ধর্মীয় ও সামাজিক সব দৃষ্টিকোণ থেকেই বিয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামে বিয়েকে বলা হয়েছে ঈমানের অর্ধেক। বিয়ের মাধ্যমেই ঈমানের পূর্ণতা পায়। বিয়ে মানব জীবনের অন্যতম চাহিদাও বটে। এ কারণে ব্যক্তি যখন বিয়ের উপযুক্ত হয় তার জন্য বিয়েকে ফরজ করেছে ইসলাম।

হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী,বিবাহে ছেলে মেয়েটির সমস্ত পালনপোষণের দ্বায়িত্ব নেয় এবং মেয়েটি তাদের সংসারের খেয়াল রাখার দ্বায়িত্ব গ্রহন করে।এইভাবে তারা দুই আলাদা আলাদা মানুষ এক হয়ে নিজেদের বংশ এগিয়ে নিয়ে যায়।

বিবাহের লক্ষ হল সংসার ও সন্তানের পালনপোষণ করে বংশ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।আর এর জন্য একই সময়ে বাইরে থেকে দরকারী জিনিস উপার্জন করে আনা আর ঘরের ভেতরে সংসারের কাজ সামলাতে হয়।যেহেতু একজন মানুষ একই সময়ে এই দুটো কাজ করতে পারে না তাই দুটো কাজ দুজনের মধ্যে বন্টিত বয়ে যায়।

হজরত আবু জর রা. থেকে বর্ণিত। একবার রাসুলুল্লাহ সা. আক্কাফ রা. কে বললেন, হে আক্কাফ! তোমার স্ত্রী আছে? তিনি বলেন, না। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তোমার কি সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে? সে বললো, আমার সম্পদ ও স্বচ্ছলতা আছে। রাসুলুল্লাহ সা. বললেন, তুমি এখন শয়তানের ভাইদের দলভূক্ত। যদি তুমি খ্রিস্টান হতে তবে তাদের রাহেব (ধর্ম গুরু) হতে। নিঃসন্দেহে বিয়ে করা আমাদের ধর্মের রীতি। তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি যে অবিবাহিত। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যেও নিকৃষ্ট ব্যক্তি যে অবিবাহিত। তোমরা কি শয়তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাও। শয়তানের কাছে নারী হলো অস্ত্র। সবাই নারী সংক্রান্ত ফেৎনায় জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু যারা বিয়ে করেছে তারা নারীর ফেৎনা থেকে পবিত্র। নোংড়ামি থেকে মুক্ত।

তারপর বলেন, আক্কাফ! তোমার ধ্বংস হোক। তুমি বিয়ে কর নতুবা তুমি পশ্চাৎপদ মানুষের মধ্যে থেকে যাবে। (মুসনাদে আহমদ, জমউল ফাওয়ায়েদ, ইমদাদুল ফাতওয়া খ- ২, পৃষ্ঠা ২৫৯।)

বিয়ের জন্য দু’জন বিবেকবান,প্রাপ্তপ্তবয়স্ক পুরুষ অথবা একজন পুরুষ, দু’জন মহিলা সাক্ষীর সামনে ইজাব (প্রস্তাব) কবুল করা অত্যাবশ্যক। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয়না। সুতরাং আল্লাহ ও রাসূলকে সাক্ষি রাখা বিয়ে কি শরিয়ত সম্মত

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।” (হাদিসটি তিরমিযি : ১০২১)

বিয়ের আকদ এর সময় সাক্ষী রাখতে হবে। দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” (তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে : ৭৫৫৮)

বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করতে হবে। দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”(মুসনাদে আহমাদ ১০৭২)

অতএব, নিজেদের স্বামী স্ত্রী মনে করা এবং সেরকম আচরণ করা কবিরা গোনাহ। পরকাল ও চিরস্থায়ী আজাবের কথা মাথায় রেখে এজাতীয় গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য। ফাতাওয়া শামী- ৪/৮৭ , মাজমাউল আনহুর- ১/৩৮৬

আল্লাহ-রাসূলকে সাক্ষী রেখে বিয়ে হবে কি ?

জাকারিয়া হারুন : জারা ও রাজা আমরা দুজন দুজনকে বিয়ে করেছি ; আল্লাহ ও রাসূলকে সাক্ষি রেখে। কিন্তু আজঅবধি আমরা দুজন ছাড়া আর কেউ জানে না। অথচ আমরা দুজন দুজনকে মন থেকে স্বামী স্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছি। এখন জানার বিষয় হলো আমাদের বিয়েটা কি শরিয়ত সম্মতভাবে হয়েছে?

আপনারা যেভাবে বিয়ে করেছেন, এভাবে বিয়ে হয় না। বিয়ের জন্য দু’জন বিবেকবান,প্রাপ্তপ্তবয়স্ক পুরুষ অথবা একজন পুরুষ, দু’জন মহিলা সাক্ষীর সামনে ইজাব (প্রস্তাব) কবুল করা অত্যাবশ্যক। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে শুদ্ধ হয়না। সুতরাং শরীয়তের দৃষ্টিতে আপনারা এখনো একে অপরের স্বামী-স্ত্রী নন। এবং আপনাদের সাংসারিক জীবন,দেখা-সাক্ষাত সব ধরনের যোগাযোগ অবৈধ।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।” (হাদিসটি তিরমিযি : ১০২১)

বিয়ের আকদ এর সময় সাক্ষী রাখতে হবে। দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” (তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে : ৭৫৫৮)

বিয়ের প্রচারণা নিশ্চিত করতে হবে। দলীল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”(মুসনাদে আহমাদ ১০৭২)

অতএব, নিজেদের স্বামী স্ত্রী মনে করা এবং সেরকম আচরণ করা কবিরা গোনাহ। পরকাল ও চিরস্থায়ী আজাবের কথা মাথায় রেখে এজাতীয় গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা অপরিহার্য। ফাতাওয়া শামী- ৪/৮৭ , মাজমাউল আনহুর- ১/৩৮৬

তাহলে ভাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

Trickbd এর সাথে থাকুন ।

One thought on "আল্লাহ ও রাসূলকে সাক্ষি রাখা বিয়ে কি শরিয়ত সম্মত ?"

  1. Alrt For all! Contributor says:
    Tnx.but akhon notun generation to baiga beya kore ,so tader tao to oboido!

Leave a Reply