muslim,prayer,islam,kaaba sharif

হযরত হাজ্জাজ রহ. বলেন: আমি হযরত আতা রহ.-এর নিকটে ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যিনি মেঘাচ্ছন্ন দিনে (না বুঝে) কিবলা ব্যতীত অন্য দিকে নামায আদায় করে ফেলছেন। তিনি বললেন: তার নামায হয়ে যাবে। হযরত হাজ্জাজ আরও বলেন: আমাকে এমন এক ব্যক্তি বলেছেন যিনি ইবরাহীম ও শা’বীর নিকটে জিজ্ঞেস করেছেন এবং তাঁরা দুজনে বলেছেন যে, তার নামায হয়ে যাবে । (ইবনে আবী শাইবা: ৩৪০১)

হাদীসটির স্তর : সহীহ। এ হাদীসের রাবীগণ সকলেই বুখারী-মুসলিমের রাবী। আর হাজ্জাজ বিন আরতাত যদিও তাদলীস করেন; কিন্তু এ আছ়ারে তিনি পরিষ্কার বলেছেন যে, আমি হযরত আতাকে জিজ্ঞেস করলাম। সুতরাং তাঁর তাদলীস এখানে ক্ষতিকর নয়।

হযরত রবীআহ রা. থেকে হাসান সনদে বর্ণিত আছে যে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় তাঁরা একবার কিবলা নির্ধারণের চেষ্টা করেও ভুল করলেন। বিষয়টি রসূলুল্লাহ স.-এর খেদমতে পেশ করা হলে তিনি আল্লাহ তাআলার এ আয়াত শুনালেন, “তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও সেদিকই আল্লাহর দিক” (ইবনে মাযা: ১০২০)

সারসংক্ষেপ : উল্লিখিত হাদীস দু”টি দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কোন ব্যক্তি নামাযের পূর্বে কিবলার দিক হারিয়ে চিহ্নিত করতে না পারলে তার দায়িত্ব হবে সঠিক দিক নির্ণয়ের সর্বাত্মক চেষ্টা করা। চেষ্টা সত্ত্বেও সঠিক দিক নির্ণয়ে ব্যার্থ হলে নিজের মনে চিন্তা-ফিকির করবে এবং তা দ্বারা যে দিকে কিবলা সাব্যস্ত হয় সে দিকেই নামায পড়বে। যদি সেটা ভুলও হয় তা-হলেও ঐ ব্যক্তির নামায হয়ে যাবে। কেননা সে ব্যক্তি দিক নির্ণয়ের সকল পদ্ধতি যথাসাধ্য ব্যবহার করেছে। আর আল্লাহ তাআলা মানুষকে সাধ্যের বাইরে কোন বিধান চাপিয়ে দেননি। (ছূরা বাকারাঃ ২৮৬)। কিন্তু কোন ধরণের চেষ্টা-গবেষণা ব্যতীত যে কোন দিকে ফিরে নামায পড়ে নিলে সে নমায শুদ্ধ হবে না।

সৌজন্য: ShamimBlog.Com 

 

2 thoughts on "চেষ্টা করেও কিবলার দিক ভুল হলে নামায হয়ে যাবে।"

Leave a Reply