বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম


আসসালামু আলাইকুম


বন্দুরা সবাই কেমন আছেন, আশাকরি ভালই আছেন,আজ আনি আপনাদের জানাব বহুল প্রচলিত কয়েকটি শিরক যা আমরা অনেকে নিয়মিত করে থাকি এই অবস্থায় তওবা না
করে মারা গেলে নিশ্চিত জাহান্নাম।
—————————————–
—শরিরে যেকোন প্রকার তাবিজ ঝুলানো শিরক [মুসনাদে আহমদ:১৭৪৫৮,সহিহ হাদিস:৪৯২]
.
–আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কারো নামে কসম করা শিরক। [আবু দাউদ:৩২৩৬(ইফা)]
.
–কোন কিছুকে শুভ-অশুভ লক্ষন বা কুলক্ষণ
মনে করা শিরক। [বুখারি: ৫৩৪৬, আবু দাউদ: ৩৯১০]
.
–আল্লাহর গুনবাচক নামে অন্য কাউকে ডাকা শিরক। (যেমন- কুদ্দুস, রাহমান, রহীম, জাব্বার,
সালাম, মুমিন ইত্যাদি) [সুরা ইসরা:১১০, হাশর]
.
–‘তর ভবিষ্যত অন্ধকার’, ‘তর কপালে বহুত
কষ্ট আছে’, এই ধরনের গায়েবি কথা কাউকে বলা শিরক। [সুরা নমল:৬৫, আল জিন:২৫-২৬, আনাম:৫৯]
.
–যে কোন জড় বস্তুকে সম্মান দেখানো তথা তাযীম করা বা তার সামনে নিরবতা পালন করা শিরক। যেমন: পতাকা, স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনার
কিংবা মাজার ইত্যাদি। [সুরা বাকারাহ:২৩৮,
আহকাফ: ৫, ফাতহুল বারি ৭/৪৪৮, আবু
দাউদ:৪০৩৩]
.
–আল্লাহর ছাড়া অন্য কারো সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কিংবা লোক দেখানো ইবাদাত করা শিরক [সুরা আনাম:১৬২, কাহফ: ১১০, ইমরান: ৬৪, ইবনে মাজাহ হা: নং৫২০৪]
.
–আল্লাহ ব্যাতিত কোন গণক বা অন্য কেউ গায়েব জানে এই কথা বিশ্বাস করা শিরক। [সুরা নমল: ৬৫, আল জিন: ২৬, আনাম: ৫৯]
.
–আল্লাহর ছাড়া কোন পির-আওলিয়া এবং কোন মাজারের নিকট দুয়া করা বা কোন কিছু চাওয়া শিরক। [সুরা ফাতিহা:৪, আশ শো-আরা: ২১৩,
গাফির: ৬০, তির্মিযি]
.
–মাজারে ও কোন পির-ফকির কিংবা কারো নিকট সিজদা দেয়া শিরক। [সুর জীন: ২০, মুসলিম:১০৭৭, আবুদাউদ, মুত্তাফাকুন আলাই]
.
–আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো বা যেকোন পির-আওলিয়া কিংবা মাজারের নামে নামে মানত করা
শিরক। তবে মানত না করাই উত্তম।
[সহিহ বুখারি: অধ্যায় : তাকদির]
.
এই রকম আরো অসংখ্য শিরক সমাজে
বিদ্যামান।
মনে রাখবেন; শিরক এমন একটি গুনাহ যা
করলে ঈমান এবং পূর্বের সমস্ত আমল সম্পুর্ন
নষ্ট হয়ে যায়। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা যে কোন গুনাহ ইচ্ছা করলে ক্ষমা করে দিবেন কিংবা
শাস্তি দিয়ে জান্নাত দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কস্মিন কালে ও ক্ষমা করবেন না।
.
আল্লাহ বলেন, ”নিসন্দেহে আল্লাহ ইচ্ছা করলে যে কোন গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন কিন্তু শিরকের গুনাহ কখনো ক্ষমা করবেন না।
[সুরা নিসা: ৪৮, ১১৬]
”নিশ্চয় যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে অংশীদার স্থির করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দেন এবং জাহান্নামকে অবধারিত করে দেন
[সুরা- মায়িদাহ:৭২]
.
রাসুল্লাহ (সা) বলেছেন, “আমার সামনে জিব্রাঈল আবির্ভূত হলেন।
তিনি বললেন, আপনি আপনার উম্মতদের
সুসংবাদ দিন, যে ব্যাক্তি আল্লাহর সংগে কাউকে শরিক না করা অবস্থায় মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা
করে এবং যদিও সে চুরি করে থাকে?
তিনি বললেন, যদিও সে যিনা করে এবং যদি ও সে চুরি করে থাকে। [সহিহ বুখারি: ১২৩৭, মুসলিম:৯৪]
শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় ধ্বংসত্মাক বিষয়। শত পাপ করলেও কিয়ামতের দিন তা ক্ষমার সম্ভবনা আছে কিন্তু শিরকের পাপ ক্ষমার কোন সম্ভব নাই
নেই এবং তা নিসন্দেহে জাহান্নামে নিয়ে যাবে।
ইয়া আল্লাহ আমাদের সকলকে শিরক থেকে বাচার তৌফিক দান করুন।
আমীন…

19 thoughts on "[ALL MMUSLIM MUST SEE] বহুল প্রচলিত কয়েকটি শিরক যা আমরা অনেকে নিয়মিত করে থাকি এই অবস্থায় তওবা না করে মারা গেলে নিশ্চিত জাহান্নাম।"

  1. ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
    1. akram09 Author Post Creator says:
      wlc
  2. Labib Author says:
    One Line…
    যদি কোন সমস্যায় পড়ে যদি কেউ শরীরে তাবিজ বেধে রাখে তবে তা কি শিরক?
    1. Mostakim✅ Contributor says:
      হুম।
    2. Labib Author says:
      তা হলেত অনেক বড় বড় আলেম রা কোন সমস্যা যেমনঃ মাথা ব্যাথা, শরীরে জীনের আসর, যাদু ইত্যাদি হলে তাঁরা তাবিজ দিয়ে থাকেন।
      তা হলে?
      তারা ত আর আমাদের মতো অ বোঝদার না?
    3. Mostakim✅ Contributor says:
      ভাই যেসব তাবিজ মসজিদের ইমাম বা আলেমদের কাছ থেকে নেয়া হয় ঐগুলো সূরা দিয়েকরে থাকেন। এগুলো অসুবিধা নেই। কিন্ত যারা হুজুরদের কাছ থেকে না এনে অন্যদের মানুষ যেমন কবিরাজ এগুলো শিরক। এখন বুঝেছেন?
    4. Labib Author says:
      হুম! বোঝেছি 🙂
      ধন্যবাদ।
      আর- কুফুরি কালাম দিয়ে যে লেখা?
      মানে, কেউ যদি কুফুরি কলাম দিঢে যাদু করে তবে তার জন্য ত কুফুরি কালাম দিঢে উল্টা ততবির করতে হবে। সে জন্য শরীরে কুফুরি কালামের তাবিজ বাধার জন্য দিবে। তখন
    5. Mostakim✅ Contributor says:
      না। তবে আমি ৪ টি মানসম্মত পোস্ট করেছি। বাট আমাকে Trainer বানানো হচ্ছে না। এবং পোস্ট পাবলিশ করা হচ্ছে না??
    6. Mostakim✅ Contributor says:
      এটা গুনাহ হবে।
    7. Labib Author says:
      হুম!
      ধন্যবাদ
      আর এটা আপনার পোষ্ট?
    8. akram09 Author Post Creator says:
      mustakim apnake ja bolchen ta tik ache but post ta unar na.
    9. Labib Author says:
      হুম। বোঝেছি।
  3. Abdus Salam Author says:
    সব গুলোই ভালো ভাই। কিন্তু ১ নাম্বার মানে তাবিজের টা বুঝলাম না!
    1. Mostakim✅ Contributor says:
      ভাই তাবিজ মানে আপনি যদি শরীরে লাগিয়ে রাখেন তাহলে শিরক হবে। এটি আসলে সত্যিই।
      friend request accept করেন? fb.com/mdshadin465
    2. akram09 Author Post Creator says:
      তাবিজ ব্যবহার করা হারাম,না বুঝলে কোন বিজ্ঞআলেমকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন।
      ধন্যবাদ।
  4. Tanvir1024 Contributor says:
    তাবিজ ব্যবহার করা হারাম চাই সেটা উপকার বা অপকার…..
    1. akram09 Author Post Creator says:
      হুম
  5. SAJIB Contributor says:
    Nice post… copy kore rakhlam
    1. akram09 Author Post Creator says:
      tnx and good

Leave a Reply