কোনো বেপর্দা নারীর ওপর চোখ হঠাৎ করে পড়ে গেলে করনীয় – হাদিস হতে বিস্তারিত বর্ণনা।

আমাদের সমাজে এখন আর আগের মত নেই। এখন রাস্তাঘাটে বের হলেই দেখা যায় বহু বেপর্দা, বেপর্দাশীল নারীদের।

বাংলাদেশ নামে একটা ইসলামিক রাষ্ট্র হলেও মহিলাদের পোশাক সম্পর্কে নেই কোন কঠোর বিধান। যা রয়েছে সৈদিআরব ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া সহ অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশে।

ওয়েল ব্যাক টু দ্য পয়েন্ট,

তো আমরা যারা সকল মুসলমান ধর্ম ভীরু ভাইরা আছি তারা সকলেই জানি কোন বেপর্দা নারীর দিকে চোখ পড়ে গেলে আমাদের গুনাহ হয়। এবং এই গুনাহ এর শাস্তি এতটাই ভয়াবহ যে মৃত্যুর পরে আখিরাতে আমাদের এটার জন্য অনেক বড় শাস্তি অপেক্ষা করছে।


এখন রাস্তাঘাটে কোনো বেপর্দা নারীকে দেখলে আমরাতো তাকে সরাসরি কাছে গিয়ে বলতে পারব না যে তাকে বোরকা পড়ে রাস্তাঘাটে বের হওয়ার জন্য। এটা বলার স্বাধীনতা আমাদের নেই।

তবে হ্যাঁ অবশ্যই আমাদের নিজেদের চোখকে হেফাজত করার স্বাধীনতা আমাদের অবশ্যই আছে।

আমরা রাস্তাঘাটে চলছি নিজেদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ সম্পাদন করার জন্য। তারাও রাস্তাঘাটে বের হয়েছে এরকম কোন কাজ করার জন্যই। এখন রাস্তাঘাটে চলাফেরা করলে একজন বেপর্দা নারীর দিকে চোখ চলে যাওয়া অস্বাভাবিক কোনো ব্যাপার নয়।

যতো বড় আলেমই হোক সবারই এমনটা হয়ে থাকে।  কারণ আমরা মানুষ, মানুষের ঊর্ধ্বে নই। তাই ভুলত্রুটি আমাদের দ্বারা হবেই।

তো হঠাৎ রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় কোন বেপর্দা নারীর দিকে চোখ চলে গেলে আমাদের অবশ্যই উচিত সে চোখটাকে কে ফিরিয়ে নেওয়া।

কেননা হাদীস শরীফে একটি হাদিস উল্লেখ আছে হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলেছেন কোন নারীর দিকে যদি কোনভাবে চোখ চলে যায় ভুলবশত। তাহলে প্রথমবার সেটা ক্ষমা করার যোগ্য কিন্তু লোভে পড়ে যদি দ্বিতীয় বার আবার ওই বেপর্দা নারীর দিকে তাকায় তাহলে সেটা আর আল্লাহতালার কাছে ক্ষমার যোগ্য হবেনা মানে গুনাহ সৃষ্টি হবে। আর পাপ কাজের সৃষ্টি হওয়া মানে নির্ঘাত জাহান্নাম।

উপরের কথাটি কোন মনগড়া কথা নয় এটা আবু দাউদ এ উল্লেখ করা হয়েছে। সেই হাদীসটি সম্পূর্ণ নিচে তুলে ধরা হলো:

রাসূল সা: হজরত আলী (রা:) কে নির্দেশ করেন,

‘হে আলী! নারীদের প্রতি প্রথম দৃষ্টির পর দ্বিতীয় দৃষ্টি নিক্ষপে করো না, কেননা প্রথম দৃষ্টি ক্ষমার যোগ্য, দ্বিতীয়টি নয়। হজরত জাবের রা: জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সা:! হঠাৎ যদি দৃষ্টি পড়ে তা হলে কী করব? রাসূল সা: বললেন, তাৎণিক দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়ো’ (আবু দাউদ)

তো হাদিস হতে আমরা আরও একটা বিষয় জানতে পারছি সেটা হচ্ছে যদি হঠাৎ করে আমাদের চোখ কোন বেপর্দা, পর্দাহীন নারী উপরে পড়ে সে ক্ষেত্রে আমাদের তাৎক্ষণিক চোখ ফিরিয়ে নিতে হবে এবং সাথে সাথে আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।


কেননা একমাত্র আমাদের ক্ষমা করে দেওয়ার মালিক হচ্ছেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রব্বুল আলামীন।


আমরা যেখানে শয়তানের ধোঁকায়় পড়ে একের পর এক খারাপ কাজ করতে থাকি, আল্লাহ তায়ালার দেখানো দ্বীনের বিপক্ষে কাজ করি সেখানে আল্লাহতালা বসে আছেন আমাদের সকল গুনাহ সকল খারাপ কাজ মাফ করে দেওয়ার জন্য সুবহানাল্লাহ। 

তাই আপনি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে যত গুনাই করেন না কেন  মন থেকে আল্লাহতালার কাছে ক্ষমা চান ইনশাল্লাহ অবশ্যই আল্লাহ তাআলা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন।

তাই চলুন আমরা ওয়াদা করি রাস্তাঘাটে চলাফেরা করার সময় কোন বেপর্দা নারীর দিকে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকাবো না এবং হঠাৎ যদি চোখ পড়ে যায় তাহলে অবশ্যই আল্লাহকে ভয় করে তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে চোখ সরিয়ে নিয়ে আল্লাহ তাআলার কাছে তওবা করব এবং শয়তানের নিকট হতে আশ্রয় চেয়ে দোয়া প্রার্থনা করবো।

আশা করছি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন কারণ এই পোস্টটি পড়ে আপনি যেমন উপকৃত হয়েছেন আপনার পোস্টটি শেয়ার করার মাধ্যমে আপনাদের বন্ধুরা পড়লে তারা উপকৃত হতে পারবে। তাই বেশি বেশি পোস্টটি শেয়ার করে অন্যদেরকে উপকৃত করুন।



2 thoughts on "কোনো বেপর্দা নারীর ওপর চোখ হঠাৎ করে পড়ে গেলে করনীয় – হাদিস হতে বিস্তারিত বর্ণনা।"

Leave a Reply