আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ। আশা করি সবাই আল্লাহ সুবহান ওয়া তা’য়ালের অশেষ রহমতে ভালো আছেন। আজ আমি আপনাদেরকে এমন এক সহজ আমলের কথা বলবো যা করলে আপনি পরকালের প্রথম স্তর অর্থাৎ কবরের (বারযাখ) জীবনে কঠিন আযাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
এর জন্য আপনাকে প্রতিদিন একটি সূরা তিলাওয়াত করতে হবে। আপনারা অনেকেই এর ফযীলত সম্পর্কে অবগত। সূরাটার নাম সূরা মূলক। এটা আল-কুরআনের বিশেষ সম্মানিত অর্থাৎ পাঁচটি পাঞ্জে সূরাগুলোর একটি।
সূরা মূলক অতি ক্ষুদ্র একটি সূরা। এর আয়াত সংখ্যা মাত্র ৩০টি এবং রুকু সংখ্যা ২টি। ৩০ আয়াত পাঠ করতে আপনার দশ মিনিটও লাগবে না, যদি আপনি নিয়মিত কুরআন তিলাওয়াত করে থাকেন।
সূরা মূলকের প্রথম ও প্রধান ফযীলত হচ্ছে যে ব্যক্তি প্রত্যহ এই সূরা তিলাওয়াত করবে, তার কবরের আযাব মাফ করে দেওয়া হবে। ইবনে হাব্বান কতৃক বর্ণিত আছে, “যে ব্যক্তি এই সূরা তিলাওয়াত করে তার জন্য এই সূরা নিজে সুপারিশ করবে। তদানুযায়ী তাকে মাফ করে দেওয়া হবে।” তাছাড়া ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে যে, “যে ব্যক্তি এই সূরা তিলাওয়াত করবে তার কবরের আযাব মাফ করে দেওয়া হবে।” আবার অনেক হাদীসে এও বর্ণিত হয়েছে, যে ব্যক্তি এই সূরা তিলাওয়াত করবে তার কবর ও কিয়ামত উভয় স্থানেরই আযাব মাফ করে দেওয়া হবে। সর্বদা এই সূরা তিলাওয়াত করলে আযাব হতে মুক্তি পাওয়া যায়।
সুতরাং, আসুন মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আমরা আজ হতেই এই সূরা প্রত্যহ তিলাওয়াত করা শুরু করি। চিন্তা করে দেখুন, সারা দিনে আমরা কত শত শত “দশ মিনিট” বেকার কাজ করে, টিভি দেখে, নাচ-গান করে নষ্ট করছি। অথচ, এই দশ মিনিটই হতে পারে আপনার কবর ও কিয়ামত জীবনের সম্বল। মনে রাখবেন, আপনার কবরে আপনাকেই একা যেতে হবে। সবাই আপনাকে ওই গহীন কবরে একা ফেলে রেখে চলে যাবে, কেউ আপনার জন্য দোয়া করবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কাজেই সেই ভয়াবহ জীবনের জন্য এখন হতেই সম্বল জোগাড় করুন যা পরকালে আপনার জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াবে।
অনেক বেশি বলে ফেললাম। কিন্তু আল-হাক্কু মুররুন (সত্য বড় তিতা)। যাই হোক, আল্লাহ আমাকে এবং আপনাদেরকে পরকালের সেই ভয়াবহ আযাব হতে মুক্তি দান করুন। আমিন!
আসসালামু আলাইকুম।
https://www.islamicfinder.org/quran/surah-al-mulk/11/?translation=bengali-muhiuddin-khan