মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, “মানুষ যা আশা করে, তাই কি সে পায়?” [সূরাহ নাজম, আয়াত : ২৪]
আমার সকল প্রশ্নের উত্তর হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে শুধুমাত্র এই একটি আয়াতের মাধ্যমেই। কেন জীবনের এত চাওয়া পাওয়া পূরণ হয়নি? কেন এত আশা আকাঙ্খা থাকা সত্তেও হাতের মুঠোই আসেনি কতকিছু। তবে, এখন আমি শান্ত। আগে হয়তো জানতাম না আল্লাহর চির অবধারিত এ বিধানটি যে “সব আশা পূরণ হবার নয়”।
মানুষ যা পাওয়ার আশা করে তার সবই যদি সে পেয়ে যায় তাহলে সে অবাধ্য আর চির অহংকারী ও ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই,কোনোকিছু না পাওয়া নিয়ে আজ অতো মাথা ব্যাথা নেই। এই ছোট্ট জীবনে যা পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ! তবে আল্লাহর ক্ষমা, চিরস্থায়ী জান্নাতসহ ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির আশা করা এবং তা পেতেই হবে এমন দৃঢ়তা রাখাও জরুরী। কোনো কিছুই যে পাওয়া যাবে না এমনটাও নয়। আমরা আল্লাহর কাছে কোনোকিছু চেয়ে যদি না পাই তাহলে আমাদের মনে করতে হবে এতেই আমাদের কল্যাণ রয়েছে এবং এর পরবর্তীতে আল্লাহ অবশ্যই আমাকে উত্তম কিছু দান করবেন। উক্ত আয়াতটি বার বার স্মরণ করে ধৈর্য ধারণ করতে হবে — ইন শা আল্লাহ!
কিন্তু বরাবরের জন্য কী এমনই হয়? জীবন নদীর এই অল্প সময় এসেই আমরা হাঁপিয়ে যাই, আমরা ভুলে যাই, মহান আল্লাহ যে আমাদের জন্য আমাদের সাথী নির্বাচন করেছেন সৃষ্টির বহুকাল পূর্বেই। চলন্ত জীবনে ভুল করে আবার ধৈর্যহারা হয়ে আল্লাহর নির্ধারিত সাথী পাওয়ার আগেই নির্বাচন করে নেই অন্য কাউকে।পছন্দ-অপছন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক যে কেবল ‘আল্লাহই’ ভুলে যাই এই কথা।
জীবন নৌকার মাঝি হয়ে, ভুলে এমন যাত্রীকে নৌকায় তুলে নেই যার ফলে নৌকা ডুবুডুবু প্রায়।
তবে আমরা যদি রবের নেক বান্দা হই তবে, “আল্লাহ আমাদের জন্য এমন সব বস্তু বানিয়ে রেখেছেন, যা কোনো চোখ দেখেনি, যা কোনো কান দেখেনি এবং কোনো অন্তর চিন্তাও করেনি।” [সহীহ বুখারী, হাদিস নং ৩২৪৪ ও ৪৭৭৯]
আমাদের উচিত রবের নির্ধারণ করা উপহার সামগ্রীর জন্য অপেক্ষা করা এবং দু’আর সাথে এই আয়াতটি পড়া, “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তানাদি দান কর যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দাও।” [সূরাহ ফুরক্বান, আয়াত : ৭৪]
পরিশেষে আল্লাহর কাছে এই চাওয়া যে, হে আল্লাহ! চাওয়া পাওয়ার এ জীবন সংগ্রামে যারা পরাজিত হয়ে ক্ষত বিক্ষত আর দগ্ধ হৃদয় নিয়ে অশ্রু সিক্ত নয়নে তোমার দিকে তাকিয়ে আছে, তাদের একটু সুখ দাও। যা চেয়েছিলো তোমার ঐ… তাকে দাও আরও উত্তম কিছু, যাতে সে ভুলে যায় অতীতের সব কষ্ট ও বেদনা। তুমি সবই পারো। হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি তেমার নির্ধারিত ভাগ্যের শৃঙ্খলে আবদ্ধ। আমি পরিনি। কি পারিনি তা হয়তো জানবে না কেউ কোনোদিন। আমার একান্ত অনুরোধটুকুই রেখো দয়াময়, সবাই যেন সুখী হয়। (আমীন)
সৌজন্য www.ourislamBD.com
You must be logged in to post a comment.
সুন্দর পোষ্ট
Zazakallahu Khayeer. Barakallahu Lana walakum Dil Qurani was hidithil Azim.
Zazakallahu Khayeer. Barakallahu Lana Walakum Fil Qurani wa Hidithil Azim.
Valoy
nice