শুরু করছি আসছে ভালবাসা দিবস নিয়ে ।
এক নোংরা ও জঘন্য ইতিহাসের স্মৃতিচারণের নাম বিশ্ব ভালবাসা দিবস। এ ইতিহাসটির বয়স সতের শত সাঁইত্রিশ বছর হলেও ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ নামে এর চর্চা শুরু হয় সাম্প্রতিক কালেই। দুই শত সত্তর সালের চৌদ্দই ফেব্রুয়ারির কথা।
ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস
২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেইটাইন’স নামে একজন খৃষ্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার-অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাঁকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খৃষ্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে সেন্ট ভ্যালেইটাইনের জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। অতঃপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও ১ম জুলিয়াস ভ্যালেইটাইন’স স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন’ দিবস ঘোষণা করেন।
পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা কসুর করে না। খৃস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়।
ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়।
কিন্তু এ ভালবাসা দিবস নামে এই দিনটি সারাবিশ্বে প্রচলিত হলেও আমাদের দেশে প্রচারিত হয়েছে কয়েক বছর আগে।
জেনে নেই বাংলাদেশের ভালবাসা দিবসের প্রথম সময়ের কাহিনী।
বাংলাদেশে এ দিবসটি পালন করা শুরু হয় ১৯৯৩ইং সালে। কিছু ব্যবসায়ীর মদদে এটি প্রথম চালু হয়। অপরিণামদর্শী মিডিয়া কর্মীরা এর ব্যাপক কভারেজ দেয়। আর যায় কোথায় ! লুফে নেয় বাংলার তরুণ-তরুণীরা। এরপর থেকে ঈমানের ঘরে ভালবাসার পরিবর্তে ভুলের বাসা বেঁধে দেয়ার কাজটা যথারীতি চলছে। আর এর ঠিক পিছনেই মানব জাতির আজন্ম শত্রু শয়তান এইডস নামক মরণ-পেয়ালা হাতে নিয়ে দাঁত বের করে হাসছে। মানুষ যখন বিশ্ব ভালবাসা দিবস সম্পর্কে জানত না, তখন পৃথিবীতে ভালবাসার অভাব ছিলনা। আজ পৃথিবীতে ভালবাসার বড় অভাব। তাই দিবস পালন করে ভালবাসার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হয়! আর হবেই না কেন! অপবিত্রতা নোংরামি আর শঠতার মাঝে তো আর ভালবাসা নামক ভালো বস্তু থাকতে পারে না। তাই আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হৃদয় থেকে ভালবাসা উঠিয়ে নিয়েছেন।
বিশ্ব ভালবাসা দিবসকে চেনার জন্য আরও কিছু বাস্তব নমুনা পেশ করা দরকার। দিনটি যখন আসে তখন শিক্ষাঙ্গনের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তো একেবারে বেসামাল হয়ে উঠে। নিজেদের রূপা-সৌন্দর্য উজাড় করে প্রদর্শনের জন্য রাস্তায় নেমে আসে। শুধুই কি তাই ! অঙ্কন পটীয়সীরা উল্কি আঁকার জন্য পসরা সাজিয়ে বসে থাকে রাস্তার ধারে। তাদের সামনে তরুণীরা পিঠ, বাহু আর হস্তদ্বয় মেলে ধরে পছন্দের উল্কিটি এঁকে দেয়ার জন্য। তারপর রাত পর্যন্ত নীরবে-নিবৃতে প্রেমিক বা প্রেমিকার সাথে খোশ গল্প। এ হলো বিশ্ব ভালবাসা দিবসের কর্মসূচি! বিশ্ব ভালবাসা দিবস না বলে বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস বললে অন্তত নামকরণটি যথার্থ হতো।
আমরা যেহেতু মুসলমান তাই জেনে নেই ইসলামের দৃষ্টিতে ভালবাসা দিবস সম্পর্কে কি বলে?ইসলামের দৃষ্টিতে ভালবাসা দিবস
এক:
বিশ্ব ভালবাসা দিবস পালন একটি রোমান জাহেলি উৎসব। রোমানরা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করার পরেও এ দিবস পালনের প্রথা অব্যাহত রাখে। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২৭০ খ্রিস্টাব্দে ভ্যালেন্টাইন নামক একজন পাদ্রির মৃত্যুদণ্ডের সাথে এ উৎসবটি সম্পৃক্ত। বিধর্মীরা এখনো এ দিবসটি পালন করে, ব্যভিচার ও অনাচারের মধ্যে তারা এ দিবসটি কাটিয়ে থাকে।
দুই:
কোন মুসলমানের জন্য কাফেরদের কোন উৎসব পালন করা জায়েয নয়। কেননা উৎসব (ঈদ) ধর্মীয় বিষয়। এ ক্ষেত্রে শরয়ি নির্দেশনার এক চুল বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন: উৎসব (ঈদ) ধর্মীয় অনুশাসন, ইসলামী আদর্শ ও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “তোমাদের প্রত্যেককে আমি আলাদা শরিয়ত ও মিনহাজ (আদর্শ) দিয়েছি”। তিনি আরও বলেন: “প্রত্যেক উম্মতের জন্য রয়েছে আলাদা শরিয়ত দিয়েছি; যা তারা পালন করে থাকে” যেমন- কিবলা, নামায, রোজা। অতএব, তাদের উৎসব পালন ও তাদের অন্যসব আদর্শ গ্রহণ করার মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কারণ তাদের সকল উৎসবকে গ্রহণ করা কুফরকে গ্রহণ করার নামান্তর। তাদের কিছু কিছু জিনিস গ্রহণ করা কিছু কিছু কুফরকে গ্রহণ করার নামান্তর। বরং উৎসবগুলো প্রত্যেক ধর্মের স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য এবং ধর্মীয় আলামতগুলোর মধ্যে অন্যতম। অতএব, এটি গ্রহণ করা মানে কুফরের সবিশেষ অনুশাসন ও সবচেয়ে প্রকাশ্য আলামতের ক্ষেত্রে তাদের অনুসরণ করা। কোন সন্দেহ নেই যে, এ ক্ষেত্রে তাদের অনুকরণ করা মানে কুফরের অনুকরণ করা।
এর সর্বনিম্ন অবস্থা হচ্ছে- গুনাহ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন: “নিশ্চয় প্রত্যেক কওমের উৎসব রয়েছে। এটা হচ্ছে আমাদের ঈদ বা উৎসব”। এটি যুনার (জিম্মিদের বিশেষ পোশাক) বা এ বিজাতিদের বিশেষ কোন আলামত গ্রহণ করার চেয়ে অধিক নিকৃষ্ট। কেননা এ ধরনের আলামত কোন ধর্মীয় বিষয় নয়; বরং এ পোশাকের উদ্দেশ্য হচ্ছে- মুমিন ও কাফেরের আলাদা পরিচয় ফুটিয়ে তোলা। পক্ষান্তরে তাদের উৎসব ও উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো একান্ত ধর্মীয়; যে ধর্মকে ও ধর্মাবলম্বীকে লানত করা হয়েছে। সুতরাং এ ধরনের ক্ষেত্রে তাদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করা আল্লাহর আযাব ও গজব নাযিলের কারণ হতে পারে।[ইকতিদাউস সিরাতিল মুস্তাকিম ১/২০৭]
অতএব, আমাদের সবাইকে উচ্চস্বরে বলতে হবে,
তিনি আরও বলেন: “কোন মুসলমানের জন্য তাদের উৎসবের সাথে সংশ্লিষ্ট কোন কিছুর ক্ষেত্রে সাদৃশ্য গ্রহণ করা জায়েয নয়। যেমন, খাবার দাবার, পোশাকাদি, গোসল, আগুন জ্বালানো অথবা এ উৎসবের কারণে কোন অভ্যাস বা ইবাদত বর্জন করা ইত্যাদি। এবং কোন ভোজানুষ্ঠান করা, উপহার দেওয়া, অথবা এ উৎসব বাস্তবায়নে সহায়ক এমন কিছু বেচাবিক্রি করা জায়েয নয়। অনুরূপভাবে তাদের উৎসবে শিশুদেরকে খেলতে যেতে দেওয়া এবং সাজসজ্জা প্রকাশ করা জায়েয নয়।
মোদ্দাকথা, বিধর্মীদের উৎসবের নিদর্শন এমন কিছুতে অংশ নেয়া মুসলমানদের জন্য জায়েয নয়। বরং তাদের উৎসবের দিন মুসলমানদের নিকট অন্য সাধারণ দিনের মতই। মুসলমানেরা এ দিনটিকে কোনভাবে বিশেষত্ব দিবে না।[মাজমুউল ফাতাওয়া (২৯/১৯৩)]
হাফেয যাহাবী বলেন: খ্রিস্টানদের উৎসব বা ইহুদিদের উৎসব যেটা তাদের সাথে খাস এমন কোন উৎসবে কোন মুসলমান অংশ গ্রহণ করবে না। যেমনিভাবে কোন মুসলমান তাদের ধর্মীয় অনুশাসনগুলো ও কিবলাকে গ্রহণ করে না।[তাশাব্বুহুল খাসিস বি আহলিল খামিস, মাজাল্লাতুল হিকমা (৪/১৯৩)]
ভালবাসা দিবস পালন নিম্নোক্ত কারণে জায়েয নয়এক. এটি একটি বিদআতি উৎসব; শরিয়তে এর কোন ভিত্তি নেই।
দুই. এটি মানুষকে অবৈধ প্রেম ও ভালবাসার দিকে আহ্বান করে।
তিন. এ ধরনের উৎসব মানুষের মনকে সলফে সালেহিনদের আদর্শের পরিপন্থী অনর্থক কাজে ব্যতিব্যস্ত রাখে।
সুতরাং এ দিনের কোন একটি নিদর্শন ফুটিয়ে তোলা জায়েয হবে না। সে নিদর্শন খাবার-পানীয়, পোশাকাদি, উপহার-উপঢৌকন ইত্যাদি যে কোন কিছুর সাথে সংশ্লিষ্ট হোক না কেন।
আমি যতদূর সম্ভব ভালোবাসা দিবস সম্পর্কে তথ্য ও ইতিহাস দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করেছি। ইসলামের দৃষ্টিতে, ইতিহাসের দৃষ্টিতে ও মানুষের দৃষ্টিতে ভালবাসা দিবস আসলে কি তা বুঝানোর চেষ্টা করেছি। আপনি যেহেতু ট্রিকবিডির পাঠক ও ডিজিটাল যুগের একজন নাগরিক সেহেতু আপনি বোঝেন যে আসলে কোনটা করা উচিত আর কোনটা না। তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত হচ্ছে আমরা যেহেতু মুসলমান তাই আমাদের খৃষ্টীয় উৎসবে না থাকায় ভালো।
ফেসবুুকে আমি
ধন্যবাদ,আপনার লেখার মাধ্যমে জানতে পারলাম,তাহলে এই দিন কোনো ভালবাসার কাজ হইলো না(যদি সত্যি হয়),,,,
এটায় প্রকৃত সত্য —-ইহুদি+খ্রিষ্ঠানদের জন্য মানুষ বর্তমানযুগে বেঁচে আছে,,,,
একটা html tag থেকে শুরু করে Internet সব তাদের তৈরি,,,,,আবার তাদের তৈরি জিনিস দিয়েই আমি,আপনি তাদের সমলোচনা করছি,,,,
@@@
.
১. রসায়নের জনক – (জাবির ইবনে হাইয়ান)
২. বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভূগোলবিদ – (আল-বেরুনি)
৩. আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক – (ইবনে সিনা)
৪. হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক – (ইবনুল নাফিস)
৫. বীজগর্ণিতের জনক – (আল-খাওয়ারিজমি)
৬. পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী – (আল-ফারাবি)
৭. আলোক বিজ্ঞানের জনক – (ইবনে আল-হাইছাম)
৮. এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক – (ওমর খৈয়াম)
৯. সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী – (আল-কিন্দি)
১০. গুটিবসন্ত আবিষ্কারক – (আল-রাজি)
১১. টলেমির মতবাদ ভ্রান্ত প্রমাণকারী – (আল-বাত্তানি)
১২. ত্রিকোণমিতির জনক – (আবুল ওয়াফা)
১৩. স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা – (ছাবেত ইবনে কোরা)
১৪. পৃথিবীর আকার ও আয়তন নির্ধারণকারী – (বানু মুসা)
১৫. মিল্কিওয়ের গঠন শনাক্তকারী – (নাসিরুদ্দিন তুসি)
১৬. এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী – (আবু কামিল)
১৭. ল’ অব মোশনের পথ প্রদর্শক – (ইবনে বাজ্জাহ)
১৮. এরিস্টোটলের দর্শন উদ্ধারকারী – (ইবনে রুশদ)
১৯.ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক – (ইবনে ইউনূস)
২০. পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয়কারী – (আল-ফরগানি)
২১. পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারী – (আল-ইদ্রিসী)
২২. বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক – (আল-জাজারি)
২৩. সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী – (আল-জারকালি)
২৪. মানবজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রণেতা – (আবুল ফিদা)
২৫. বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অগ্রদূত – (ইবনে আল-শাতির)
২৬. ভূগোলে বিশ্বকোষ প্রণেতা – (আল-বাকরি)
২৭. প্ল্যানেটারি কম্পিউটার আবিষ্কারক – (আল-কাশি)
২৮. বীজগণিতের প্রতীক উদ্ভাবক -(আল-কালাসাদি)
২৯. এশিয়া ও আফ্রিকা সফরকারী – (নাসির-ই-খসরু)
৩০. অঙ্কনে ব্যবহৃত কম্পাসের উদ্ভাবক – (আল-কুহি)
৩১. বিশ্ববিখ্যাত পরিব্রাজক – (ইবনে বতুতা)
ড. আর্থার জে, এ্যালিসন
মনস্তত্ববিদ আধ্যাত্মিক বিষয়ের গবেষক ড. আর্থার জে. এ্যালিসন ইসলামের বৈজ্ঞানিক বাস্তবতায় অভিভূত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। ড. এ্যালিসন কায়রো বৈজ্ঞানিক মহাসম্মেলনে অংশগ্রহণের প্রাক্কালে ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ‘মুসলমানেরা ইসলামের বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা অন্য ধর্মের লোকের কাছে উপস্থাপন করতে চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে’।
ড. এ্যালিসন, যার নাম এখন “আবদুল্লাহ এ্যালিসন” বৃটিশ ইউনিভার্সিটির ইলেট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান। তিনি পাশ্চাত্য বিজাতীদের ইসলামের সাথে পরিচিত হবার আহবান জানিয়ে বলেছেন, “ইসলাম একই সাথে বুদ্ধিমত্তা ও আবেগকে উদ্বেলিত করে।” ড. এ্যালিসন বলেন, তিনি ছয় বছর ধরে বৃটিশ মনস্তত্ববিদ ও আধ্যাত্মিক স্টাডিজ সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছেন। এবং এ অবস্থান তাকে ইসলাম, বিভিন্ন ধর্ম এবং দর্শন গভীরভাবে পড়ার সুযোগ করে দেয়। তিনি বলেন, কায়রো সম্মেলনের প্রাক্কালে তার মূল কাজ ছিলো ইসলামের আলোকে মনস্তত্ববিদ্যা এবং আধ্যাত্মিক বিদ্যার ওপর প্রবন্ধ তৈরি করা। এবং এর ফলস্বরূপ তিনি ঘুম ও মৃত্যুর স্বরূপ ও অবস্থা সম্পর্কে খুবই মনোমুগ্ধকর ও প্রেরণাদানকারী তথ্যের সন্ধান পান। তিনি আরও বলেন, “আমার আনন্দের সীমা ছিলো না এবং স্টাডিটি আমার জন্যে খুবই প্রেরণাদায়ক ছিলো। এভাবেই আমি ইসলামের শাশ্বতরূপ খুঁজে পাই।” তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাশ্চাত্য, ইসলামের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ। এই বৃটিশ বিজ্ঞানী বলেন, “কায়রো সম্মেলনে আলোচনা কালে আমরা উপসংহারে উপনীত হই যে, ইসলাম বিজ্ঞানের পথে সাংঘর্ষিক নয় এবং কুরআনের আলোকে মনস্তত্ববিদ্যার ওপর আরও গবেষণার জন্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করি।”
ড. এ্যালিসন কায়রো সম্মেলনের প্রবন্ধ লেখার সময় পবিত্র কুরআনের নিম্নোক্ত আয়াত পড়ে অভিভূত হন,
اللَّهُ يَتَوَفَّى الْأَنفُسَ حِينَ مَوْتِهَا وَالَّتِي لَمْ تَمُتْ فِي مَنَامِهَا ۖ فَيُمْسِكُ الَّتِي قَضَىٰ عَلَيْهَا الْمَوْتَ وَيُرْسِلُ الْأُخْرَىٰ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى ۚ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَآيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
“আল্লাহ মানুষের প্রাণ হরণ করেন তার মৃত্যুর সময়, আর যে মরে না, তার নিদ্রাকালে। অতঃপর যার মৃত্যু অবধারিত করেন, তার প্রাণ ছাড়েন না এবং অন্যান্যদের ছেড়ে দেন এক নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।” (সূরা যুমার, আয়াত নং-৪২)
তিনি বলেন, ‘গবেষণার মাধ্যমে পেয়েছেন, যখন মানুষ ঘুমায় তখন তার শরীর থেকে কিছু চলে যায় এবং যখন সেটি ফিরে আসে তখন মানুষ জেগে ওঠে। কিন্তু মৃত্যু হলে “এমন কিছু” চলে যায়, যা আর কখনও ফিরে আসে না। এবং যা কুরআনের উপরোক্ত আয়াতে স্পষ্টভাবে বর্ণনা দেয়া হয়েছে।”
সমুদ্র তলদেশ অনুসন্ধান ফ্রান্সের সমুদ্র বিজ্ঞানীকে ইসলাম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে
মি. জ্যাক ইয়েভস কসটিউ ফ্রান্সের প্রখ্যাত সমুদ্রবিজ্ঞানী। যিনি সারাজীবন সমুদ্র তলদেশ অনুসন্ধান করে কাটিয়েছেন এবং যাকে সমুদ্র তলদেশ অনুসন্ধানকারী শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি অভিনব এক অনুসন্ধানের পর ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তার অনুসন্ধান পবিত্র কুরআন দ্বারা সমর্থিত হয়েছে এবং তিনি মনে-প্রাণে মেনে নিয়েছেন যে, সমগ্র মানবজাতি এবং জীনের একমাত্র পথ প্রদর্শক আল্লাহ।
একদিন মিঃ জ্যাক সমুদ্র তলদেশে অনুসন্ধান করছিলেন, তখন তিনি লক্ষ্য করেন সমুদ্রের লবণাক্ত পানির সাথে আলাদাভাবে মিঠাপানির স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। যে বিষয়টি সবচেয়ে তাকে ভাবিয়ে তোলে তা হলো, লবণাক্ত পানি ও মিঠা পানির স্রোত আলাদাভাবে প্রবাহিত হচ্ছে এবং একটি অন্যটির সাথে কোনোক্রমেই মিশছে না। দীর্ঘক্ষণ ধরে তিনি এ রহস্যের কারণ অনুসন্ধানে আত্মনিমগ্ন হলেন। কিন্তু কোনো কুলকিনারা করতে পারলেন না।
একদিন তিনি বিষয়টি সম্পর্কে এক মুসলমান প্রফেসরের সাথে আলাপ করেন। সেই মুসলমান প্রফেসর তখন বললেন, “এটি সম্পূর্ণ আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে হয় এবং সেটির সুস্পষ্ট বর্ণনা আল কুরআনে এভাবে আছে-
وَهُوَ الَّذِي مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هَٰذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَهَٰذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَحِجْرًا مَّحْجُورًا
তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, একটি মিষ্টি, তৃষ্ণা নিবারক ও অন্যটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরাল, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল।” (সূরা আল ফুরকান, আয়াত নং-৫৩)
এ আয়াত শুনে মি. কসটিউ বললেন, “অবশ্যই কুরআন কোনো মানুষের তৈরী গ্রন্থ নয়।” তিনি ইসলাম গ্রহণ করলেন।
কুরআনের বৈজ্ঞানিক সত্যতা থাই-বিজ্ঞানীকে অভিভূত করে
প্রফেসর তাজাতেন তাহাসেন, যিনি অঙ্গব্যবচ্ছদ বিদ্যা (Anatomy) এবং ভ্রুণতত্ত্ববিদ্যা (Emoryology) বিভাগের ভূতপূর্ব প্রধান এবং থাইল্যাণ্ডের চ্যাংমি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন কলেজের বর্তমান উীন, তিনি যখন সৌদি আরব পরিভ্রমণ করেন, তখন তার গবেষণা ও অধ্যাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু কুরআনের আয়াত এবং হাদীসের সাথে পরিচিত হন। প্রফেসর তাজাতেন তখন কানাডার বিজ্ঞানী। কিথ মুরের (ভ্রুণতত্ত্ববিদ বিশেষজ্ঞ) সাথে পরিচত হবার এবং তার প্রবন্ধ পড়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে প্রফেসর তাজাতেনের প্রফেসর মূরের একটি লেখা পড়ার সুযোগ হয়। সে প্রবন্ধে প্রফেসর মূর লিখেন যে, তার মতে, কুরআনের সাথে আধুনিক বিজ্ঞানের ঢের মিল রয়েছে। প্রফেসর তাজাতেন এটা পড়ে খুব আশ্চর্যান্বিত হন এবং কুরআন পড়ার প্রতি তার বিস্তর আগ্রহ সৃষ্টি হয়। নিম্নের আয়াতটি তখন তিনি পড়েন,
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنَاهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا الْعَذَابَ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
“এতে সন্দেহ নেই যে, আমার নিদর্শন সমূহের প্রতি যেসব লোক অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করবে, আমি তাদেরকে আগুনে নিক্ষপ করবো। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে পুড়ে যাবে, তখন আবার আমি তা পাল্টে দেবো অন্য হিকমাতের অধিকারী।” (সূরা আন নিসা, আয়াত নং-৫৬)
প্রফেসর তাজাতেন এটির সাথে একমত হন এবং বলেন যে, এটি সাম্প্রতিক কালের একটি আবিষ্কারের সাথে সংগতিশীল।
তৃক সমস্ত স্নায়ুতন্ত্রের ধারক এবং যদি কোনো তৃক পরিপূর্ণভাবে পুড়ে যায় তবে এটির অনুভূতি শক্তি লোপ পায় অর্থাৎ এটি ব্যথা, স্পর্শ ইত্যাদি অনুভব করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে অবগত আছেন এবং এজন্যে অবিশ্বাসী দোযখবাসীকে বার বার আগুনে পুড়িয়ে প্রতিবার ত্বককে জীবিত করবেন যাতে সে (অবিশ্বাসী) অব্যাহতভাবে ব্যথা অনুভব করতে পারে।
প্রফেসর তাজাতেন বলেন যে, এটা খুবই অসম্ভব যে, কুরআন মানুষের উক্তি এবং এটি ১৪০০ বছরের পুরানো গ্রন্থ হলেও এটি সকল সময় ও যুগে চিরন্তন নতুন এক গ্রন্থ। কার নিকট থেকে জ্ঞানের এ অভিনব উৎস এসেছে? সেটির উত্তর, আল্লাহর নিকট থেকে। আল্লাহ কে? প্রফেসরের জিজ্ঞাসায় তাকে জানানো হলো যে, তিনি হলেন সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা। যার নিকট থেকে সত্য জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দয়া ও মমতা এসেছে। প্রফেসর তাজাতেন থাইল্যাণ্ডে ফিরে এসে সৌদি আরবে যেসব কিছু শিখেছিলেন সে সবের উপর অনেকগুলো লেকচার দিলেন। এ লেকচারের প্রত্যক্ষ ফলস্বরূপ তার পাচ ছাত্র ইসলাম গ্রহণ করেন।
খুব অল্প সময় পরে প্রফেসর তাজাতেন সৌদি আরবের রিয়াদে একটি সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্যে যান। উক্ত সম্মেলনের বক্তৃতায় প্রফেসর তাজাতেন ডেলিগেটদের উদ্দেশ্যে বলেন, পড়াশুনার কারণে তার বিশ্বাস জন্মেছে যে, কুরআনের সব কিছুই সত্য। কুরআনের বিষয়াবলী যেগুলো ১৪০০ বছর পূর্বে বর্ণনা করা হয়েছিলো, আজকের আধুনিক বিজ্ঞান সেগুলোর সত্যতার ব্যাখ্যা সম্প্রতি করেছে। প্রফেসর আরও বলেন, মুহাম্মাদ (সা) লিখতে পড়তে জানতেন না, তাই এসব সত্য-নিশ্চয় আল্লাহ বর্ণনা করেছেন। প্রফেসর তাজাতেন বললেন, সময় এসেছে ঘোষণা দেয়ার “লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা)”। প্রফেসর তাজাতেন তাহাসেন কুরআনের সকল বর্ণনা সত্য হিসেবে গ্রহণ করলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করলেন।
চৌদ্দ শ’ বছরেরও অধিককাল পূর্বে প্রচারিত আল কুরআন তথা ইসলাম আজও বাস্তবতার কষ্টিপাথরে যাচাই হয়ে অমোঘ সত্য হিসেবে গৃহীত হচ্ছে এবং কিয়ামত পর্যন্ত হতে থাকবে। বিজ্ঞানের আবিষ্কারের যত উৎকর্ষ সাধিত হচ্ছে, আল কুরআনের বৈজ্ঞানিক সত্যতা বিজ্ঞানী, গবেষক তথা দুনিয়াবাসীর কাছে ততই দিবালোকের মত স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে।
যেহেতু আজ সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ মুসলিম নয় তাই মুসলমানের আবিষ্কারের কথা ইতিহাসে নেই, আপনি আল-বিরুনী কে ছিলেন ?তিনিই সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন যে পৃথিবী গোলাকার এবং পৃথিবীর গোলাকার মানচিএ তার ই রচিত।জাবির সবপ্রথম রসায়ন বিষয় বস্তু আবিষ্কার করায় তাকে এ শাস্তের জনক বলা হয়।আরও অনেক নাম ও উদাহরন দিতে পারব যা মুসলমান আবিষ্কার করেছে কিন্তু পদবি অন্য জনকে দেওয়া হয়েছে।যা মুসলমানের আবিষ্কার কিন্তু COPY করেছে অন্যজন।আর আমাদের গ্রন্থে যা ভবিষ্যত বানী করা আছে তা আর কোন গ্রন্থে পাবেন না। example:সৌদির ভূমিকম্পের কথা ar mone rakben manous kaoke bachate pare na ,bachano o rohomoter mallik akmatro Allah.
জেনে নিন কাকে কিসের জনক বলা হয়-
১. আধুনিক শিক্ষার জনক?→সক্রেটিস
২. অর্থনীতির জনক কে ?→এডামস্মিথ
৩. আধুনিক অর্থনীতির জনক কে ?→পল
স্যামুয়েলসন
৪. আধুনিক গণতন্ত্রের জনক কে ?→জন
লক
৫. আধুনিক জোর্তিবিজ্ঞানেরজনক
কে ? →কোপার্নিকাস
৬. আধুনিক মনোবিজ্ঞানের জনক
কে ? →সিগমুন্ড ফ্রয়েড
৭. আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক
কে ? →নিকোলো
মেকিয়াভেলী
৮. ইংরেজি নাটকের জনক কে?
শেক্সপিয়র।
৯. ইতিহাসের জনক কে ?
→হেরোডোটাস
১০. ইন্টারনেটের জনক কে ? উত্তরঃ
ভিনটন জি কার্ফ ।
১১. WWW এর জনক কে ? উত্তরঃ টিম
বার্নাস লি ।
১২. ই-মেইল এর জনক কে ? উত্তরঃ রে
টমলি সন।
১৩. ইন্টারনেট সার্চইঞ্জিনের জনক
কে? উত্তরঃ এলান
এমটাজ
।
১৪. উদ্ভিদবিজ্ঞানেরজনক কে ?
→থিওফ্রাস্টাস
১৫. এনাটমির জনক কে ?→আঁদ্রে
ভেসালিয়াস
১৭. ক্যালকুলাসের জনক কে?
আইজ্যাক নিউটন।
১৮. গণিতশাস্ত্রের জনক কে ?
→আর্কিমিডিস
১৯. চিকিত্সাবিজ্ঞানের জনক
কে ? →হিপোক্রেটিস
২০. জীবাণুবিদ্যার জনক কে ?→লুই
পাস্তুর
২১. জ্যামিতির জনক কে ?→ইউক্লিড
২২. দর্শনশাস্ত্রের জনক কে ?
→সক্রেটিস
২৩. প্রাণিবিজ্ঞানেরজনক কে ?
→এরিস্টটল
২৪. বংশগতি বিদ্যার জনক কে?
গ্রেগর জোহান মেন্ডেল
২৫. বংশগতির জনক কে ?→গ্রেগর
মেন্ডেল
২৬. বাংলা উপন্যাসের জনক কে?
বঙ্কিম চন্দ্র
চট্টোপাধ্যায়।
২৭. বাংলা কবিতার জনক কে?
মাইকেল মধু সূদন দত্ত।
২৮. বাংলা গদ্যের জনক কে? ঈশ্বর
চন্দ্র বিদ্যা সাগর।
২৯. বাংলা নাটকের জনক কে? দীন
বন্ধু মিত্র।
৩০. বিজ্ঞানের জনক কে ?→থেলিস
৩১. বীজগণিতের জনক কে ?→আল-
খাওয়ারিজম
৩২. ভূগোলেরজনককে ?
→ইরাতেস্থিনিস
৩৩. মনোবিজ্ঞানের জনক কে ?
→উইলহেম উন্ড
৩৪. রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক কে ?
→এরিস্টটল
৩৫. রসায়নের জনক কে ?→জাবির
ইবনে হাইয়ান
৩৬. শারীরবিদ্যার জনক কে ?
→উইলিয়াম হার্ভে
৩৭. শরীর বিদ্যার জনক কে?
উইলিয়াম হার্ভে।
৩৮. শ্রেণিবিদ্যার জনক কে ?
→ক্যারোলাস লিনিয়াস
৩৯. শ্রেণীকরণ বিদ্যার জনক কে?
ক্যারোলাস লিনিয়াস।
৪০. সামাজিক বিবর্তনবাদের জনক
কে? হার্বাট স্পেন্সর।
৪১. সমাজবিজ্ঞানের জনক কে ?
→অগাস্ট কোর্ত
৪২. ফেসবুক এর জনক?→ মার্ক জুকারবার