পবিত্র কোরআন এক বিস্ময়কর গ্রন্থ। পবিত্র কোরআনে কারিমের মহান লক্ষ্য হলো- মানুষকে সঠিক পথ দেখিয়ে দেওয়া এবং মিথ্যার প্রতিরোধ করা। পবিত্র কোরআনের অলংকারিক সৌন্দর্য, বাগ্মীতা ও প্রজ্ঞা কোরআনেরই মোজেজা বিশেষ। আর জ্ঞানীদের জন্য কোরআন এক অলৌকিক সম্পদভান্ডার। আইন প্রণেতাদের জন্য এটি সবচেয়ে সামাজিক আইনের আধার। কোরআনে রয়েছে দুনিয়াবাসীর জন্য নজিরবিহীন সব নীতি। তাই সংক্ষেপে বলা যায়, পবিত্র কোরআন সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য এমনসব বাস্তবতা ও রহস্যের আকর- যে বাস্তবতাগুলো মানুষ কোরআন ছাড়া কখনও উদঘাটন করতে পারবে না।

সর্বদা বিশ্ববাসী কোরআনের অসীম সৌন্দর্যে অভিভূত ও বিমুগ্ধ হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পবিত্র কোরআন নিয়ে চলে নানাবিধ গবেষণা। হয় কোরআন নিয়ে স্বপ্নময় অনেক কাজ। যেসব কাজের মাধ্যমে পবিত্র কোরআনে কারিমের মহত্ত্ব আরো প্রজ্জ্বোল হয়ে ওঠে।

তেমনি একটি কাজ করলেন আফগানিস্তানের হস্তলিপিকার মোহাম্মদ সাব্বির খেদরি। খেদরি ৫০০ কেজি ওজনের একটি কোরআন তৈরি করেছেন- যা বর্তমানে পৃথিবীর বৃহত্তম কোরআন শরীফ। বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ কোরআনে কারিমের কপির কাজ সমাপ্ত করতে খেদরির সময় লেগেছে প্রায় ৫ বছর।

ক্যালিগ্রাফার খেদরির করা এই অসাধারণ, নজরকাড়া, অনিন্দ্য সুন্দর ও সুসজ্জিত এই কোরআনটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোরআন বলে স্বীকৃতি পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে খেদরি বলেন, ‘আমি যথাসম্ভব চেয়েছি আকর্ষণীয় রঙের লেখায় পবিত্র এই কোরআনের কপিটিকে সাজিয়ে সুন্দর করে তুলতে।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআনের ওজন ৫০০ কেজি

সৃষ্টিশীল এই কাজে খেদরিকে সহযোগিতা করেছেন আরো ৯ ব্যক্তি। কোরআনটি রাখা হয়েছে বিশেষভাবে তৈরি একটি কক্ষে। যা কাবুলের কালচারাল সেন্টারে অবস্থিত।

খেদরির এই বৃহৎ কোরআন ব্রিটিশ লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত একটি এটলাসকেও ছোট করে দিয়েছে। যার পরিমাপ দৈর্ঘ্যে ১.৭৮ মিটার আর প্রস্থে ১.০৫ মিটার। যদিও এটি বিশ্বের দীর্ঘতম বই হিসেবে নাম করতে পারেনি। বিশ্বের দীর্ঘতম বইটি বার্মায় রয়েছে।

১০০০ পাউন্ড ওজনের এই কোরআন শরিফটির দৈর্ঘ্য ৭ দশমিক ৫ ফুট ও প্রস্থ ৫ দশমিক ১০ ফুট। পৃষ্ঠা সংখ্যা ২১৮। আফগান সরকারের হজ ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তৈরি হওয়া এই কোরআন শরিফের প্রচ্ছদে ব্যবহার করা হয়েছে ২১টি গবাদিপশুর চামড়া। দামি চামড়ার তৈরি প্রতিটি পৃষ্ঠায় অপরূপ সোনালি ক্যালিগ্রাফিতে লেখা হয়েছে আয়াতসমূহ।

এই কোরআন শরিফ তৈরি করতে আফগানিস্তানের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ব্যয় করতে হয়েছে তিন লাখ পাউন্ড। ২০০৯ সালে শুরু করে ২০১২ সালের প্রথমদিকে কাজ শেষ হয়।

সুস্থ সংস্কৃতির, সচ্ছ ব্যবহার।
প্রকাশিত ও প্রচারেঃFuturebd24.Com
Plz Visit Vai…

9 thoughts on "বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআনের ওজন ৫০০ কেজি আমি মুসলমান হিসেবে গর্ব করি।"

  1. Ragib Contributor says:
    মাশাল্লাহ
    1. M.Rubel Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ Comments করার জন্য
  2. Imranpabna Contributor says:
    সুবাহান আল্লাহ
    1. M.Rubel Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ Comments করার জন্য
  3. SagorSrkian Author says:
    আলহামদুলিল্লাহ
  4. Mosiurr Contributor says:
    সুবাহান আল্লাহ
  5. Ahad ✅ Author says:
    অসাধারণ!!! সুবহানাল্লাহ! 🙂
  6. Ex Programmer Contributor says:
    ধন্যবাদ ভাইয়া!

Leave a Reply