বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।।
আসসালামুআলাইকুম।।
আশা করি সকলেই ভাল আছেন।।

অনেকেই হয়ত একটি ভিডিও পেয়েছেন যাতে বলা আছে শবে বরাত নামে কিছুই নেই,,দয়া করে তারা এটি পড়বেন এবং বিষয়টি পরিষ্কার হবেন

১৩ জন সাহাবী থেকে বর্ণিত শবে বরাত সম্পর্কিত ১৪ টি গ্রহণযোগ্য হাদীছ
শবে বরাত ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﺒﺮﺍﺀﺓ (গুনাহ থেকে মুক্তি/ক্ষমা লাভের রাত) সম্পর্কে ‘অল্পবিদ্যা ভয়ঙ্কর’ সম্প্রদায়ের সালাফী ও তাদের অনুগামী আহলে ﺣﺎﺩﺙ হাদেছ শায়খদের যে যাই বলুক না কেন, এটি একটি প্রমাণিত সত্য যে, ১২ জনের অধিক ছাহাবী থেকে ১৫ টিরও বেশি সনদযুক্ত ﻣُﺴﻨﺪ হাদীছ গ্রন্থে শবে বরাতের ফজিলত (শ্রেষ্ঠত্ব) সম্পর্কিত ২০টির অধিক হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। সনদ বিচারে এসবের কিছু মকবুল (গ্রহণযোগ্য) দুর্বল হলেও বাকীগুলো সবল। একই সাথে এটাও প্রমাণিত সত্য যে, সালাফে সালেহীনের অনেকে এ রাতে নফল ইবাদত করেছেন। বিষয়টি সালাফীদের মরহুম ﺷﻴﺦ (ফার্সীতে পীর) ছাহেব ইবনে তাইমিয়া ও বিখ্যাত হাম্বলী আলেম ইবনে রজবও স্বীকার করেছেন। ইবনে তাইমিয়ার ফতোয়া সমষ্টির ২৩ তম খন্ডের ১৩২ নম্বর পৃষ্টায় বলা হয়েছেঃ
« ﻭﺃﻣﺎ ﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻓﻘﺪ ﺭﻭﻱ ﻓﻲ ﻓﻀﻠﻬﺎ ﺃﺣﺎﺩﻳﺚ ﻭﺁﺛﺎﺭ ﻭﻧﻘﻞ ﻋﻦ ﻃﺎﺋﻔﺔ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻠﻒ ﺃﻧﻬﻢ ﻛﺎﻧﻮﺍ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻓﻴﻬﺎ، ﻓﺼﻼﺓ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻓﻴﻬﺎ ﻭﺣﺪﻩ ﻗﺪ ﺗﻘﺪﻣﻪ ﻓﻴﻪ ﺳﻠﻒ ﻭﻟﻪ ﻓﻴﻪ ﺣﺠﺔ ﻓﻼ ﻳﻨﻜﺮ ﻣﺜﻞ ﻫﺬﺍ »
“তবে শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে অনেক হাদীছ ও আছার (সাহাবা ও তাবেয়ীদের কথা)
বর্ণিত হয়েছে। সালাফের একটি জামায়াত এ রাতে নফল নামাজ পড়তেন বলেও বর্ণিত হয়েছে। অতএব, এ রাতে কারো জামায়াত বিহীন নফল নামাজ আদায়ে তার জন্য পূর্বসুরীদের আমল বিদ্যমান রয়েছে এবং এটা তার জন্য দলীল বটে। তাই এ ধরণের কাজ অস্বীকার করা যায় না।”

ইবনে রজবের লতায়েফুল মাআরিফের ১৬১ নম্বর পৃষ্টায় বলা হয়েছেঃ
« ﻭﻟﻴﻠﺔ ﺍﻟﻨﺼﻒ ﻣﻦ ﺷﻌﺒﺎﻥ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﺘﺎﺑﻌﻮﻥ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺸﺎﻡ ﻛﺨﺎﻟﺪ ﺑﻦ ﻣﻌﺪﺍﻥ ﻭﻣﻜﺤﻮﻝ ﻭﻟﻘﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﻋﺎﻣﺮ ﻭﻏﻴﺮﻫﻢ ﻳﻌﻈﻤﻮﻧﻬﺎ ﻭﻳﺠﺘﻬﺪﻭﻥ ﻓﻴﻬﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻌﺒﺎﺩﺓ، ﻭﻋﻨﻬﻢ ﺃﺧﺬ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﻓﻀﻠﻬﺎ ﻭﺗﻌﻈﻴﻤﻬﺎ »
“শবে বরাতের রাতকে খালেদ বিন মা’দান, মাকহূল ও লোকমান বিন আমেরসহ শামের অন্যান্য তাবেয়ীগণ সম্মান জানাতেন এবং এতে ইবাদতের প্রতি মনোনিবেশ করতেন। লোকজন শবে বরাতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও এর ফজিলত তাদের কাছ থেকেই গ্রহণ করেছেন।”

নীচে আমি বিস্তারিত সূত্রসহ শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত এক ডজনের বেশি হাদীছ উল্লেখ করবো। সূত্রগ্রন্থের সাথে ব্রাকেটে যে নম্বরগুলো দেয়া হবে, সেগুলো সংশ্লিষ্ট হাদীছের নম্বর।

০১. হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত উপস্থিত হবে, তখন তোমরা উক্ত রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলায় রোজা রাখবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় পৃথিবীর আকাশে খাছ রহমত নাজিল করেন। অতঃপর ঘোষাণা করতে থাকেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি ক্ষমা করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। কোন মুছিবগ্রস্ত ব্যক্তি আছো কি? আমি তার মুছিবত দূর করে দিব। এভাবে সুবহে ছাদিক পর্যন্ত ঘোষাণা করতে থাকেন” সুনানে ইবনে মাজা (১৩৮৮) ও দাইলামীর মুসনদুল ফিরদাউস (১০০৭)

০২. হযরত উছমান বিন আবুল আছ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত উপস্থিত হয়, তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষক ঘোষাণা করতে থাকেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি ক্ষমা করে দিব। কোন রিযিক প্রার্থনাকারী আছো কি? আমি তাকে রিযিক দান করব। তো এ রাতে সবাইকে তার প্রার্থিত বিষয় দান করা হয়। তবে ব্যভিচারী ও মুশরিককে নয়।” বাইহাকীর শোআবুল ঈমান (৩৮৩৬) ও খরায়েতীর মাসাইয়ুল আখলাক (৪৯০)

০৩. হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত উপস্থিত হয়, তখন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। তবে হিংসুক ও মুশরিককে নয়।” বাজ্জারসূত্রে কাশফুল আসতার (২০৪৫) ও খতীবের তারীখে বাগদাদ (১৪/২৮৫)

০৪. হযরত আয়েশা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত উপস্থিত হয়, তখন আল্লাহ কলবের (ছাগল পালনের জন্য প্রসিদ্ধ একটি গোত্র) ছাগলদের পশমের চেয়ে অধিক বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে দেন।” সুনানে তিরমিযী (৭৩৯), সুনানে ইবনে মাজা (১৩৮৯), মুসনদে আহমদ (২৬০৬০), মুসনদে আবদে ইবনে হুমাইদ (১৫০৯), বাইহাকীর শোআবুল ঈমান (৩৮২৪)

০৫. হযরত আবু বকর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত, নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যখন অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাত উপস্থিত হয়, তখন আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে বিশেষ রহমত নাজিল করেন। অতঃপর তিনি তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করে দেন। তবে হিংসুক ও মুশরিককে নয়।” মুসনদে বাজ্জার (৮০) ও বাইহাকীর শোআবুল ঈমান (৩৮২৭)

০৬. হযরত আবু মূসা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, আল্লাহর রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতে আল্লাহ পাক দুনিয়াবাসীর প্রতি বিশেষ রহমতের দৃষ্টি দেন। অতঃপর তিনি তাঁর বান্দাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেন। তবে হিংসুক ও মুশরিককে নয়।” সুনানে ইবনে মাজা (১৩৯০)। উল্লেখ্য, সালাফী গুরু আলবানী নাকি তাঁর সিলসিলা ছহীহাতে (১১৪৪) এ হাদীছকে ছহীহ বলে দাবি করেছেন

০৭. হযরত আবু ﺛﻌﻠﺒﺔ ছা’লাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতে আল্লাহ পাক তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ রহমতের দৃষ্টি দেন। অতঃপর তিনি মুমিনদের ক্ষমা করে দেন এবং কাফিরদের অবকাশ দেন। আর হিংসা না ছাড়া পর্যন্ত হিংসুকদের বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখেন।” তবরানীর মুজমে কবীর (২২/২২৪) ও মুজমে ইবনে কানে (১/১৬০)

০৮. হযরত আবদুল্লাহ বিন আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ পাক প্রতিবছর একবার কা’বা শরীফের প্রতি বিশেষভাবে তাকান। আর সে সময়টা হচ্ছে অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতে। আর ওই সময় কা’বার প্রতি মুমিনের হ্রদয় অনুরাগী হয়ে উঠে।” দাইলামীর মুসনদুল ফিরদাউস (৫৩৯)

০৯. হযরত আবদুল্লাহ বিন উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “পাঁচ রাতে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না। ১. রজবের প্রথম রাত, ২. অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত), ৩. জুমার রাত, ৪. ঈদুল ফিতরের রাত ও ৫. ঈদুল আজহার রাত।” মুছন্নফে আবদুর রজ্জাক (৭৯২৭) ও বাইহাকীর শোআবুল ঈমান।

১০. হযরত হযরত আবু উমামা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, “পাঁচ রাতে আল্লাহর কাছে বান্দার দোয়া প্রত্যাখ্যাত হয় না। ১. রজবের প্রথম রাত, ২. অর্ধ শাবানের রাত (শবে বরাত), ৩. জুমার রাত, ৪. ঈদুল ফিতরের রাত ও ৫. ঈদুল আজহার রাত।” দাইলামীর মুসনদুল ফিরদাউস (২৯৭৫) ও ইবনে আসাকিরের তারীখে দেমেশক (১০/৪০৮)

১১. হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতে মদখোরের মুখ থেকে নির্গত ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ ছাড়া অন্য সকলের ‘লা-ইলাহা ইল্লল্লাহ আল্লাহর কাছে কবূল হয়ে যায়।” দাইলামীর মুসনদুল ফিরদাউস (৭৮৩৭)

১২. হযরত আবদুল্লাহ বিন মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতে আল্লাহ পাক তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিশেষ রহমতের দৃষ্টি দেন। অতঃপর তিনি তাঁর বান্দাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেন। তবে হিংসুক ও মুশরিককে নয়।” ছহীহ ইবনে হিব্বান (৫৬৬৫), বাইহাকীর শোআবুল ঈমান (৬৬২৮) ও তবরানীর মু’জমে কবীর (২০/১০৮)

১৩. হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “অর্ধ শা’বানের রাত তথা শবে বরাতে আল্লাহ পাক তাঁর সৃষ্টির প্রতি বিশেষ রহমতের দৃষ্টি দেন। অতঃপর তিনি তাঁর বান্দাদের সবাইকে ক্ষমা করে দেন। তবে হিংসুক ও আত্মহত্যাকারীকে নয়।” মুসনদে আহমদ (৬৬৪২)

১৪. হযরত আয়েশা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদা হুযুর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে রাতযাপন করছিলাম। মধ্যরাতে আমি উনাকে বিছানায় না পেয়ে মনে করলাম, তিনি হয়তো অন্য কোন আহলিয়ার কক্ষে তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর আমি তালাশ করে উনাকে জান্নাতুল বাক্বীতে (মসজিদে নববীর নিকটস্থ বিখ্যাত কবরস্থান) পেলাম। সেখানে তিনি উম্মতের জন্য আল্লাহ পাকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছিলেন। এ অবস্থা দেখে আমি স্বীয় কক্ষে ফিরে এলে তিনিও ফিরে এলেন এবং বললেন, “তুমি কি মনে করেছো যে, আল্লাহ ও আল্লাহর রসূল তোমাকে তোমার অধিকার বঞ্চিত করবেন?” আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ! না। আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো আপনার অন্য কোন আহলিয়ার কক্ষে তাশরীফ নিয়েছেন। তখন রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক শা’বানের ১৫ তারিখ রাত্রিতে পৃথিবীর আকাশে খাছ রহমত নাজিল করেন। অতঃপর তিনি কলব গোত্রের ছাগলর গায়ে যত পশম রয়েছে, তার চেয়ে বেশী সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।” সুনানে ইবনে মাজা (১৩৮৯), মুসনদে আহমদ (২৬০৬০), বাইহাকীর শোআবুল ঈমান (৩৮২৪)
শবে বরাতসহ যেকোনো বিষয়ের বিশেষত্ব ও ফযীলত প্রমাণের জন্য ১৪টি নয়; একটি হাদীছই যথেষ্ট।

পুনশ্চঃ এক ভদ্রলোক বলিলেন, শবে বরাতে ইবাদতের সব হাদীস জঈফ৷ তাই এ রাতে ইবাদত পরিত্যাজ্য৷

উত্তরে আমি লিখলামঃ ভদ্র লোক সহীহ-জঈফের নীতিমালাটা কোন সহীহ হাদীসে পায়েছেন, সেটির সূত্রটা কি উল্লেখ করবেন? যদি করতে না পারেন, তাহলে তিনি কার তাকলীদ করে থাকেন? আর তাছাড়া তিনি তার কোরআন ও সহীহ হাদীস ছাড়া আর কিছু না মানবার দাবিটি কিভাবে প্রতিষ্ঠিত করবেন?
আল্লাহ রব্বুল আমাদেরকে তাঁর ক্ষমাপ্রাপ্ত বান্দাদের অন্ততর্ভূক্ত করুন এবং হিংসা, গৌরব ও অহঙ্কারের মত আত্মঘাতী রোগসমূহ থেকে মুক্ত রাখুন। আমিন।

সংগ্রহ::- বন্ধু “মো:আব্দুল জব্বার

চাইলে আমাদের ফেসবুক পেজে একটি লাইক দিয়ে আসতে পারেনফেসবুক পেজ

অবশ্যই ৫ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন

43 thoughts on "১৩ জন সাহাবী থেকে বর্ণিত শবে বরাত সম্পর্কিত ১৪ টি গ্রহণযোগ্য হাদীছ ( আশা করি সকল মুসলিম দেখবেন)"

  1. Avatar photo Asif Sarker Contributor says:
    বর্তমানে কোনো ফ্রিনেট নাই
    আমি robi আই বাডি হ্যাক নিয়ে পোস্ট করলাম বাট এপ্রোভ হলো না
    আরো তিনটা পোস্ট করেছি
    1. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      যদি টিমের কাছে পোষ্টি মানসম্মত মনে হয় তবে পোষ্ট পাবলিস হবে,,অবশ্যই।
      কারণ Contributor দের পোষ্টও ভাল হলে পাবলিশ করা হচ্ছে।।।
      ধন্যবাদ
  2. Avatar photo JS JIBON Contributor says:
    good post
    1. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ,, মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
    1. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ,, মেনে চলার চেষ্টা করবেন।.
    1. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ,, মেনে চলার চেষ্টা করবেন। ভাই
  3. frd farid Contributor says:
    ???? ??????,???? ?????? ? ??? ????? ????? ?????? ?????? ?? ???? ??? ??????? ???? ??? ??? ???
  4. frd farid Contributor says:
    ???? ??????,???? ?????? ? ??? ????? ????? ?????? ?????? ?? ???? ??? ??????? ???? ??? ??? ???
  5. frd farid Contributor says:
    ???? ??????,???? ?????? ? ??? ????? ????? ?????? ?????? ?? ???? ??? ??????? ???? ??? ??? ???
    1. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ,, মেনে চলার চেষ্টা করবেন।..
  6. Avatar photo MajedALHasan Contributor says:
    শবে বরাত সম্পর্কে কোনো সহিহ হাদিস নেই?

    কিছু ভাই বলে বেড়ায়, শবে বরাত সম্পর্কে কোনো সহিহ হাদিস নেই। দুর্বল ও জাল হাদিস দ্বারা শবে বরাত প্রমাণিত। এ কথা ঠিক যে, শবে বরাত সম্পর্কে বর্ণিত সব হাদিসই সমমানের সহিহ নয়। কিছু দুর্বল হাদিসও রয়েছে। এমনকি কিছু জাল হাদিসও আছে। অনেক বিষয়েই এমন দুর্বল ও জাল হাদিস থাকতে পারে; যদিও ওই বিষয়টি স্বতঃসিদ্ধ ও প্রমাণিত। মনে করুন, জামাতে নামায আদায় করার ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন হাদিসে এর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বিধৃত হয়েছে। এখন জামাতের ফজিলতের বিষয়ে কিছু দুর্বল এমনকি জাল হাদিস থাকার দ্বারা কি জামাতের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্যকেই অস্বীকার করা যাবে? এমন আরো অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে যে, বিষয়টি সুপ্রমাণিত হওয়া সত্তে¡ও ওই বিষয়ে কিছু জঈফ বা জাল হাদিস রয়েছে। এর দ্বারা প্রমাণিত বিষয়ের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।
    তাছাড়া দুর্বল বা জঈফ হাদিস কি সর্বত্র পরিত্যাজ্য? আহলে হাদিসের কথা শুনলে বোঝা যায়, জঈফ হাদিস মানেই পরিহারযোগ্য ও বাতিল। জঈফ হাদিসের সাথে তারা জাল হাদিসের আচরণ করে থাকে। এটি একটি মারাত্মক ভ্রান্তি। অথচ জঈফ হাদিস সবখানে পরিত্যাজ্য হয় না। একটি জঈফ হাদিস বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হলে এবং অনেক কিতাবে উল্লেখ থাকলে তা সহিহ হাদিসের পর্যায়ে চলে যায়। উসুলুল হাদিসের কিতাবে জঈফ হাদিসের সংজ্ঞার সাথে এর হুকুমও বিধৃত হয়েছে। বিস্তারিত সেখানে দেখা যেতে পারে।
    আমরা শুধু বলতে চাচ্ছি, শবে বরাতের ফজিলত ও গুরুত্ব সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। উম্মাহর ইজমাও এর বড় দলিল। হ্যাঁ, এ সম্পর্কে জঈফ এমনকি মওজু হাদিসও রয়েছে। মওজু হাদিসগুলো অবশ্যই বাতিলযোগ্য। জঈফ হাদিসের ব্যাপারে বিস্তারিত কথা রয়েছে। সে অনুপাতে আমল করা হবে।
    এটা ঠিক যে, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে অনেক বিদআত ও কুসংস্কার মুসলিম সমাজে পালিত হচ্ছে। সেগুলো অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
    শবে বরাতের ব্যাপারে সহিহ হাদিস রয়েছে- এ বিষয়ে দুজন বিখ্যাত আহলে হাদিস আলেমের বক্তব্য উদ্ধৃত করছি। তিরমিযি শরিফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাগ্রন্থ তুহফাতুল আহওয়াযির লেখক আল্লামা আবদুর রহমান মুবারকপুরি রহ. বলেন :
    اعلم أنه قد ورد في فضيلة ليلة النصف من شعبان عدة أحاديث مجموعها يدل على أن لها أصلا فمنها حديث الباب.
    এ কথা বলার পর তিনি এ বিষয়ে পাঁচ/ছয়টি হাদিস উদ্ধৃত করার পর বলেন :
    فهذه الأحاديث بمجموعها حجة على من زعم أنه لم يثبت في فضيلة ليلة النصف من شعبان شيء والله تعالى أعلم
    অর্থ : এসকল হাদিসের সমষ্টি তাদের বিরুদ্ধে দলিল, যারা বলে বেড়ায় যে, শবে বরাতের ফজিলতের বিষয়টি প্রমাণিত নয়। [খ. ৩, পৃ. ৩৬৫-৩৬৭]

    কট্টরপন্থী আলেম হিসেবে পরিচিত শায়েখ নাসির উদ্দিন আলবানি রহ. এর মতামত এক্ষেত্রে সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য। কারণ, অনেক আহলে হাদিস ভাই তাঁর অনুসরণের দাবি করেন। তিনি বলেন :
    و جملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريب و الصحة تثبت بأقل منها عددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشأن في هذا الحديث ، فما نقله الشيخ القاسمي رحمه الله تعالى في ” إصلاح المساجد ” ( ص ১০৭ ) عن أهل التعديل و التجريح أنه ليس في فضل ليلة النصف من شعبان حديث صحيح ، فليس مما ينبغي الاعتماد عليه ، و لئن كان أحد منهم أطلق مثل هذا القول فإنما أوتي من قبل التسرع و عدم وسع الجهد لتتبع الطرق على هذا النحو الذي بين يديك . و الله تعالى هو الموفق .

    একই কিতাবে তিনি আরো বলেন :
    يطلع الله تبارك و تعالى إلى خلقه ليلة النصف من شعبان ، فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن ” .
    قال الألباني: حديث صحيح ، روي عن جماعة من الصحابة من طرق مختلفة يشد بعضها بعضا و هم معاذ ابن جبل و أبو ثعلبة الخشني و عبد الله بن عمرو و أبي موسى الأشعري و أبي هريرة و أبي بكر الصديق و عوف ابن مالك و عائشة .
    [সিলসিলাতুস সহিহা : খ. ৩, পৃ. ২১৮]
    .
    শবে বরাতে সমাজে অনেক বিদআত প্রচলিত আছে, সেগুলোর কারণে শবে বরাতের ফজিলত অস্বীকার করার কোনো মানে হয় না।

  7. Avatar photo Md Khalid Author says:
    thank you for you post.
    1. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ,, মেনে চলার চেষ্টা করবেন।।।
  8. Avatar photo Arshad Prottoy Contributor says:
    ভাল পোস্ট করেছেন।
  9. Avatar photo Anik Contributor says:
    বুখারী বা মুসলিম শরীফের কোনো হাদিস নাই?
    1. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      দেখতে হবে।।

      (২) উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা
      রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেনন,
      একরাতে আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি
      ওয়াসাল্লামকে ঘরে পেলামনা বা তাঁর খোঁজে বের
      হলাম। তখন দেখলাম তিনি জান্নাতুল বাক্বী
      কবরস্থানে আসমানেকে মাথা মুবারক উত্তোলন
      করে অবস্থান করছেন। আমাকে সেখানে দেখে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম বললেন- হে আয়েশা! তুমি কি এ ভয় করছ যে, আল্লাহ তাঁর রসুল সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম তোমার প্রতি অবিচার করবে? তিনি আরজ করলেন আপনি বলছেন, এমন কিছু আসলে আমার মনে নেই বরং; আমি
      ধারণা করেছি যে, আপনি আপনার কোন স্ত্রীর
      হুজরায় তাশরীফ নিয়েছেন। তখন নবী করীম
      সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করলেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা শা’বানের পনেরতম রাতে প্রথম আসমানে তাশরীফ আনেন। অতঃপর বনী ক্বলব এর মেষগুলোর লোম এর সংখ্যার চেয়েও অধিক
      বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।
      ইবনে মাজা শরীফ,হাদীস নং-১৩৮৯;
      জামে আত তিরমিযি-৭৩৯;
      মুসনাদে আ’ব্দ বিন হুমায়দ-১৫০৯;
      মুসান্নাফে আবী শায়বাহ-২৯৮৫৮;
      মুসনাদে আহমদ-২৬০১৮,২৬০৬০;
      বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৮;
      শো’আবুল ঈমান-৩৫৪৩,৩৫৪৪,৩৫৪৫;
      আন নুযুল দারে ক্বুতনী-৯০;
      বগভী শরহুস সুন্নাহ-৯৯২;
      সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরদুখান-৭:৪০২;
      তাফসীরে রূহুল মা’আনী, সুরা দুখান ১৮:৪২৩/১৩:১১০;
      তাফসীরে কাশশাফ, সুরা দুখান, ৪:২৭০; তাফসীরে কবীর, সুরা দুখান ২৭:৬৫৩
      (৩) হযরত আলী ইবনে আবী তালিব রাদ্বিল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন শাবানের পনেরতম রাত হয়, তখন তোমরা রাতে নামাজ পড় এবং রোজা রাখ। কেননা ঐ দিন সূর্যাস্তের সময় আল্লাহ
      তা’আলা প্রথম আসমানে তাশরীফ এনে বান্দাদের উদ্দেশ্যে বলেন- ক্ষমা প্রার্থনাকারী কেও আছ, আমি তাকে ক্ষমা করব, রিজিক আন্বেষণকারী কেও আছ, আমি তাকে রিজিক দিব, আসুস্থ কেও আছ আমি তাকে সুস্থতা দান করব, এভাবে অন্যান্য
      বিষয়েও বলতে থাকেন ফজর পর্যন্ত।
      ইবনে মাজাহ ,হাদীস নং-১৩৮৮;
      ফাকেহী আখবারে মক্কা-১৮৩৭,৩:৮৪;
      বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৪;
      শো’আবুল ঈমান-৩৫৪২;
      মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃঃ, হাদীস নং-১৩০৮; কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৭;
      তাফসীরে রূহুল মা’আনী, সুরা দুখান,
      ১৮:৪২৪/১৩:১১০;
      তাফসীরে ক্বুরতুবী, সুরা দুখান ১৬:১২৭
      (৪) হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি
      ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন- আল্লাহ তায়ালা
      শাবানের পনেরতম রাতে স্বীয় সৃষ্টির প্রতি
      রহমতের দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন এবং মুশরিক, হিংসুক ব্যতীরেকে সবাইকে ক্ষমা করেছেন।
      তাবরানী মু’জামুল আউসাত হাদীস নং-৬৭৭৬;
      মু’জামুল কবীর-২০:১০৮,২১৫,
      মুসনাদে শামেয়ীন-২০৩,২০৫,৩৫৭০;
      ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১২;
      সহীহ ইবনে হিব্বান- ৫৬৬৫;
      বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২২;
      শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫২, ৬২০৪;
      দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৭৭;
      হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৬০;
      আলবানী সহীহ আত তারগীব ওয়াত
      তাহরিব-১০২৬,২৭৬৭;
      সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩,
      কানযুল উম্মাল-৩৫১৮০
      (৫) হযরত আবু মুসা আশয়ারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বরনিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন- নিশ্চই আল্লাহ তা’আলা শাবানের পনেরতম রাতে সৃষ্টির প্রতি কৃপা দৃষ্টি দেন এবং সকলকে ক্ষমা করেন, মুশরিক এবং বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীরেকে।
      ইবনে মাজা শরীফ হাদীস নং-১৩৯০;
      ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫১০;
      বায়হাক্বী ফাজায়িলুল আওকাত-২৯;
      দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৯৪;
      কানযুল উম্মাল-৩৫১৭৫;
      আলবানী সহীহুল জামে-১৮১৯
      হাদীসটি হাসান/ সহীহ লিগাইরিহি
      (৬) হযরত আবু বকর সিদ্দীক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
      আলায়হি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,যখন পনেরই
      শাবানের রাত হয়, তখন আল্লাহ তায়ালা প্রথম
      আসমানে তশরীফ আনেন এবং সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন, মুশরিক ও অপর ভাইয়ের প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত।
      মুসনাদে বাযযার ১:২০৬, হাদীস নং-৮০;
      ইবনে আসেম আস সুন্নাহ-৫০৯;
      দারে ক্বুতনী আন নুযুল-৭৫,৭৬;
      ইবনে খুযাইমাহ আত তাওহীদ-৪৮;
      আলী মুরুযী মুসনাদে আবু বকর সিদ্দীক (রাঃ)-১০৪;
      আবু নুয়াইম তারিখে ইস্পাহান-২:২;
      হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৫৭;
      সুয়ুতী তাফসীরে দুররে মানসুর, সুরা দুখান-৭:৪০৩
      (৭) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আল্লাহ তায়ালা
      শ’বানের পনেরতম রাতে সিদ্ধান্তসমুহ চুড়ান্ত করেন এবং শবে ক্বদরে তা বাস্তবায়নকারী
      ফেরেশতাদের সোপর্দ করেন।
      তাফসীরে খাজিন ৪র্থ খণ্ড,পৃষ্ঠাঃ১১২ /১১৬;
      তাফসীরে বগভী আল ইহিয়ায়ুত তুরাস, ৪:১৭৪, সুরা দুখান;
      তাফসীরে ক্বুরতুবী, ১৬:১২৭, সুরা দুখান;
      ইবনে আ’দিল আল লুবাব ফি উলুমিল কিতাব-১৭:৩১১
      (৮) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন এমন পাঁচটি রাত আছে যে রাতগুলোয় দু’আ ফেরত হয়না। ওইগুলো হল- জুমু’আর রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, শ’বান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত এবং দুই ঈদের রাত অর্থাৎ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার রাত।
      মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, কিতাবুস সিয়াম
      হাদীস নং-৭৯২৭;
      বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান-৩৪৪০;
      ফাজায়িলুল আওকাত-১৪৯
      (৯) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু
      হতে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
      আলায়হি অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা শা’বানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে স্বীয় মাখলুকের প্রতি রহমতের দৃষ্টি
      নিক্ষেপ করেন। অতঃপর দু শ্রেণীর বান্দা ব্যতীত
      সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। তারা হল মুসলমান ভাইয়ের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ পোষণকারী এবং অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকারী।
      মুসনাদে আহমদ-৬৬৪২; আত তাগরীব;
      হায়ছামী মাজমাউজ যাওয়ায়িদ-১২৯৬১; তাফসীরে রূহুল মা’আনী, সুরা দুখান, ১৮:৪২৩/১৩:১১০
      (১০) হযরত কাসীর বিন মুররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি
      অয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- শাবানের মধ্য
      রাত্রিতে আল্লাহ আযযা ওয়া জাল্লা মুশরিক ও
      কলহকারী ব্যতীত সকল দুনিয়াবাসীদের ক্ষমা করে দেন।
      বায়হাক্বী শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫০;
      আলবানী সহীহ আত তারগীব ওয়াত তাহরিব-২৭৭০

    2. Avatar photo Humayun Contributor says:
      থাকলে তো দেবে,,,,,?
    3. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      ভাই,, এগুলো কি কোন একটিও আপনার বিশ্বাস হয়না।।।
    4. Avatar photo Humayun Contributor says:
      দুর্বল হাদিস
  10. libon Author says:
    শবে বরাতের এই হাদীস গুলো যঈফ ও জাল। যঈফ বা জাল হাদীস ইসলাম শরিয়াতের দলীল হতে পারে না। এই হাদীসের সনদে কতক রাবী আছে যারা রসূল (সাঃ)-এর নামে হাদীস জাল করতো। হাদীসের সনদ না জেনে হাদীস পোষ্ট করা পাপের কাজ। অতএব সাবধান! ১৪০০ আগে থেকে এখন পর্যন্ত মক্কা ও মদিনায় শবে বরাত পালন করা হয় না। এটি একটি স্পষ্ট “বিদাআত”।
    1. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      এখানে বলা হয়নি যে আজ ভাগ্য পরিবর্তন রাত।।
      এই রাতে আল্লাহ তা,আলা মানুষকে ক্ষমা করবেন, শুধু শিরককারি এবং হিংসাকারী ব্যাতিত।।
      দয়া করে ১৪ হাদিস মিলিয়ে দেখেন,, যদি যান তবে আমি আপনাকে আরো হাদিস দেখাতে পরব,, ইনশাআল্লাহ।।।
    2. Avatar photo Humayun Contributor says:
      R8
    3. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ
    4. Avatar photo Humayun Contributor says:
      শবে বরাতে সাহাবিদের কোনো আমল নেই সুতরাং এইসব হাদিস গ্রহনযোগ্য নয়।
    5. Avatar photo pakhi Contributor says:
      আমলের ক্ষেত্রে যইফ হাদিস এর উপর আমল করা যায়
    6. Avatar photo Humayun Contributor says:
      না যায়না
    7. Avatar photo pakhi Contributor says:
      ফযিলত সম্পর্কিত যইফ হাদিস এ আমল করা যায়…
    8. Avatar photo Humayun Contributor says:
      যঈফ হাদিস হাদিস ই না
    9. Avatar photo pakhi Contributor says:
      kun jahil a koy…??
    10. Avatar photo pakhi Contributor says:
      kunu desher niyom kanune islam cole na..islam cole quran o hadis er doliler maddome..r fozilot somporkito zoif hadis er upor amol kora jay..biday shove borat a amol ibadot bondegi kora dusher kisu nay..
    11. Avatar photo Humayun Contributor says:
      Apni sahabider theke beshi bujhe felesen
    12. Avatar photo Firoz kabir Author says:
      সহমত।
    1. Khairul Islam✅ Author Post Creator says:
      tnx
  11. Avatar photo MDMUNNAF Contributor says:
    আলহামদুলিল্লাহ,,, অনেক সুন্দর লেখেছেন
  12. Avatar photo MDMUNNAF Contributor says:
    it is 100% right
  13. Avatar photo Muhammad Sagor Hossein Contributor says:
    যেই গর্দভ এই পোস্ট টা লিখছে, সে নিজেও জানে না যে হাদিস কাকে? এই সব হাদিসই দূর্বল এবং জাল। কত আর মানুষকে বুঝাই। ?
    1. Avatar photo pakhi Contributor says:
      ইসলাম সম্পর্কে কতটুকু জানো.????
    2. Avatar photo Muhammad Sagor Hossein Contributor says:
      হাহাহ্ ??
  14. Avatar photo Muhammad Sagor Hossein Contributor says:
    শবেবরাত সম্পর্কিত সব হাদিস এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ তুলে ধরেছি আমার এই নোটে… আশা করি পড়বেন… https://m.facebook.com/notes/muhammad-sagor-hossein/%E0%A6%B6%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4-%E0%A6%95%E0%A6%BF/384346555299190/?refid=21&_ft_=top_level_post_id.384346555299190&__tn__=H-R

Leave a Reply