আসসালামু আলাইকুম
ট্রিকবিডি এর সকল সদস্যরা সবাই কেমন আছেন?
আশা করি ভালই আছেন,আর ভাল থাকারই কথা কারন আজ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জন্মদিন [ঈদ এ মিলাদুন্নবী],তাই সকল
আশেকে রাসুল ভাইদের জানাই ঈদে মিলাদুন্নবী এর শুভেচ্ছা
টাইটেল দেখেই আশা করি বুঝেগেছেন আজকের পোস্টটা কি নিয়ে, আসলে এখন আমি পোস্ট করতাম না কারন আগামী কাল থেকে আমার টেস্ট পরিক্ষা আর সেজন্যই অনেকদিন ধরে পোস্ট করিনা,কিন্তু আজ রাসুল বিদ্ধেশি দের কথা শুনে ঘা জ্বলে যাচ্ছিল তাই পোস্টটা করলাম,যারা নামদারি মুসলিম সেজে ইসলামের চরম ক্ষতি করছে,যারা রাসুল (সঃ)এর জন্মদিনে আনন্দ করাকে বিদাত বলে,কোরআন হাদিস এর দলিল সাফেক্ষে
তাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর নিয়েই আমার আজকের এই পোস্ট চলুন মূল আলোচনায় চলে যাই,
মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আনন্দ (ঈদ) উদযাপন করা কোরআনে আছে কি?
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَ بِرَحْمَتِهِ فَبِذَالِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَا خَىْرٌ مِمَّا ىَجْمَعُوْنَ
আর্থাৎ- “হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর “অনুগ্রহ” ও “রহমত” প্রাপ্তিতে তাঁদের মুমিনদের খুশি উদযাপন করা উচিত এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ট”।
[সুরা ঈউনূছ,আয়াত ৫৮]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস (রাঃ) এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, এখানে আল্লাহ এর “অনুগ্রহ” দ্বারা ইলমে দ্বীন এবং “রহমত” দ্বারা নবী কারীম (সাঃ) এর কথা বুঝানো হয়েছে।
[আদ্দুররুল মনসূর পৃঃ ৩৩০; তাফসীর রুহুল মা’আনী ১১তম খন্ড, পৃঃ ১৮৩]
সুতরাং আলোচ্য আয়াত এবং তাফসীরের মাধ্যমে বুঝা গেল, মিলাদুন্নাবী বা রাসূল (সাঃ) এর দুনিয়ায় শুভাগমনের কারণে স্বয়ং আল্লাহ পাক নিজে আমাদের আনন্দ উৎসব করার আদেশ দিয়েছেন। আর মিলাদুন্নাবী বা রাসূল (সাঃ) এর আগমন উপলক্ষে আনন্দ-উতসব বা খুশী উদযাপন করার নামই হল পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাঃ)।
শুধুমাত্র ইবলিশ শয়তান জীবনে নূর নবীজীর ﷺُ দুনিয়াতে আগমনের সময়টাতেই খুব বেশি কেঁদেছে বা আফসোস/হা-হুতাশ করেছে।
১. আল্লাহ যখন তাকে অভিশপ্ত হিসেবে ঘোষণা দিলেন,
২. যখন তাকে বেহেস্ত থেকে বিতাড়িত করা হল,
৩. নূর নবীজীর ﷺُ দুনিয়াতে আগমনের সময় এবং
৪. সূরা ফাতিহা নাযিল হবার সময়
[সূত্রঃ ইবন কাসির, আল আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা – ১৬৬]
আর তাই তো বুখারী শরীফের ব্যাখাকার বিশ্ববিখ্যাত মোহাদ্দিস আল্লামা কুস্তোলানী রহমাতুল্লাহে আলাইহি (ওফাত ৯২৩ হিজরী) বলেন-
“যে ব্যক্তি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর শুভাগমনের মোবারক মাসের রাতসমূহকে ঈদ হিসেবে গ্রহণ করে, আল্লাহ তার উপরে রহমত বর্ষণ করেন। আর উক্ত রাত্রকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করবে এ জন্য যে, যাদের অন্তরে (নবী বিদ্বেষী) রোগ রয়েছে। তাদের ঐ রোগ যেন আরো শক্ত আকার ধারণ করে এবং যন্ত্রণায় অন্তর জ্বলে পুড়ে যায়”।
[শরহে জুরকানী আলাল মাওয়াহেব,
খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চালু ছিল এবং এ জন্য অন্যকে তাগীদ করেছেন ========================== মক্কা শরীফের অন্যতম প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা শিহাব উদ্দিন আহমদ ইবনে হাজার আল হায়তামী আশশাফী রাহমাতুল্লাহে আলাইহি (জন্ম- ৮৯৯ হিজরী, ওফাত- ৯৭৪ হিজরী) তাঁর সুবিখ্যাত “আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের মধ্যে নিম্নোক্ত হাদীস গুলো তিনি বর্ণনা করেন- ১। সর্বশ্রেষ্ট সাহবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- ﻣَﻦْ ﺍَﻧْﻔَﻖَ ﺩِﺭْﻫَﻤًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻗِﺮﺍ ﺓَ ﻣَﻮْ ﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒﻰُ ﻣَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﻨَﺮَﻓِﻴْﻘِﻰ ﻓﻰِ ﺍﻟﺠَﻨّﺔِ অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭] ২। দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন – ﻣَﻦْ ﻋَﻈَّﻢَ ﻣَﻮْﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﻘَﺪْ ﺍَﺧْﻴَﺎ ﺍﻻﺳْﺎﻻَﻡُ অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করলো, সে অবশ্যই ইসলামকে জীবিত করলো”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭] ৩। তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন – ﻣَﻦْ ﺍَﻧْﻔَﻖَ ﺩِﺭْﻫَﻤًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻗﺮﺃﺓ ﻣَﻮْﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰُ ﺻَﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢْ ﻓَﻜَﺎ ﻧَّﻤَﺎ ﺛَﻬِﻴﺪ ﻏَﺰُﻭَﺓِ ﺑَﺪَﺭ ﺭَﻭﺣُﻨَﻴْﻦُ অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম খরচ করল- সে যেন নবীজীর সাথে বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক হলো”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮] ৪। চুতর্থ খলিফা হযরত আলি রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন- ﻣَﻦْ ﻋَﻈَّﻢَ ﻣَﻮْ ﻟِﺪِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻰ ﺻَﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺳَﺒَﺒَﺎ ﻟِﻘﺮﺍ ﺗﻪ ﻻ ﻳَﺤْﺮُﻡُ ﻣِﻦَ ﺍﻟﺪُّﻧْﻴَﺎ ﺍِﻻ َّﺑِﺎﻻِ ﻳْﻤَﺎﻥِ ﻭَﻳَﺪْﺧُﻞُ ﺍﻟﺠَﻨَّﻪَ ﺑِﻐَﻴْﺮِ ﺣِﺴَﺎﺏ অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করবে এবং উদ্যোক্তা হবে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”। [আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮] বিখ্যাত মুহাদ্দীস আল্লামা ইউসুফ নাবহানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর মতে হাদীসগুলো সম্পূর্ণ সহীহ এবং সনদ নির্ভরযোগ্য। তিনি তাঁর ‘জাওয়াহেরুল বিহার’ এর গ্রন্থে ৩য় খন্ডের ৩৫০ পৃষ্ঠায় তা উল্লেখ করেছেন । অপরদিকে মক্কা শরীফের স্বনামধন্য আল্লামা ইবন হাজর হায়তামী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর নির্ভরতা প্রশ্নাতীত। তাঁর “আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের উপর বহু শরাহ লিখা হয়েছে অর্থাৎ তাঁর লিখিত কিতাবকে আলেমগণ নির্ভরযোগ্য হিসেবেই গণ্য করতেন এবং সেই সাথে রেফারেন্স হিসেবে উল্লেখ করতেন। তন্মধ্যে আল্লামা দাউদী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ও আল্লামা সাইয়িদ আহমদ আবেদীন দামেস্কি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম। তাঁর রিওয়াতকৃত উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণীত হল যে, খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও মিলাদুন্নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চালু ছিল এবং তারাও এর জন্য অন্যকে তাগীদ করেছেন।
আল-কুরআন শরীফ অনুসারে ঈদ -এ -মীলাদুন্নবী সা:
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আল-কুরআন শরীফে এরসাধ করেন : –
” ওয়ামা আরসালনাকা ইল্লাহ রহমাতাললিল আলামীন -আমি আপনাকে সমগ্র সৃষ্টর জন্য রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি ”
—-আল-কুরআন ।
লক্ষ্যণীয় বিষয় এই আয়াতে কারিমায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ,রাসূলুল্লাহ সা: কে রহমত হিসেবে উল্লেখ করেছেন ।
” কুল বিফাদলিল্লাহি ওয়া বিরাহমতিহী ফাবিজলিকা ফাদইয়াফরুহূ হুওয়া খায়রুমমিমা ইয়াজমাউন – আপনি বলুন আল্লাহর রহমত এবং ফজল প্রাপ্তিতে তাদের খুশি( সন্তুষ্টি ) হওয়া উচিৎ । তারা যাহা অর্জন করে তাহা অপেক্ষা অধিক উওম ”
—-আল-কুরআন ।
” আল্লহর নেয়ামত এবং রহমত প্রাপ্তিতে তারা আনন্দ প্রকাশ করে এবং তা এভাবে যে আল্লাহ ঈমানদারদের শ্রমফল বিনষ্ট করেন না ”
তাই যেহেতু আল্লাহর রাসূল সা: আল্লাহর রহমত এবং এই রহমত কে উপলক্ষ করে খুশি হতে নির্দেশ দিয়েছেন তাই ঈদ-এ -মীলাদুন্নবী সা: কে কেন্দ্র করে খুশি হয়ে মাহফিল করা ধর্ময় আলোচনা করা মিষ্টি মুখ করা আল-কুরআন শরীফ অনুসারে জায়েজ আছে এবং উওম ।তাই দিনের নবীর সা: এর মোহব্বতে ঈদ-এ-মীলাদুন্নবী সা: মুসলিম বিশ্ব সমারোহে পালন করে থাকেন ।
” হুয়াল্লাজিনা কাফারু ওয়া কাযজবুবি আয়তিনা উলাইকা আসহাবুল জাহিম – যে আমার একটি আয়াতকে অস্বীকার করে অবমাননা করে সে কাফের তার অবস্থান জাহিম নামক নরকে ”
—-আল-কুরআন ।
তাহলে উপরে উল্লেখিত আল-কুরআন এর আয়াত অবমাননা অনুসারে অস্বীকার করা অনুসারে আল-কুরআন মোতাবেক যারা ঈদে মিলাদুন্নবীতে খুশি হওয়া না যায়েজ বলে তারা কি কাফের নয়? কাফের নয় ?
আল্লাহ পাক যেন সেসমস্ত মানুষ কে বোজার তৌফিক দান করেন[আমিন]
এতক্ষনধরে পোস্ট টা পড়ার জন্য ধন্যবাদ
যেহেতু ট্রকবিডির শর্ত মতে ইসলাম বিদ্বষি পোষ্ট করলে ট্রেইনার বাতিল করা হয়। তাই ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বিষয় পোষ্টটি সমপুর্ন হারাম বিদয়াতি। তাই পোষ্ট কারীকে বাতিল করার অনুরোধ রইল
হারাম কাহাকে বলে?
বিদাত অর্থ কী?
এবং বিদাত কতপ্রকার?
বিদাতের সব হাদিসগুলো দিন।
ভাই, আপনার জন্মও কিন্তু বিদাত, সেটা জানেনতো?
একানে তো ভুল কিছু বলেনি………
যে নবি সৃষ্টি না হলে এই দুনিয়া সৃষ্টি হত না……
তার জন্ম দিনে “ঈদে মিলাদুন্নবী(সঃ)
পালন করলে কোন বেদাত নয়। অনেক হাদিসে বলা আছে।।।।।।।।
আপনাকে বুঝার তোফিক দান করক………
Ja nobi ke sristi na korle kisui sristi kora hot na hadis ta fake fake fake…
ﻗُﻞْ ﺑِﻔَﻀْﻞِ ﺍﻟﻠّٰﻪِ ﻭَﺑِﺮَﺣْﻤَﺘِﻪٖ ﻓَﺒِﺬٰﻟِﻚَ ﻓَﻠْﻴَـﻔْﺮَﺣُﻮْﺍؕ ﻫُﻮَ ﺧَﻴْﺮٌ ﻣِّﻤَّﺎ ﻳَﺠْﻤَﻌُﻮْﻥَ
Bengali – Tafsir Ahsanul Bayaan
তুমি বলে দাও, ‘এ হল তাঁরই অনুগ্রহ ও করুণায়; সুতরাং এ নিয়েই তাদের আনন্দিত হওয়া উচিত;[১] এটা তারা যা (পার্থিব সম্পদ) সঞ্চয় করছে তা হতে অধিক উত্তম।’
[১] ‘আনন্দ’ বা ‘খুশি’ বলা হয় ঐ অবস্থাকে যা কোন আকাঙ্ক্ষিত বস্তু অর্জনের ফলে মানুষ নিজ মনে অনুভব করে। মু’মিনগণকে বলা হচ্ছে যে, এই কুরআন আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ও তাঁর রহমত, এ অনুগ্রহ লাভ করে মু’মিনগণের আনন্দিত হওয়া উচিত। এর অর্থ এই নয় যে, আনন্দ প্রকাশ করার জন্য জালসা-জলুস করে, আলোকসজ্জা বা অন্য কোনরূপ অপচয়ের অনুষ্ঠান উদ্যাপন করবে। যেমন বর্তমানের বিদআতীরা উক্ত আয়াত দ্বারা ‘নবীদিবস’ ইত্যাদি অভিনব বিদআতী অনুষ্ঠান বৈধ হওয়ার কথা প্রমাণ করতে চায়।
ঈদে মিলাদুন্নবি যদি এতোই গুরুতপুরনো
তাহোলে সাহাবিরা পালন করেন নাই কেন?
এগুলা বিদায়াত ইসলাম এ জায়েজ নাই
বিদাতের সবগুলো হাদিস জানেনতো?
ক্লাস ৯-১০ ১১-১২ এর হাদিসের বইগুলো পড়ে থাকলেতো বিদাত নিয়ে কথা বলতেননা আন্দাজে।
আপনার জন্মও কিন্তু বিদাত
বলে থাকেন বিদায়াতে সাইয়িয়াহ এটা আবার কোনটা???
কিতাবুত তাওহীদ প্রণেতা ২ যে ২ প্রকার উল্লেখ করেছেন,
তারভেতর একটা হলো بدعة في العبادات,,আর মিলাদুন্নবী এই প্রকারের বিদায়াত,,
আর বিদায়াতে হাসানা হলো :- কুরআন হাদিস বুঝার জন্য নাহু সরফ শিক্ষা করা।।।যেগুলার মাধ্যমে মানুষের উপকার সাধিত হয়।
ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বলেন- ﻣَﻦْ ﺍَﻧْﻔَﻖَ ﺩِﺭْﻫَﻤًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻗِﺮﺍ ﺓَ ﻣَﻮْ ﻟِﺪِ
ﺍﻟﻨَّﺒﻰُ ﻣَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻛَﻨَﺮَﻓِﻴْﻘِﻰ ﻓﻰِ ﺍﻟﺠَﻨّﺔِ অর্থাৎ-
“যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে
জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে”।
জান্নাত এতো সোজা???
এগুলো পড়ে নিশ্চয়ই মনে হয় যে, এগুলো করলেই মনে হয় জান্নাতে যাওয়া যাবে, নামাজ অন্যকিছু করা লাগবেনা।
এবং এই কথাগুলো একমাত্র যাদের ইসলাম হাদিস কুরআন ইজমা কিয়াস সম্পর্কে ধারণা নাই তারাই বলে
……..
!…..
..
.
আর নবীজির জন্ম ১২ রবিউল আউয়াল কিনা সেটা নিয়ে মতভেদ আছে তবে নবীজির ওফাতের দিন যে ১২ ই রবিউল আউয়াল তা নিয়ে কারো মতভেদ নেই।
আচ্ছা ধরুন আপনার বাবার জন্ম ও মৃত্য যদি একই দিনে হয় তবে ঐদিন আপনার বাবার জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ করাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত!!
আর নামই তো লিখিতে পারিস না, কাস্তাল্লানীর যায়গায় কুস্তোলানী লিখস। আর সনদ বিহিন এক কিতাবের সনদ বিহিন জাল হাদিস বর্ণনা করে সাধারণ মানুষদের ধীকা দিচ্ছিস।
এই বেদাতির লিখা পড়ে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না, এরা বাতিল ইলমহীন গোমরাহ এক ফির্কা, ধোকা দেওয়াই এদের কাজ।
চালিয়ে জান।
পাশে পাবেন।
১…. ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি (র) তাঁর লিখিত আলহাভী লিল ফাতাওয়া-১ম খন্ড-২২৫ পৃষ্ঠায় লিখেন- মিলাদুন্নাবী(সা) পালন করা মুস্তাহাব..।
২…হাফেয জালালুদ্দিন সূয়তী (র) বলেন -মিলাদুন্নাবী (সা) কে মুস্তাহাব বলেছেন এবং আলাদা কিতাব লিখেছেন(হুসনুল মাকসাদ ফি আমালিল মাওলিদ)
৩…ইবনে তাইমিয়াও মিলাদুন্নাবীকে মুস্তাহাব বলেছেন এবং দীর্ঘ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে প্রমান করেছেন(ইক্বতিদাউস সিরাতিল মুস্তাকিম-২০৯ পৃষ্ঠা)
৪…ভারতবর্ষে সর্ব প্রথম হাদিস বাহক,শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী (র) মিলাদুন্নাবীকে মুস্তাহাব বলেছেন এবং ঐ রাত্রকে লাইলাতুল ক্বদর রাত্র থেকেও বরকতময় বলেছেন (মা সাবাতা বিস সুন্নাহ-৮৩)
৫…শাহ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দেশ দেহলভী (র) মিলাদুন্নাবীকে মুস্তাহাব বলেছেন (ফুয়ুজুল হারামাইন)
১…. ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি (র) তাঁর লিখিত আলহাভী লিল ফাতাওয়া-১ম খন্ড-২২৫ পৃষ্ঠায় লিখেন- মিলাদুন্নাবী(সা) পালন করা মুস্তাহাব..।
২…হাফেয জালালুদ্দিন সূয়তী (র) বলেন -মিলাদুন্নাবী (সা) কে মুস্তাহাব বলেছেন এবং আলাদা কিতাব লিখেছেন(হুসনুল মাকসাদ ফি আমালিল মাওলিদ)
৩…ইবনে তাইমিয়াও মিলাদুন্নাবীকে মুস্তাহাব বলেছেন এবং দীর্ঘ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে প্রমান করেছেন(ইক্বতিদাউস সিরাতিল মুস্তাকিম-২০৯ পৃষ্ঠা)
৪…ভারতবর্ষে সর্ব প্রথম হাদিস বাহক,শায়েখ আব্দুল হক মুহাদ্দেস দেহলভী (র) মিলাদুন্নাবীকে মুস্তাহাব বলেছেন এবং ঐ রাত্রকে লাইলাতুল ক্বদর রাত্র থেকেও বরকতময় বলেছেন (মা সাবাতা বিস সুন
১…. ইমাম ইবনে হাজার আসকালানি (র) তাঁর লিখিত আলহাভী লিল ফাতাওয়া-১ম খন্ড-২২৫ পৃষ্ঠায় লিখেন- মিলাদুন্নাবী(সা) পালন করা মুস্তাহাব..।
২…হাফেয জালালুদ্দিন সূয়তী (র) বলেন -মিলাদুন্নাবী (সা) কে মুস্তাহাব বলেছেন এবং আলাদা কিতাব লিখেছেন(হুসনুল মাকসাদ ফি আমালিল মাওলিদ)
৩…ইবনে তাইমিয়াও মিলাদুন্নাবীকে মুস্তাহাব বলেছেন এবং দীর্ঘ প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে প্রমান করেছেন(ইক্বতিদাউস সিরাতিল মুস্তাকিম-২০৯ পৃষ্ঠা)