হাফেয ইবন কাসির [রহ.] বলেন- যদি
নারী আশঙ্কা করে স্বামী তাকে
পছন্দ করছে না, বা তাকে উপেক্ষা
করছে, তাহলে স্ত্রী স্বামীর ওপর
থেকে সকল হক বা কিছু হক হ্রাস
করতে পারে, যেমন তার ব্যয়ভার অথবা
পোশাক, রাতের অংশ অথবা অন্য
কোনো হক।
স্বামীর পক্ষেও স্ত্রীর ছাড় গ্রহণ
করা বৈধ, স্বামীর জন্য স্ত্রীর ত্যাগ করা
কোনো সমস্যা নয় এবং স্ত্রী
থেকে স্বামীর গ্রহণ করাও সমস্যা নয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-

তাহলে তারা
উভয়ে কোনো মীমাংসা করলে
তাদের কোনো অপরাধ নেই। আর
মীমাংসা কল্যাণকর। (সূরা আন-নিসা, আয়াত:

১২৮)
আল্লাহ তাআলা বলেছেন-
ﻭَﺇِﻥِ ﺍﻣْﺮَﺃَﺓٌ ﺧَﺎﻓَﺖْ ﻣِﻦ ﺑَﻌْﻠِﻬَﺎ ﻧُﺸُﻮﺯًﺍ ﺃَﻭْ ﺇِﻋْﺮَﺍﺿًﺎ
ﻓَﻼَ ﺟُﻨَﺎْﺡَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻤَﺎ ﺃَﻥ ﻳُﺼْﻠِﺤَﺎ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻤَﺎ ﺻُﻠْﺤًﺎ
ﻭَﺍﻟﺼُّﻠْﺢُ ﺧَﻴْﺮٌ ﻭَﺃُﺣْﻀِﺮَﺕِ ﺍﻷَﻧﻔُﺲُ ﺍﻟﺸُّﺢَّ ﻭَﺇِﻥ
ﺗُﺤْﺴِﻨُﻮﺍْ ﻭَﺗَﺘَّﻘُﻮﺍْ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻤَﺎ ﺗَﻌْﻤَﻠُﻮﻥَ
ﺧَﺒِﻴﺮًﺍ
অর্থ : আর যদি কোনো নারী তার
স্বামীর পক্ষ থেকে কোনো
দুর্ব্যবহার কিংবা উপেক্ষার আশঙ্কা করে,
তাহলে তারা উভয়ে কোনো মীমাংসা
করলে তাদের কোনো অপরাধ নেই।
আর মীমাংসা কল্যাণকর এবং মানুষের
মধ্যে কৃপণতা বিদ্যমান রয়েছে। আর
যদি তোমরা সৎকর্ম কর এবং তাকওয়া
অবলম্বন কর তবে আল্লাহ তোমরা যা
কর সে বিষয়ে সম্যক অবগত। (সূরা
আন-নিসা, আয়াত: ১২৮)
অর্থাৎ এটা বিচ্ছিন্ন হওয়া থেকে
উত্তম… এরপর ইবনে কাসরি [রহ] সাওদাহ
বিনতে যাম‘আহ [রা]-এর ঘটনা উল্লেখ
করেন। যখন তিনি বৃদ্ধা হয়ে যান এবং
নবী [সা]-ও তাকে ছেড়ে দেওয়ার
ইচ্ছা পোষণ করেন, তখন তিনি থাকার
জন্য মীমাংসা করেন এবং তার দিনগুলো
তিনি আয়েশার জন্য ছেড়ে দেন, তিনিও
তার ছাড় গ্রহণ করেন এবং এভাবে তাকে
রেখে দেন।
মূল : ড. সালেহ ইবনে ফাওজান

ভাষান্তর : মাওলানা মনযূরুল হক

Leave a Reply