আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
সম্মানিত দ্বীনি ভাইয়েরা কেমন আছেন আশা করি ভাল আছেন। তো আমরা আজকে দাওয়াতের ফজিলত নিয়ে সামান্য কিছু আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।

দাওয়াহ এর কাজ করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য আবশ্যক।

➡ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ بَلِّغُوْا عَنِّى وَلَوْ اَيَةً
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমার পক্ষ হতে (মানুষের কাছে) একটি বাক্য হলেও পৌছিয়ে দাও।

উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত
হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম বলেছেন,,, অর্থ: ‘‘তোমাদের
মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই যে নিজে
কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা
দেয়।’’ [বুখারী: ৫০২৭]

সুন্দর কাজগুলো ও উত্তম কাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি কাজ হলো আল্লাহর দিকে আহবান করা।

এটা হচ্ছে এমন এক মহান কাজ যে কাজগুলো নবী রাসূলদেরকে দিয়েছিলেন। আল্লাহ তারা তাঁর রাসূলকে লক্ষ্য করে বলেন

ادْعُ إِلٰى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ ۖ وَجٰدِلْهُم بِالَّتِى هِىَ أَحْسَنُ ۚ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِۦ ۖ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ

তুমি তোমরা রবের পথে হিকমত ও সুন্দর উপদেশের মাধ্যমে আহবান কর এবং সুন্দরতম পন্থায় তাদের সাথে বিতর্ক কর। নিশ্চয় একমাত্র তোমার রবই জানেন কে তার পথ থেকে ভ্রষ্ট হয়েছে এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের তিনি খুব ভাল করেই জানেন।(16:125)

এই কাজের চেয়ে উওম কাজ আর কি হতে পারে।
যে আমরা মানুষদেরকে আল্লাহর দিকে আহবান করব
মানুষদেরকে মানুষের দাসত্ব থেকে মুক্ত করে আল্লাহর দাসত্বের দিকে আল্লাহর গোলামীর দিকে আল্লাহর এবাদতের দিকে ফিরিয়ে আনব। পথ হারা মানুষদেরকে সঠিক পথের সন্ধান দিব গুনাহে নিমজ্জিত ব্যক্তিদেরকে হেদায়াত এর পথ দেখাবো
আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কোরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন ‘তার কথার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে
পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে,
সৎ কাজ করে এবং বলে আমি (আল্লাহর
কাছে) আত্মসমর্পণকারীদের একজন।’ [হা-মিম
আস্ সিজদাহ : ৩৩]
হাদিসের মধ্যে দাওয়াতের অনেকগুলো ফজিলত বর্ণিত রয়েছে। খায়বারের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী (রা) কে লক্ষ করে বলেছেন
তোমার মাধ্যমে যদি আল্লাহ তায়ালা একজন লোককে ও যদি হেদায়াত দেন। তাহলে এটা তোমার জন্য একটা লাল উটের অপেক্ষায় অধিক উত্তম। অন্য হাদীসের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে কেউ যদি কাউকে ভালো কাজের দিকে আহবান করে
আর ওই ব্যক্তি যদি সে ভালো কাজটা করে
তাহলে আহবানকারী ব্যক্তি ওই আমলকারী ব্যক্তির সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।তাদের উভয়ের সাওয়াবের ক্ষেত্রে কোন ধরনের কমবেশ করা হবে না।
অর্থাৎ আপনার দাওয়াতের মাধ্যমে যদি কেউ ইসলামে প্রবেশ করে তাহলে সে ইসলামে প্রবেশ করার পর সে যত নেক আমল করবে তার সমপরিমাণ আপনার আমলনামায় ও লেখা হবে।
মনে করুন কেউ নামাজ পড়তো না আপনার দাওয়াতের কারণে সে নামাজী হল তাহলে মনে

রাখবেন সে জীবনে যত রাকাত নামাজ আদায় করবে তত রাকাত নামাজ আপনার আমলনামায় লিপিবদ্ধ করা হবে। আপনাদের উভয়ের আমলের
মধ্যে রকম কম বেশ করা হবে না।
আপনারা যারা অনলাইন এ কাজ করেন তারা এই ব্যাপারটা ভালোই বুঝবেন

আসলেই এটা ref link & ref code এর মত।

সুতরাং আসুন না আমরা এক একজন দ্বিনের দায়ী হয়ে ময়দানে অবতীর্ণ হই। আমরা আমাদের নিজেদের স্বার্থ অনুযায়ী মানুষের ধারে ধারে গিয়া পৌঁছিয়ে দিয়।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের সবাইকে দ্বিনের পথে আহবান করা তাওফীক দান করুন আমীন।

4 thoughts on "দাওয়াহ এর ফজিলত"

  1. . Contributor says:
    গুড পোস্ট ইউসুফ ব্র।
    আমাকে চিনতে পেরেছ?
    আমি আগুনবিডির যে ইডিটর ছিলাম (মোস্তাকিম).
    তোমাকে গত দেড় হতে দু মাস আগে ফেসবুকে Droivpn free net নিয়ে সাহায্য করেছিলাম?
    এখন চিনছো?
    1. Bdyousufctg Author Post Creator says:
      Ha Vai cinse
    2. . Contributor says:
      হুম। তো author হলে কবে?
  2. Bdyousufctg Author Post Creator says:
    22 23 din hoytase

Leave a Reply