কীলগিং কি

Keystroke Logging বা কীলগিং হচ্ছে এক ধরনের সিস্টেম মনিটর যেটা ব্যাবহারকারীর অজান্তেই কম্পিউটার কী-বোর্ডের প্রতিটি স্ট্রোক বা টাইপ করা কমান্ডগুলো রেকর্ড করে রাখে। এর মানে হচ্ছে আপনি কিবোর্ড দ্বারা যা কিছুই টাইপ করে আপনার কম্পিউটারকে অপারেট করবেন তার সবই মনিটর করে একটি ফাইললে সেভ করে রাখাই এর কাজ। হতে পারে এই সিস্টেম মনিটরটি চালু থাকা অবস্থাতে স্পনি নিজের ব্যাংক একাউন্ট, ওয়েব সাইটে প্রবেশ করেছেন। তাহলে আপনার ব্যাংকের নাম, একাউন্ট নাম্বার, পিন কোড, পাসওয়ার্ড এবং ওয়েবসাইট এর এড্রেস, ইমেইল, পাসওয়ার্ডসসহ যাবতীয় সব তথ্যই text ফরম্যাটের ফাইল হিসেবে সেভ হয়। মুলত কোন FTP সার্ভার এর মাধ্যমে, Remote Access, Wireless Transmission, হ্যাকারের ইমেইল আইডিতে মেইল করে এই ফাইলটি হ্যাকারের কাছে পৌছে যায়। কীলগিং করে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এই পর্যন্ত সবমিলে প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা চুরির অভিযোগ রয়েছে। হার্ডওয়্যার কিংবা সফটওয়্যার যেকোনোটা দিয়েই কীলগিং করা যায়।

কিভাবে বুঝবেন আপনার কম্পিঊটারটি কীলগারে আক্রান্ত কিনা?

ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে পছন্দের গান, মুভি, গেইমস বা দরকারি সফটওয়্যার ডাউনলোড করার অভ্যাস আমাদের প্রায় সবারই আছে। বন্ধুদের কাছে থেকে বা অফিসের কাজ শেয়ার করতে গিয়েও বিভিন্ন ফাইল আমাদের কম্পিউটারে আসা যাওয়া করে। তাই আপনার কম্পিউটারে কীলগার থাকার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। যা হয়তো আপনার ব্যক্তিগত বা গুরুত্বপূর্ণ ডেটা হ্যাকারের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছে তাছারা আপনি কোন সাইবার ক্যাফে বা অন্যকোথাও কম্পিউটার ব্যবহার করার পুর্বে দেখে নেওয়া উচিত কম্পিউটারটি কিলগারে আক্রান্ত কিনা।

তাহলে চলুন দেখে নেই কিভাবে বুঝবেন আপনার ব্যবহার করা কম্পিউটারটি কিলগারে আক্রান্ত কিনা।

১। প্রথমে আপনার কিবোর্ডের Windows+Run বাটন চাপুন

২। Run নামের একটি বিল্ট ইন সফটওয়্যার ওপেন হবে। ইনপুট বক্সে cmd টাইপ করে Enter কী চাপুন অথবা ok করুন।

৩। এবার cmd.exe নামের আরেকটা এপ্লিকেশন ওপেন হবে। এখানে netstat লিখে একটি স্পেস দিন তারপর -ব লিখে Enter কী প্রেস করুন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কিছু লগ দেখতে পাবেন। ডেটাগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। এখানে এই মুহুর্তে আপনার কম্পিউটারে থেকে যেসব সোর্স এ ডেটা পাঠানো হচ্ছে তা দেখাচ্ছে। একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করুন এসকল লগ ডেটাগুলোর মধ্যে keyogger.exe এক্সটেনশনযুক্ত কোন ডেটা আছে কিনা যদি থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার কম্পিউটারটি কীলগার এ আক্রান্ত আর যদি না থাকে তাহলে বুঝবেন আপনার কম্পিউটারটি কিলগার মুক্ত রয়েছে।

আজকে এ পর্যন্তই দেখা হবে আগামী পর্বে।

Leave a Reply