাকবে না।আপনি বিশ্বাস করে এন্টিভাইরাস সাপ্লায়ার দেয়া এন্টিভাইরাস ইন্সটাল করার সাথে সাথে আপনার সাথে ক্রিমিনালের কম্পিউটারের একটা কানেকশন তইরি হয়ে যাবে।
সুতারাং BCISB এর যেমন হার্ডওয়ার পরিক্ষা করতে হবে তেমনি সফটওয়্যারেরও পরিক্ষা করতে হবে।
ব্যবহার কারির সাইবার সিকুরিটি বিষয়ক প্রশিক্ষন থাকতে হবে।
সাইবার জগতকে সুরক্ষিত রাখতে হলে অবশ্যই আমাদের নিরাপদ ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে। ডিভাইস নিরাপদ কি না তা নিচ্ছিত করার দায়িত্ব থাকবে CISB এর উপর। এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থা বা স্পেশাল বাহিনীদের জন্য নিজশ্য ল্যাব এবং দক্ষ জনবল তইরি করতে হবে। BCISB থেকে অনুমোদিত ডিভাইস গুলো পুনরায় তাদের ল্যাবে পরীক্ষা চালিয়ে কনফরম হয়ে ব্যবহার করতে হবে।
মুল কথা হচ্ছে আগে রাষ্ট্রকে বাচাতে হবে তার পর ব্যেক্তি। অর্থাৎ আপনি রাষ্ট্রের নিরাপত্ত নিচ্ছিত করতে পারলে অটমেটিক্যালি ব্যক্তির নিরাপত্তাও চলে আসবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
Bangladesh Cyber Intelligence & Sensor Board (BCISB)
2 thoughts on "সাইবার নিরাপত্তায় সরকারী উদ্যোগ প্রসঙ্গে"