আপনি কখনোই Programming এবং Scripting এর জ্ঞান ছাড়া ভাল
হ্যাকার হতে পারবেননা। Programming এবং Scripting এর জ্ঞান ছাড়া
হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে হ্যাক করা আর কপি পেস্ট করার
মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
প্রত্যেকটি হ্যাকিং সফটওয়্যার এর সীমাবদ্ধটা আছে। তাই ভাল
হ্যাকার হওয়ার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। মনে রাখবেন যিনি
হ্যাকিং সফটওয়্যার বানিয়েছে তিনিও মানুষ আপনিও মানুষ।
ফেসবুক, গুগল, ইয়াহু বা অন্য কোন বড় ওয়েবসাইটের কোন অ্যাকাউন্ট
হ্যাক করার জন্য সরাসরি কোন সফটওয়্যার নেই। ইন্টারনেটে ফেসবুক,
গুগল, ইয়াহু বা অন্য কোন বড় ওয়েবসাইটের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার
অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এগুলো সব ফেক এবং সফটওয়্যারটি
Trojan বা Keylogger.
কখনোই Keylogger ব্যবহার করবেন না। হ্যাকাররা কখনোই বোকা হয়
না। তাই যিনি Keylogger বানিয়েছেন তিনি Keylogger টি সেভাবেই
বানিয়েছেন। আপনি Keylogger ব্যবহার করে অন্যকে হ্যাক করার আগে
আপনি নিজেই যে কখন হ্যাকিং এর শিকার হবেন তা আপনি নিজেই
জানবেন না।
বাংলাদেশে হ্যাকিং এর শুরু আসলে কবে তা বলা কিছুটা মুশকিল ।
২০০৪ – ২০০৫ এ বাংলাদেশের এর কৌতূহলী কিছু ছেলেরা কম্পিটারের
পাসওয়ার্ড হ্যাকিং করত । তারা বিদেশী বিভিন্ন ফোরাম ,
ইংরেজি বই টই ঘেটে বের করত হ্যাকিং এর নানা উপায় । এরপর তারা
সাথে তাদের পরিচয় ঘটে । এরপর অনেক দুর্ধর্ষ কাজকর্ম শুরু
বাংলাদেশি ছেলেপেলেরা ।
২০০৮-২০০৯ এ বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত এ হ্যাকিং বাংলাদেশ এ
অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করে । বাংলাদেশ এর তরুনরা অনেক দারুন সব
কাজ শুরু করে । যদিও তারা সেসময় অনেক বেশি অনভিজ্ঞ ছিল ।
২০১০ এ বাংলাদেশ এ প্রথম হ্যাকিং টিম গড়ে ওঠে । ২০১১ তে
ভারতবিরোধি চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিল হ্যাকাররা । এরপর থেকে
বাংলাদেশ এর সাইবার স্পেস কে কারো হাত ধরতে হয়নি ।
বিশ্বমানের প্রোগ্রামার এর সাথে বাংলাদেশ তৈরি করে
বিশ্বমানের হ্যাকার ।
এখন বাংলাদেশ এর হ্যাকার রা কি করছেনা … হ্যাক করছে আপনার
মোবাইল থেকে শুরু করে ক্রেডিট কার্ড , ব্যাংক অ্যাকাউন্ট
সার্ভার আরো কত কি !! এসব কাজ চরম আনন্দদায়ক , উত্তেজনাকর ,
বৈপ্লবিক কিন্তু … ভালোভাবে ভেবে দেখেছেন এগুলো আসলে
অপরাধ , সাইবার অপরাধ । যে কোন দেশের আইনেই আপনি অপরাধী ।
তাই আপনার হ্যাকিং দক্ষতাকে লাগানো উচিত কোন ভালো কাজে।
এইসকল দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পড়াশোনা করে বিভিন্ন ডিগ্রি
যেমন অর্জন করা সম্ভব , ঠিক তেমনি নিজেকে একজন সিকিউরিটি
রিসার্চার বা সিকিউরিটি প্রফেশনাল হিসেবেও গড়ে তোলা সম্ভব ।
বহিঃ বিশ্বে সিকিউরিটি প্রফেশনাল দের ব্যাপক চাহিদা । অথচ
আমাদের বাংলাদেশ এর ছেলেরা এখনও ওয়েবসাইট ডিফেস শিখতে
চায় , হ্যাকিং টিম তৈরি করে , ফেসবুক আইডি হ্যাকিং শিখতে
উঠেপড়ে লাগে !!!
তাই এ অবস্থা থেকে উত্তরন এর জন্য আমাদের আশা উচিত নিয়মের
সংখ্যা খুবই নগণ্য । বাংলাদেশ থেকে বিদেশী বিভিন্ন ওয়েবসাইট এ
হল অফ ফেইম পেয়েছে এমন সংখ্যা হাতে গোনা ৮-১০ জন । অথচ এই
ক্ষেত্রে অমিত সম্ভাবনা বিদ্যমান । সঠিক দিকনির্দেশনা আর চর্চা
করলে এই ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটবে । ঠিক এখন যেমন আপনি একজন ফ্রি
লান্সার হিসেবে পরিচিত হয়ে বাংলাদেশ এর নাম উজ্জ্বল করছেন ।
ঠিক তেমনি সিকিউরিটি প্রফেশনাল হিসেবে বিশ্ব দরবারে
বাংলাদেশ এর নাম উজ্জ্বল করবেন ।
Full Credit Plopi Bhaiya(Find Me)
হ্যাকিং সফটওয়্যার বিক্রয় করা হয় এবং হ্যাকিং শিখতে চাইলে যোগাযোগ করুন। নিছের নাম্বার -এ। আমার সাইট:- SomaiBD.Com
যোগাযোগব্যবস্থা : 01758143289
Mail :
11 thoughts on "একজন হ্যাকারের যা অবশ্যই জানা প্রয়োজন।(সংক্ষিপ্ত কিছু কথা)"