হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রা. বলেন: রসূলুল্লাহ স. ইরশাদ করেন: নারীর জন্য খাছ কামরায় নামায পড়া হুজরায় নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। আর ঘরের নির্জন স্থানে নামায পড়া খাছ কামরায় নামায পড়ার চেয়ে উত্তম। (আবু দাউদ-৫৭০, মুসতাদরাকে হাকেম: ৭৫৭, সুনানুল কোবরা লিলবাইহাকী: ৫৩৬১)
হাদীসটির স্তর: সহীহ। হাকেম বলেন: এ হাদীসটি বুখারী মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ। ইমাম জাহাবীও হাদীসটিকে বুখারী-মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ বলেছেন। ইমাম নববী রহ. হাদীসটিকে মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন।
(খুলাছাতুল আহকাম-২৩৪ ৭) শায়খ আলবানীও হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ-জঈফ আবু দাউদ-৫৭০)
সারসংক্ষেপ : এ হাদীসে ঘরের নির্জন স্থানকে মহিলাদের সর্বোত্তম নামাযের স্থান বলা হয়েছে। এ ইরশাদের দ্বারা রসূলুল্লাহ স. মহিলাদেরকে মসজিদে যেতে নিরুৎসাহিত করেছেন।
মহিলাদের জন্য ঘরের নির্জন রুমের নামায মসজিদের জামাতের নামাযের চেয়ে উত্তম হওয়ার ব্যাপারে আরও অসংখ্য সহীহ হাদীস বর্ণিত রয়েছে।
হযরত ইবনে উমার রা. থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ স.
হযরত উম্মে হুমাইদ রা. থেকে হাসান সনদে বর্ণিত আছে যে, তিনি একবার সূলুল্লাহ স.-এর নিকটে এসে বললেন: ইয়া রসূলাল্লাহ! আমি আপনার সাথে (জামাতে) নামায পড়তে ভালোবাসি। রসূলুল্লাহ স. বললেন: আমি জানি যে, তুমি আমার সাথে নামায পড়তে ভালোবাস। তবে খাছ কামরায় নামায পড়া তোমার হুজরায় নামায থেকে উত্তম। আর তোমার হুজরায় নামায পড়া বাড়ীতে নামায পড়া থেকে উত্তম। আর তোমার বাড়ীতে নামায পড়া তোমার গোত্রের মসজিদে নামায পড়া থেকে উত্তম। আর তোমার গোত্রের মসজিদে নামায পড়া আমার মসজিদে (মসজিদে নববীতে) নামায পড়া থেকে উত্তম। বর্ণনাকারী বলেন: অতঃপর তাঁর নির্দেশে তাঁর জন্য ঘরের একেবারে ভিতরে এবং অন্ধকারে একটি নামাযের জায়গা তৈরি করা হলো। আর তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই নামায পড়তেন। (মুসনাদে আহমাদ: ২৭০৯০)।
সৌজন্যঃ Shamimblog
4 thoughts on "মহিলাদের জন্য ঘরে একাকী নামায পড়াই উত্তম।"