আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে সফলভাবে আপনাদেরকে পবিত্র কুরআন মাজীদের সাথে কিছু বিজ্ঞানপ্রেমী মানুষের ভিত্তিহীন ও উপস্থাপিত ভুল প্রমাণের অন্তঃসারশূন্যতার কথা জানাতে সক্ষম হয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি জানাতে চেষ্টা করবো কিছু মানুষ আরবি ভালোভাবে না জানার দরুণ কীভাবে মূর্খের মতো ত্রুটিবিহীন কুরআনের ভুল ধরছে ইংশাআল্লহ। চলুন শুরু করি।
আমার আগের পোস্ট: প্রামাণ্যচিত্রঃ কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের কিছু ভিত্তিহীন সাংঘর্ষিকতা [পর্বঃ০১] বিষয়ঃ মহাবিশ্ব
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন মাজীদের সূরা আশ-শামস্-এর ২য় আয়াতে বলেন-
وَالْقَمَرِ إِذَا تَلَاهَا
এর প্রকৃত অর্থ হচ্ছে- “তাকাও চাঁদের দিকে যখন তা সূর্যকে অনুসরণ করে।”
কিছু কিছু অতি পণ্ডিত বিজ্ঞানীরা এই আয়াত নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে বেড়ায়। এখানে আরবিতে লেখা “তালাহা” শব্দটার অর্থ যদিও অনুসরণ করাই বোঝায়, তবুও কেউ কেউ এটাতে সন্তুষ্ট নন। তাদের ভাষ্যমতে, অনুসরণ করা বোঝালেও এই শব্দটা চতুষ্পদ জন্তুর ক্ষেত্রেই শুধু ব্যাবহৃত হয়। যেহেতু এই শব্দটা সৌদি আরবে উটের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়, তাই তারা মনে করে আল্লাহ এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, উট যেমন একটার পেছনে অন্যটা চলে, তেমনি চাঁদও সূর্যের পেছন পেছন একই কক্ষপথে চলে। আর এটাকেই তারা ভুল বুঝে কুরআনের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। আসলে তাদের মাথায় এটা আসে না যে মানুষ ব্যতীত যেকোনো প্রাণী বা বস্তুর (এমনকি শিশুও) ক্ষেত্রে একইরকম শব্দ ব্যাবহৃত হয়। অর্থাৎ, এটা ব্যাকরণের নিয়মের মধ্যে পড়ে।
আমরা ছোটোতেও এগুলো পড়েছি। যেমন- ব্যক্তির ক্ষেত্রে He/She হয়। কিন্তু জন্তু, বস্তু কিংবা শিশুর ক্ষেত্রে It হয়। ব্যাপারটা বেশ সহজ।
চাঁদ তো কোনো ব্যক্তি না, তাই এক্ষেত্রে বস্তুবাচক শব্দই ব্যবহৃত হবে। আর আল্লাহ তায়ালা সেটাই ব্যবহার করে বলেছেন যে সূর্যের মতোই চাঁদও নিজের কক্ষপথে ঘুরে। অর্থাৎ, চাঁদ সূর্যের মতোই আচরণ করে। যারা এটা বোঝে না, তারাই তর্কে লিপ্ত হয়। কাজেই আমাদের এগুলো জেনে রাখা জরুরি যাতে কেউ তর্কে জড়ালে তারা ইসলামকে যেনো অপমান না করতে পারে।
ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। পরের পর্ব দেখতে TrickBD-র সাথেই থাকুন (যদি আমাকে আল্লাহ পরের Post করার ক্ষমতা দেন)। আসসালামু আলাইকুম।
6 thoughts on "প্রামাণ্যচিত্রঃ কুরআনের সাথে বিজ্ঞানের কিছু ভিত্তিহীন সাংঘর্ষিকতা [পর্বঃ০২] বিষয়ঃ মহাবিশ্ব"