নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার,
সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক
প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার
জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের
উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ
অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের
উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ
সাইফুল্লাহ।

আপনার জিজ্ঞাসার ১৮৩৬তম পর্বে
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ থেকে পাঁচ
ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত যারা পড়েন না,
তাদের বেনামাজি বলা যাবে কি না, সে
বিষয়ে চিঠিতে জানতে চেয়েছেন
ফাতেমা সিদ্দিকা। অনুলিখনে ছিলেন
মুন্সী আবদুল কাদির।

প্রশ্ন : যাঁরা শুধু জুমার নামাজ এবং রমজান
মাসে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাঁদের
কি বেনামাজি বলা যাবে?
উত্তর : কোনো সন্দেহ নেই, এরা
বেনামাজি। নামাজ আসলে তারা আদায়
করেনি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তো

সালাত ফরজ করেছেন পাঁচ ওয়াক্ত।

হাদিসের মধ্যে রাসুলুল্লাহ (সা.)
বলেছেন যে, আল্লাহ সুবহানতায়ালা দিন
ও রাতের মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতকে
ফরজ করেছেন। এখন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত
যেটি ফরজ, সেটি যদি কেউ আদায় না
করে থাকেন, তাহলে তো তিনি কুফরি
করলেন। তার সব ইবাদত, সব আমল
আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের কাছে কিচ্ছু না।

কোনো গ্রহণযোগ্যতা পাবে না এবং
কেয়ামতের দিন আল্লাহ রাব্বুল
আলামিনের কাছে এগুলোর কোনো
মূল্য হবে না এবং মিজানের মধ্যে এর
কোনো ওজন দেওয়া হবে না।
তাই শুধু জুমার নামাজ বা ঈদের নামাজ যাঁরা
লোক দেখানোর জন্য পড়েন,
তাঁদের এটি লৌকিক সালাত।

এই লৌকিক সালাত
শুধু যে অন্যায়, তা নয়। বরং এ ব্যাপারে
কোরআনে কারিমের মধ্যে
আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‘ফাওয়াইলুল্লিল
মুসাল্লিন। আল্লাজিনাহুম আং সলাতিহিম সাহুন।

আল্লাজিনাহুম ইউরাউন’। অর্থাৎ
লোকদের দেখানোর জন্য,
অমনোযোগীভাবে শুধু লৌকিক সালাত

যারা আদায় করে থাকে, তাদের ব্যাপারে
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা বলেছেন, ‘এ
ধরনের মুসল্লি যারা আছে, তাদের জন্য
ধ্বংস।’

তাই বেনামাজি বলতে মূলত বোঝায় যে
ইচ্ছাকৃতভাবে সালাত পরিহার করে বা তরফ
করে। সেটি যদি এক ওয়াক্ত কেউ তরফ
করে থাকে, তাহলেও সে বেনামাজি।

কিন্তু ধরেন, যদি ওজরের কারণে
কেউ আজকে নামাজ পড়তে পারলেন
না, তাই আগামীকাল আদায় করে নিলেন,
তাহলে তাকে বেনামাজি বলা হবে না।

Leave a Reply