আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আশা করছি আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই ভাল আছেন আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভাল আছি এবং সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ।

আপনারা অনেকেই এই বিষয় নিয়ে কনফিউশন এ থাকেন যে যদি কোনো কারণে সেহরি না খেতে পারি তাহলে কি আমার রোজা আল্লাহর দরবারে কবুল হবে, না কি কবুল হবে না? তারা এরূপ প্রশ্ন মাঝেমধ্যেই করে থাকে কারণ অনেক সময় দেখা যায় অ্যালার্ম দিয়ে রাখলেও রাতে সঠিক সময়ে উঠা যায় না বা ঘুম না ভাঙ্গার কারণে দেখা যায় সেহরি খাওয়ার সময় চলে গেছে এমতাবস্থায় কি করা উচিত এবিষয় নিয়ে অনেকেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন।

অনেক মানুষ অনেক রকম কথা বলে থাকে এ বিষয়ে। অনেকে বলেন রোজা কবুল হওয়ার জন্য সেহরি করা বাধ্যতামূলক। সেহরি না করলে রোজা কবুল হয় না আবার অনেকে বলে সেহরী কোন কারণে না করতে পারলেও রোজা কবুল হয় আল্লাহর দরবারে। এই দুইটা কথার ভিতরে কোনটা তাহলে সঠিক আমরা কোনটাকে সঠিক মনে করবো।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক হাদিস সহকারে যে কোনটা সঠিক । সেহরি খেলে রোজা কবুল হয় নাকি সেহরি না খেলেও রোজা কবুল হয়।

এই বিষয়ে উত্তর হচ্ছে সেহরি না খেলেও আপনার রোজা কবুল হবে ।

তবে হ্যাঁ যদি কোনো কারণবশত আপনার সেহরি খাওয়া মিস হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য ।

কেননা সেহরি খাওয়া সুন্নত হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেহেরী খেতেন তাই কেউ যদি ইচ্ছা বসতো সেহরি না খায় রাতে সঠিক সময়ে উঠার পরও তাহলে ইচ্ছা বসতো সেহরী না খাওয়ায় রোজা হবে না কি হবে না সেটা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। কিন্তু ভুলবশত যদি সেহরি মিস হয়ে যায় তাহলে সে রোজা আল্লাহতালার দরবারে অবশ্যই কবুল হবে।

এই বিষয় নিয়ে শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন: যেকোনো ফরজ বা নফল রোযা শুদ্ধ হওয়ার জন্য সেহেরি খাওয়া কোন বাধ্যতামূলক শর্ত নয়। (ফাতাওয়াস শাইখ বিন বায; খণ্ড-৪)

তাছাড়া আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা সেহেরী খাও; কারণ সেহেরীতে বরকত রয়েছে।” [মুত্তাফাকুন আলাইহি]

তো উপরোক্ত দুইটা হাদিস থেকেই বুঝা গেল সেহরি খাওয়া বাধ্যতামূলক কোন কারণ নয় কিন্তু আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সেহরি খেতে বলেছেন তাই আমাদের জন্য এটা সুন্নত।

সুতরাং আবারো বলছি এখন কেউ যদি ইচ্ছাকৃত সেহরি বাদ দেয় তাহলে সে সুন্নত বাদ দিল আর আমরা জানি কোন সুন্নত বাদ দেওয়া গুনাহ। এক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলা তার রোজা কবুল করবে না কি করবে না সেটা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। কিন্তু যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে সেহরি খাওয়ার সময় আপনারা না পান সে ক্ষেত্রে সেহরি না খেলেও ওই দিনের জন্য রোজা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যাবে।

আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগেছে আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

4 thoughts on "রোজা কবুল হওয়ার জন্য সেহরি কি খেতেই হবে নাকি না খেলে রোজা হবে – বিস্তারিত পোস্টে।"

  1. Sakibur Rahman Contributor says:
    যদি ঘুম থেকে না উঠতে পারি,তখন?
  2. YASIR-YCS Author says:
    ফাতাওয়াস শাইখ বিন বায; খণ্ড-৪
    মুত্তাফাকুন আলাইহি

    এইসব কি হাদিস ব্র। একটু বিস্তারিত দেয়া উচিত। হাদিস নং, পর্ব ইত্যাদি?

  3. YASIR-YCS Author says:
    ফাতাওয়াস শাইখ বিন বায; খণ্ড-৪
    মুত্তাফাকুন আলাইহি

    এইসব কি ব্র। একটু বিস্তারিত দেয়া উচিত। নং, পর্ব ইত্যাদি?

  4. MD Shakib Hasan Contributor says:
    Thanks For Share

Leave a Reply