বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম-

মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। আমাদের পাড়ার আব্দুল্লাহর মা পানিতে ডুবে মরা কিশোর সন্তানটিকে বুকে জড়িয়ে পাগলপারা হয়ে কাঁদছেন। মায়ের বাঁধভাঙ্গা কান্না আর বিলাপ শুনে উপস্থিত কারো পক্ষেই চোখের পানি সংবরণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তিনি কাঁদছেন আর বিলাপ করে বলছেন, ‘ও বাবুর আব্বু তুমি আমাকে মেরে ফেল। আমিই তোমার সন্তানকে হত্যা করেছি। গতকালই ওর জ্বালা সহ্য করতে না পেরে আমি বলেছি, ‘তুই মরিস না; মরলে দশটা ফকিরকে খাওয়াতাম।’

হ্যা, সত্যিই তিনি আগেরদিন ছেলেটির দুরন্তপনায় অস্থির হয়ে এমন বলেছিলেন। তখন একজন পাগলেরও ভাবার অবকাশ ছিল না যে গর্ভধারিণী মা সত্যিই তার সন্তানের অমঙ্গল কামনা করছেন। কিন্তু অসচেতনভাবে কামনা করা দুর্ঘটনাও কখনো সত্য হয়ে দেখা দিতে পারে। আব্দুল্লাহর মা গতকাল রাগের মাথায় যে কথা উচ্চারণ করেছিলেন কে জানত আজই তা বাস্তব হয়ে দেখা দেবে।

ঘটনা হলো, সেদিন দুপুরে ছেলেটি তার মায়ের সঙ্গে শুয়ে ছিল। তিনটার দিকে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে একরকম জিদ করেই সে মায়ের কাছ থেকে ছুটে গিয়েছিল বৃষ্টিতে ভিজতে। বাড়ির বাইরে এসে সে আশপাশের সমবয়সী আরও কয়েকটি কিশোরকে পেয়ে যায়। সবাই মিলে কোন বুদ্ধিতে যেন দল বেঁধে যায় পাশের মহল্লার একটি নতুন পুকুরে গোসল করতে। সেখানে গিয়ে সবার আগে সে-ই লাফ দেই পুকুরে। অবুঝ কিশোর ঠিক বুঝতে পারেনি লাফ দিলে পুকুরের প্রায় গভীরে গিয়ে পৌঁছবে সে। যেখানে সাঁতার না জানা একটি কিশোরের জন্য অপেক্ষা করছে অবধারিত মৃত্যু। ঘটনা যা হবার তাই হল। বাচ্চাগুলোর চোখের সামনেই সে পানিতে ডুবল। ওরা ভাবল সে বুঝি তাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। কিছুক্ষণ পর তারা ওকে না পেয়ে ভয়ে আশপাশের লোকদের ডেকে আনল। ততক্ষণে অবশ্য তার ক্ষুদেকায় দেহ থেকে প্রাণপাখি উড়াল দিয়েছে।

মা তার সন্তানকে অবর্ণনীয় কষ্টে গর্ভে ধারণ করেন। অমানুষিক কষ্টে পৃথিবীর আলো-বাতাসে আনেন। তারপর নিজের ভালোবাসা আর ত্যাগের সবটুকু উজাড় করে অসহায় একটি শিশুকে যথাক্রমে সুস্থ, সবল, সজ্ঞান ও স্বাবলম্বী করে তোলেন। সন্তান মানুষ করতে গিয়ে বাবা-মাকে যে কতটুকু কষ্ট সহ্য করতে হয় তা শুধু বাবা-মায়েরাই জানেন। বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোতে এ কষ্ট আরও বেশি। এখানে রোজ দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে লড়াই করে মানুষকে টিকে থাকতে হয়।

অভাবের কারণে একজন নবীন মাকেও একহাতে সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব আর অপরহাতে বুকের ধন সন্তানটিকে আগলাতে হয়। অনেক মা আছেন যারা সময়মত বাচ্চার খাবারটিও যোগাতে পারেন না রুচিমত। বিশেষত যেসব বাচ্চা জন্মের পর মায়ের বুকের দুধ পায় না। দরিদ্র পরিবারে এসব শিশুকে যে কত কষ্টে মা জননী বড় করে তোলেন তা একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন। এ সময় মায়েদের অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষার প্রয়োজন হয়।

অথচ প্রগলভ চরিত্রের অনেক মা’কে এ সময় ধৈর্যহারাও হতে দেখা যায়। অনেক মা সন্তানের ওপর বিরক্ত হয়ে তাকে অবলীলায় অভিশাপ দিয়ে দিয়ে বসেন। স্নেহময়ী জননী হয়তো তার জীবনের বিনিময়ে হলেও সন্তানের যে কোনো অনিষ্ট রোধ করতে চাইবেন। কিন্তু তিনিই আবার রাগের মাথায় অবচেতনে আদরের সন্তানটির অনিষ্ট কামনা করে বসেন। গ্রাম-বাংলায় প্রায়ই দেখা যায় সন্তানদের দুরন্তপনা বা দুষ্টুমিতে নাকাল হয়ে অনেক মা সরাসরি বাচ্চার মৃত্যু কামনা করে বসেন। ‘তুই মরিস না’, ‘তুই মরলে ফকিররে একবেলা ভরপেট খাওয়াতাম’, ‘আল্লাহ, আমি আর পারিনে’, ‘এর জ্বালা থেকে আমাকে নিস্তার দাও’- এ জাতীয় বাক্য আমরা অহরহই শুনতে পাই। বিশেষত কৈশোরে এসে গ্রাম-বাংলার শিশুদের দুরন্তপনা কখনো সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। ফলে কিশোর সন্তানকে উদ্দেশ করেই সাধারণত মায়েরা এমন অসহিষ্ণু বাক্যোচ্চারণ করে থাকেন। তাই এ সময় মাকে অনেক বেশি ত্যাগ ও ধৈর্যের পারাকাষ্ঠা দেখাতে হয়।

ইসলামের সার্বজনীন আদর্শের ধারাবাহিকতায় এ বিষয়টি সম্পর্কেও আমরা দিকনির্দেশনা পাই তারই কাছে। এ ব্যাপারেও ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়। ইসলাম কখনো কারো বিরুদ্ধে অভিশাপ দেয়া বা বদ দু‘আ করাকে সমর্থন করে না। আপন সন্তানকে তো দূরের কথা জীবজন্তু এমনকি জড় পদার্থকে অভিশাপ দেয়াও সমর্থন করে না। জাবির ইবন আবদুল্লাহ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

ﺳِﺮْﻧَﺎ ﻣَﻊَ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ﻓِﻰ ﻏَﺰْﻭَﺓِ ﺑَﻄْﻦِ ﺑُﻮَﺍﻁٍ ﻭَﻫُﻮَ ﻳَﻄْﻠُﺐُ ﺍﻟْﻤَﺠْﺪِﻯَّ ﺑْﻦَ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺍﻟْﺠُﻬَﻨِﻰَّ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺿِﺢُ ﻳَﻌْﺘَﻘِﺒُﻪُ ﻣِﻨَّﺎ ﺍﻟْﺨَﻤْﺴَﺔُ ﻭَﺍﻟﺴِّﺘَّﺔُ ﻭَﺍﻟﺴَّﺒْﻌَﺔُ ﻓَﺪَﺍﺭَﺕْ ﻋُﻘْﺒَﺔُ ﺭَﺟُﻞٍ ﻣِﻦَ ﺍﻷَﻧْﺼَﺎﺭِ ﻋَﻠَﻰ ﻧَﺎﺿِﺢٍ ﻟَﻪُ ﻓَﺄَﻧَﺎﺧَﻪُ ﻓَﺮَﻛِﺒَﻪُ ﺛُﻢَّ ﺑَﻌَﺜَﻪُ ﻓَﺘَﻠَﺪَّﻥَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺑَﻌْﺾَ ﺍﻟﺘَّﻠَﺪُّﻥِ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﺷَﺄْ ﻟَﻌَﻨَﻚَ ﺍﻟﻠَّﻪُ . ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ – ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ – ‏« ﻣَﻦْ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﻼَّﻋِﻦُ ﺑَﻌِﻴﺮَﻩُ ‏» . ﻗَﺎﻝَ ﺃَﻧَﺎ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ . ﻗَﺎﻝَ ‏« ﺍﻧْﺰِﻝْ ﻋَﻨْﻪُ ﻓَﻼَ ﺗَﺼْﺤَﺒْﻨَﺎ ﺑِﻤَﻠْﻌُﻮﻥٍ ﻻَ ﺗَﺪْﻋُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﺪْﻋُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻭْﻻَﺩِﻛُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﺪْﻋُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟِﻜُﻢْ ﻻَ ﺗُﻮَﺍﻓِﻘُﻮﺍ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺳَﺎﻋَﺔً ﻳُﺴْﺄَﻝُ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻋَﻄَﺎﺀٌ ﻓَﻴَﺴْﺘَﺠِﻴﺐُ ﻟَﻜُﻢْ ».

বাতনে বুওয়াত যুদ্ধের সফরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে পথ চলছিলাম। তিনি মাজদী ইবন ‘আমর জুহানীকে খুঁজছিলেন। পানি বহনকারী উটগুলোর পেছনে আমাদের মধ্য থেকে পাঁচজন, ছয়জন ও সাতজন করে পথ চলছিল। উকবা নামক এক আনসারী ব্যক্তি তাঁর উটের পাশ দিয়ে চক্কর দিল এবং তাকে থামাল। তারপর তার পিঠে উঠে আবার তাকে চলতে নির্দেশ দিল। উটটি তখন একেবারে নিশ্চয় হয়ে গেল। তিনি তখন বললেন ধুত্তুরি। তোর ওপর আল্লাহর অভিশাপ। এ শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, নিজের উটকে অভিশাপদাতা এই ব্যক্তিটা কে? তিনি বললেন, আমি হে আল্লাহর রাসূল। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ‘তুমি এর পিঠ থেকে নামো। তুমি আমাদের কোনো অভিশপ্তের সঙ্গী করো না। তোমরা নিজেদের বিরুদ্ধে, তোমাদের সন্তান-সন্তুতির এবং তোমাদের সম্পদের বিরুদ্ধে দু‘আ করো না। তোমরা আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন মুহূর্তের জ্ঞানপ্রাপ্ত নও, যখন যা কিছুই চাওয়া হয় তিনি  তোমাদের তা দিয়ে দেবেন।’ [মুসলিম : ৭৭০৫]

হাদীসের ব্যাখ্যায় মোল্লা আলী কারী রহ. বলেন, অর্থাৎ তোমরা কোনো মুহূর্তেই নিজের বিরুদ্ধে, নিজের সন্তান বা সম্পদের বিরুদ্ধে বদদু‘আ করো না। কারণ, হতে পারে যে সময় তুমি দু‘আ করছো, তা দিনের মধ্যে ওই সময় যখন যা-ই দু‘আ করা হোক না কেন তা কবুল করা হয়। তোমরা তো এ সময় সম্পর্কে আল্লাহর পক্ষ থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত নও। (মুবারকপুরী, মিরআতুল মাফাতীহ : ৭/৭০৩)

হাদীসটি বর্ণনা করে আরেক ব্যাখ্যাকার বলেন,

ﻓﺎﻟﺤﺪﻳﺚ ﻳﺪﻝ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﻬﻲ ﻋﻦ ﻛﻮﻥ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻳﺪﻋﻮ ﻋﻠﻰ ﺃﻫﻠﻪ ﻭﻣﺎﻟﻪ، ﻭﺫﻟﻚ ﻋﻨﺪﻣﺎ ﻳﺤﺼﻞ ﻟﻪ ﻏﻀﺐ ﻓﻴﺤﺼﻞ ﻣﻨﻪ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ، ﻭﻫﻮ ﻣﺸﺘﻤﻞ ﺃﻳﻀﺎً ﻋﻠﻰ ﺑﻴﺎﻥ ﺍﻟﻌﻠﺔ ﻭﺍﻟﺤﻜﻤﺔ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ، ﻭﺃﻧﻪ ﻗﺪ ﻳﻜﻮﻥ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺪﻋﺎﺀ ﻳﻮﺍﻓﻖ ﺳﺎﻋﺔ ﺇﺟﺎﺑﺔ ﻓﻴﺴﺘﺠﺎﺏ ﻟﻺﻧﺴﺎﻥ ﻓﻴﻤﺎ ﺳﺄﻝ ﻣﻦ ﺍﻟﺸﺮ ﺃﻭ ﻣﻦ ﺍﻟﺸﻲﺀ ﺍﻟﺬﻱ ﻻ ﻳﻨﺒﻐﻲ ﻷﻫﻠﻪ ﻭﻣﺎﻟﻪ .

‘হাদীসটি রাগের মাথায় মানুষের তার পরিবার ও সম্পদের বিরুদ্ধে দু‘আ করার নিষিদ্ধতা প্রমাণ করে। হাদীসটি এর কারণও তুলে ধরে। আর তা হলো, এ দু‘আটি কবুলের বিশেষ মুহূর্তে পড়ে যেতে পারে। ফলে মানুষের সবই কবুল হয়ে যায় চাই তা ভালো হোক বা মন্দ, যা সে তার পরিবার বা সম্পদের ক্ষেত্রে প্রত্যাশা করে না।’ [আবদুল মুহসিন, শারহু সুনান আবী দাউদ : ৮/২৮৮]

নিজের সন্তানের বিরুদ্ধে দু‘আ করার অর্থ তো নিজেই নিজেকে হত্যার তথা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া। আর এ সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

  ﻭَﻟَﺎ ﺗُﻠۡﻘُﻮﺍْ ﺑِﺄَﻳۡﺪِﻳﻜُﻢۡ ﺇِﻟَﻰ ﭐﻟﺘَّﻬۡﻠُﻜَﺔِ – ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ : ١٩٥

‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না।’ [ সূরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৯৫]

অতএব প্রতিটি মাকে ভেবে দেখতে হবে, আমার রাগের মাথায় উচ্চারণ করা বাক্য যদি সত্যে পরিণত তাহলে কেমন লাগবে? আমি কি তা সহ্য করতে পারব? এ জন্য রাগের মাথায়ও কখনো সন্তানের অমঙ্গল কামনা করা যাবে না। প্রসঙ্গত বলা দরকার যে শুধু মায়েদেরই নয়, আমাদের সবারই উচিত নিজের, নিজের সন্তান ও সম্পদের বিরুদ্ধে বদদু‘আ করা থেকে সংযত হওয়া। রাগের সময় সংযম ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেওয়া।

আর মেয়েদের সবিশেষভাবে বলতে চাই, মা, আপনি অনেক সয়েছেন, অনেক সবর করেছেন, আরেকটু সবর করুন। রাগের মাথায় সন্তানকে অভিশাপ দেয়া থেকে সংযত থাকুন। আল্লাহ আপনার সহায় হোন। আমীন।

তথ্য সূত্রঃ- কুরআনের আলো

সবাই ভালো থাকবেন ভালো রাখবেন আর Trickbd সাথেই থাকবেন।

16 thoughts on "আপনার সন্তানকে অভিশাপ দেবেন না। সবাই শেয়ার করবেন"

  1. iscanayeem Contributor says:
    tnQ all
    amake trickbd er member bananor
    jonno
    tnQ so much all
    1. Mozaffor Contributor says:
      Post korar jonno thanks
  2. Morshed Author says:
    ভাল লাগল তবে জন্মের পর থেকেই মায়ের কাছ থেকে অভিশাপ পেয়ে আসছি।।
    1. tahmid habib Contributor says:
      কেন ভাই?
    2. M.Rubel Author Post Creator says:
      আপনার মা যদি এখনো জীবিতো থাকে তা হলে মায়ের দোয়া নিন।
      ধন্যবাদ। আপনার মতামত শেয়ার করার জন্য
    3. Morshed Author says:
      আরে ভাই পড়া লেখার জন্য আর বাইরে জাউয়ার জন্য
  3. kawser5784 Subscriber says:
    tnx vai..amader majhe share korar jonno
    1. M.Rubel Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ
  4. Trickbd Support Moderator says:
    স্ক্রিনশট এ সাইটের লিংক কেনো?
    1. M.Rubel Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ Support ভাই। ভুলটি দরিয়ে দেবার জন্য।

Leave a Reply