আসসালামু আলাইকুম
প্রিয় বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি খুব ভাল আছেন এবং আগামি তে যেন সব সময় ভালো থাকেন এই কামনা রইলো। এবং আমার জন্য দোয়া করবেন…….
আপনি যদি এখন wifi ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই আমার youtube
চেনেল টি সাবস্রিকাইব করেন, আমি চাইনা আপনার
মুল্যবান মোবাইল ডেটা খরচ হোকসাবস্রিকাইব করতে এখানে ক্লিক করুন
হারানো মোবাইল খুঁজে পাওয়ার উপায়
আপনি একটু সচেতন হলে আপনার দামী মোবাইল ফোনটি চুরি হওয়ার পর চোরের হাত থেকে সহজেই উদ্ধার করতে পারেন।
মোবাইল কেনার আগের ভাবনা:
মোবাইল কেনার সময় দুটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন।
১. পাওয়ার বাটন দশ সেকেন্ড চেপে ধরে থাকলে মোবাইল কি বন্ধ হয়ে যায়?
২. ব্যাটারি কি খোলা যায়?
যদি উল্যিখিত দু’টি প্রশ্নেরই উত্তর ‘না’ হয় তবে আপনার স্মার্টফোনটি চুরি হয়ে গেলে চোরকে হাতেনাতে আপনি নিজেই ধরতে পারবেন।
তবে চোর ধরার ব্যবস্থা চুরি যাওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই করতে হবে।
দেরী হলে বুদ্ধিমান চোর ফোনটি রুটেড (মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন করার ক্ষমতা লাভ করা) করে ফেলবে।
আর আপনার কোনো সেটিংসই সে রাখবে না।
আর এর উত্তর “হ্যাঁ” হলে এমন মোবাইল না কেনাই ভালো।
এরকম মোবাইল চোরের হস্তগত হলে সে সহজেই সেটি পাওয়ার অফ করে দিতে পারবে।
ফলে তাকে বা মোবাইলকে লোকেট করতে পারবেন না।
মোবাইল কেনার পর করনীয়:
মোবাইল কেনার পর প্রথম কাজটি হলো সেটি সিকিউর করা।
এর জন্য নিচের পরামর্শগুলি একে পালন করুন।
১. ২৪ ঘন্টার জন্য মোবাইলকে ইন্টারনেটের সাথে কানেক্ট রাখুন।
বাসায় যারা ওয়াইফাই ব্যবহার করেন তারা বাইরে যাওয়ার সময় মোবাইল ডেটা অন রাখুন।
প্রয়োজনে মোবাইল সিকিউরিটির জন্য ৩১ দিনের একটা মোবাইল ডাটাপ্যাক ডেডিকেটেড রাখুন।
অন্তত যেখানে চুরি হওয়ার ভয় থাকে সেখানে ইন্টারনেট অন করে রাখুন। এটা মোবাইল সহজে খুঁজে পাওয়ার একমাত্র পথ।
২. GPS বা লোকেশন সার্ভিস অন রাখুন ২৪ ঘন্টার জন্য। গুগল ম্যাপ আপনাকে পিনপয়েন্ট লোকেট করার জন্য GPS ব্যবহার করে।
এটা বিপদকালীন সময়ে আপনাকে লোকেট করতে পুলিশের কাজে লাগে।
৩. মোবাইল অনুযায়ী নিচের কাজগুলো করুন।
Samsung:
i) Settings < Security < Find My Mobile < Remote Controls এক্টিভেট করুন। Add account এ Samsung এর
ওয়েবসাইটের জন্য একটা একাউন্ট খুলুন।
Use wireless network চেকবক্সে টিকমার্ক দিন, Location consent এ agree করুন।
i) Settings < Security < my Xperia টাচ করুন,
Sony:
Activate টাচ করুন,
তারপর Accept to agree to the terms and conditions for my Xperia. টাচ করুন। এটা my Xperia ওয়েবপেজে আপনাকে একটা একাউন্ট খুলতে বলবে।
একাউন্ট খুলুন বা আপনি গুগল একাউন্ট দিয়ে লগইন করতে পারেন।
HTC:
i) প্রথমে আপনাকে HTCSense.com এ একটা একাউন্ট করতে হবে।
এরপর আপনার ফোনের Settingss < Location এ Phone finder চেকবক্সে টিক মার্ক দিন।
(অন্যান্য ফোনের ক্ষেত্রে আপনি গুগলে “how to find lost symphony mobile” ইত্যাদি মতো লিখে সার্চ করতে পারেন)
ii) Security Settings এ Device Administration এ ট্যাপ করুন।
Android Device manager এক্টিভেট করুন।
iii) Settings এ Location Service এ ট্যাপ করুন। সবগুলো চেকবক্সে টিক মার্ক দিন।
(মোবাইল ভেদে উপরোক্ত সেটিং বিভিন্ন হতে পারে।
আপনি যখন স্মার্টফোন ব্যবহার করছেন ধরে নিতে পারি আপনি নিজে নিজেই সিকিউরিটি সেটিংস করে নিতে পারবেন। প্রয়োজনে গুগলের আশ্রয় নিতে পারেন।)
উপরোক্ত ব্যবস্থার ফলে আপনার একাউন্টকৃত সাইটে গিয়ে মোবাইলটি পিনপয়েন্ট লোকেট করতে পারবেন এবং তাতে রিং করতে পারবেন।
কাজগুলো ঠিক হয়েছে কিনা অন্য মোবাইল বা ল্যাপটপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রিকৃত সাইটে লগইন করে পরীক্ষা করুন।
সাইটে যদি মোবাইল নম্বর দেযার ব্যবস্থা থাকে তবে তা দিতে ভুলবেন না।
এ নম্বরটি হবে আপনার অন্য সেটে ব্যবহৃত নম্বর।
চুরি হওয়া সেটে সিম পরিবর্তন করলে অনেক সময় আপনি এ নম্বরে চোরের নম্বর ও লোকেশন তথ্য SMS অাকারে পেয়ে যাবেন।
কিছু কিছু সেটে উপরোক্ত সেটিংস নাও থাকতে পারেন।
থাকুক আর না থাকুক পাশাপাশি আরো দু তিনটি এপের সাহায্য নিন।
নির্ভর করা যায় যেসমস্ত এপে, সেগুলোর কয়েকটি হলো TrestGo Inc এর Antivirus and Mobile Security, Kaspersky inyernet security, Cerberus anti theft, Prey Anti theft ইত্যাদি।
সবগুলোরই ফ্রী ভার্সনের পাশাপাশী পেইড ভার্সন আছে। তবে Prey সম্পূর্ণ ফ্রী তিনটি মোবাইলের জন্য। কিছু কিছুর পাইরেট কপিও পাওয়া যায় টরেন্ট সাইটগুলোতে।
দেখে শুনে পছন্দমত ইনস্টল করে নিন। যেগুলো এককালিন পরিশোধ করে সবসময় ব্যবহার করা যায় সেগুলোই ভালো।
সবগুলোতে স্ব স্ব সাইটে একটা একাউন্ট ওপেন করতে হয় যা এপটি চালু করার সময়ই হয়ে যাবে। এপটিতে আপনার পছন্দমত সেটিং করে নিন।
আমার মতে কমপক্ষে দুটি এপ ব্যবহার করা উচিত। যদি কোনো কারণে একটাতে হারানো ফোনটি লোকেট করতে না পারেন তবে অন্যটাতে চেষ্টা করতে পারবেন।
এপগুলো ইনস্টল করার পর তারা ঠিকমত কাজ করে কিনা অন্য মোবাইলে বা কম্পিউটার থেকে সংশ্লিষ্ট সাইটে গিয়ে আপনার একাউন্টে লগইন করে পরীক্ষা করে দেখুন।
এপে বা রেজিস্ট্রিকৃত সাইটে ব্যবহৃত পাসওয়ার্ড টুকে নিয়ে সবময়ের জন্য সাথে রাখতে ভুলবেন না।
৪. লক স্ক্রিনের জন্য পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। এতে কেউ আপনার কৃত সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবে না।
৫. গুগল প্লে থেকে ফ্রী Smart lockscreen ইনস্টল করুন। এটি ওপেন করে Enable lockscreen অন করুন।
আপ-রাইট কর্নারে সেটিং বাটনে টাচ করুন। Delay time টাচ করুন।
এখানে সময় ৯০ ms এর নীচে সেট করুন।
এতে করে চোর ফোন সাইলেন্ট বা পাওয়ার অফ করতে পারবে না।
স্ক্রিন লক করে পাওয়ার বাটন চেপে ধরুন। দেখুন পাওয়ার মেনু আসে কিনা।
যদি অনেক্ষন চেপে ধরার পরও পাওয়ার মেনু না আসে বা আসার সাথে সাথে চলে যায় তবে আপনি ঠিকভাবেই সেট করতে পেরেছেন।
এবার আপনার মোবাইলটি চোরের হাত থেকে নিরাপদ হল।
৬. মোবাইলে Dropbox ইনস্টণ করে রাখুন। ড্রপবক্সের Camera Upload একটিভ রাখুন। এতে আপনার হারানো ফোনে তোলা ফোটো Dropbox এ সেভ হয়ে থাকবে।
এটা ফোনকে লোকেট করতে সাহায্য করবে। হয়তো চোরের নিজের ও তার আত্মীয় স্বজনের ছবিও আপলোড হয়ে যেতে পারে।
৭. অটো Call Recorder এপটি ইনস্টল করে নিন।
এর সাথে Dropbox কে কানেক্ট করুন। যদি চোর আপনার সেটে কোনো সিম ব্যবহার করে কল করে বা রিসিভ করে তবে তার অডিও রেকর্ড ড্রপবক্সে পাবেন। এ রেকর্ডের ফাইলের নামের মধ্যে তারিখ, সময় ও কলিং নাম্বার বা রিসিভ নাম্বারটাও পাবেন।
এতে চোরকে আপনি ট্র্যাক করতে পারবেন।
৮. মোবাইল ক্রয়ের কেশমেমো, ওয়ারেন্টি কার্ড, IMEI No. বক্সসহ নিরাপদে রাখুন। ফোনটি যে আপনার এগুলো তার প্রমাণ।
চুরি হওয়ার পর করনীয়:
১. কখন যদি আপনার ফোনটি খোয়া যায় তবে কাল বিলম্ব না করে ল্যাপটপ, ট্যাব বা স্মার্ট ফোনের
মাধ্যমে রেজিস্ট্রিকৃত সাইটে (মোবাইল লোকেট করার জন্য যেখানে একাউন্ট খুলেছেন) গিয়ে হারানো ফোনটিকে লোকেট করুন, তাতে রিং দিন, ফোনটি লক করে দিন, প্রয়োজনে তার ব্যাকাপ নিতে কিংবা ফোনের ডেটা মুছে দিতে পারেন।
চুরি না হলেও ফোনটি যদি চিপা চাপায় কোথাও পড়ে থাকে আর আপনি তা খুঁজে পাচ্ছেন না, চিন্তার কোন কারণ নেই।
২. ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের সাহায্য নিতে নিকটস্ত থানায় একটা জিডি করুন।
প্রথম দু’টি প্রশ্নের উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে অর্থাৎ পাওয়ার বাটন চেপে ধরলে যদি আপনার ফোনটি অফ হয়ে যায় বা তার ব্যাটারি খোলা যায় তবে আপনার মোবাইলটি নিরাপদ নয়।
এটা চোরের হস্তগত হলে সে তা সাথে সাথেই বন্ধ করে দিতে পারবে।
ফলে ফোনটি লোকেট করার কোন উপায় থাকবে না। তবুও লোকেট করার জন্য উপরে যা যা করার কথা বলেছি সবই করে রাখবেন।
আপনার চোরটি বুদ্ধিমান হবেই এমনতো কথা নেই। সুতরাং ভাগ্য ভালো হলে আপনি (যদি চোর আপনার কোন সেটিং পরিবর্তন করতে না পারে) নিজেই ফোনটি লোকেট করতে পরবেন।
আর যদি লোকেট করতে না পারেন তবে হারিয়ে যাওয়া ফোনটিতে নতুন সিম ডুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এন্টি-থিফ্ট লোকেটিং সার্ভিস সাইট বা এপ আপনাকে এফোনে ব্যবহৃত যে কোন সিমের নম্বর আপনাকে পাঠিয়ে দিবে।
ঐ নম্বর আপনি চোর বা আপনার ফোনধারীকে ট্র্যাক করতে ব্যবহার করতে পারেন এবং পুলিশের সাহায্যে বা আপনার নিজস্ব উপায়ে আপনি তা উদ্ধার করতে পারবেন।
তাও যদি না হয় অর্থাৎ সেটে ব্যবহৃত নম্বর পেলেন না তবে পুলিশই আপনার একমাত্র উপায়। তাও যদি IMEI No. ঠিকঠাক থাকে।
আজকাল এটাও চেঞ্জ করা যায়। চোরের এ ধারণা থাকলে আপনি কখনো ফোনটি পাবেন না।
চোর মোবাইলটি বন্ধ করে নেয় প্রথমে। তারপর কোন দোকানে নিয়ে তাকে রুটেড করে। অবশেষে মোবাইলটির IMEI No. পরিবর্তন করে তা সম্পুর্ণরূপে নিজের করে নিতে পারে।
উল্যেখ্য IMEI No. পরিবর্তন সম্পূর্ণরূপে বেআইনি। সুতরাং চুরিকরা মিবাইল কেনা খুবই বিপদজনক।
কারো সাথে IMEI No. ডুপ্লিকেট হয়ে গেলে বিপদে পড়বেন। কারণ আপনার কাছেতো ক্রয় সম্পর্কিত কোন কাগজ পত্র থাকবে না।
পাওয়ার বাটন দিয়ে ফোনটি সরাসরি (পাওয়ার মেনু ছাড়া) শাটডাউন করা গেলে মোবাইল বন্ধ করা রোধ করার কোন উপায় নেই।
কোনো এপ দিয়ে তা রোধ করা যায় না। কারণ এটা হার্ডওয়ার ফাংশন। তবে অনেক মোবাইল আছে যাতে পাওয়ার বাটন চেপে সরাসরি ফোনটি বন্ধ করা যায় না।
যেমন আমার Samsung ফোনটি পাওয়ার বাটন চেপে ধরে রাখলে তা বন্ধ হয় না বরং রিস্টার্ট নেয়।
যদি এমন মোবাইল কেনেন যার পাওয়ার বাটনে সরাসরি বন্ধের উপায় নেই তবে ব্যাটারি খোলা যায়, সেক্ষেত্রে ব্যাককভারকে সুপারগ্লু দিয়ে লাগিয়ে দিতে পারেন।
এটা চোরকে কিংকর্তব্যবিমূঢ় করে দিবে। ভেঙ্গে যাওয়ার ভয়ে সে তা জোর করে খোলার চেষ্টা হতে বিরত থাকতে পারে।
তখন সে কোন দোকানে নিয়ে সাহায্য চাওয়ার আগেই তাকে ধরে ফেলতে পারবেন। তবে বলা বাহুল্য যে এতে আপনার মোবাইলের ওয়ারেন্টি থাকবে না।
ওয়ারেন্টি না থাকলে আপনি ডেফিনেটলি এটা করবেন।
আপনি একবার হলেও পেস্ট গুলো দেখে আসবেন ।