— এই যে ভাই, আল্লাহর কথা কি মিথ্যা হতে পারে?
— নাতো, দুনিয়ার সবার কথা মিথ্যা হতে পারে। সব চিকিৎসক, পলিটিশিয়ান, এমনকি পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রধানের কথাও ভুল প্রমাণিত হতে পারে।
— তো আল্লাহ তো কুর আনে বলেছিলেন,
“আর আল্লাহ এমন নন যে, তাদেরকে আযাব দেবেন এ অবস্থায় যে, তুমি (নবীকে বোঝানো হয়েছে) তাদের মাঝে বিদ্যমান এবং আল্লাহ তাদেরকে আযাব দানকারী নন এমতাবস্থায় যে, তারা ক্ষমা প্রার্থনা করছে।”
(সুরা আনফাল,৩৩)
— ভাই আমরা তো তওবা, ইস্তিগফার করছি।
— দেশের সবাই কি করছি, উম্মাহের সবাই কি করছি? জাতির অধিকাংশ লোক গাফেল, নির্বিকার সেখানে কিছু সংখ্যক মানুষজনের তওবাতে আল্লাহ সাড়া দিবেন কিনা একমাত্র তিনিই জানেন।
আল্লাহর রহমত পেতে সবাইকে ফিরে আসতে হবে। সবাইকেই শামিল হতে হবে ইস্তিগফারে। তবেই এই বিপদ থেকে রক্ষা পাবো আমরা, স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালা ওয়াদা অনুসারে।
— তাহলে কি করবো ভাই?
— এখনো অধিকাংশ মানুষ বেখেয়াল, আনন্দ- ফুর্তিতে ব্যস্ত। চিল করতেছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে খেয়াল খুশিমতো।
আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি তোমাদের উপর থেকে আযাব কিছুটা প্রত্যাহার করব, কিন্তু তোমরা পুনরায় পুনর্বস্থায় ফিরে যাবে’। [সুরা দুখান, ১৫]
এটা মানুষের খাসিয়ত যে, বিপদ কেটে গেলে তারা ভুলে যায় আপতিত বিপদের কথা। কিন্ত ভয়াবহ বিপদ, মহামারীর মধ্যেও ফুর্তি করা, আমোদে থাকা! এ কেমন চরিত্র রে ভাই!! এমনসব চরিত্রের কারণে যেন আমরা রহমত থেকে বঞ্চিত না হই। ওয়াল্লহি।
তো সেই ভাই/বোনদের কে বোঝান। অন্ততপক্ষে এই সময় যেন তারা তওবা করে, আল্লাহর রহমত কামনা করে। নিয়ামতের শোকরগুজার করে।পুরো জাতির নিকট এই বাণী পৌছে দিন যে, নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য।
এজন্য নিচের দুটি আয়াতে মনোযোগ দিন।
আল্লাহ বলেছেনঃ কাজেই তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আর তুমি তোমার ত্রুটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং সকাল- সন্ধ্যায় তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ কর। (সূরা গাফির,৫৫)
এবং সূরা নামলে রয়েছেঃ সে (সালেহ আলাইহিস সালাম) বলল, ‘হে আমার কওম, তোমরা কল্যাণের পূর্বে কেন অকল্যাণকে তরান্বিত করতে চাইছ? কেন তোমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছ না যেন তোমাদেরকে রহমত করা হয়’? (সূরাহ নামল, ৪৬)
এর সাথে সাথে রোগের হাত থেকে বাঁচার প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্যক্তিগত, পারিবারিক সতর্কতা অবলম্বন করা এবং তাওয়াক্কুল করা জরুরি।
আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে এই মহামারী থেকে রক্ষা করেন। আমিন
লিখেছেন নাজমুস সাকিব ভাই (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
2 thoughts on "ফেসবুকে ঢুকলেই আতংকিত লাগছে না? ত্রাস সৃষ্টি হচ্ছেনা মনে?"