এ হাদীসটি আপনার মনে গেঁথে রাখুন। আপনার কম্পিউটার/অফিসের সামনে, আপনার বাসায়, আপনার রুমে লাগিয়ে রাখুন, মোটকথা এই হাদীসটি যেন অন্তর থেকে মুছে না যায় সহিহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘জান্নাতীরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, আল্লাহ তাআলা তাদের বলবেন, তোমরা কি আমার কাছে আরো কিছু চাও?’
আল্লাহ তাআলা বান্দার সমস্ত চাহিদা পূরণ করবেন, আল্লাহ তাআলা বলবেন, যা কিছু বাদ পড়েছে মনে করিয়ে দিবেন, জান্নাতের নেয়ামত গুলো আমরা ভুলে যাব আর আল্লাহ তাআলা মনে করিয়ে দিবেন, বান্দা এটা চাও বান্দা তুমি তো এই জিনিসটা পাওয়ার জন্য স্বপ্ন দেখতে এখন চাও, জান্নাতে যাওয়ার পরে জান্নাতের নাজ নেয়ামত দিয়ে সমস্ত চাহিদা পূরণ করে দিবেন। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে দান করবেন, এরপরে আল্লাহ তাকে বলবেন তোমরা কি আমার কাছে আরো কিছু চাওয়ার আছে?
তোমাদের কি আরো কোনো প্রত্যাশা আছে, আরো কোনো ইচ্ছে আছে নাকি, তোমাদের দুনিয়াতে মনে মনে যে সমস্ত কিছু স্বপ্ন ছিলো, আজ তোমাদের পূরণ করে দেওয়া হয়েছে এরপর আর কি কোন কিছু চাওয়ার আছে নাকি?
তখন জান্নাতীরা, আনন্দচিত্তে আল্লাহ তাআলাকে বলবেন, আপনি কি আমাদের মুখমন্ডল উজ্জ্বল করে দেননি? আপনি কি আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাননি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন নি? যদিও জান্নাতের সবাই আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ থাকবে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
إِنَّ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ الْيَوْمَ فِي شُغُلٍ فَاكِهُونَ
“এদিন জান্নাতবাসীরা আনন্দে মগ্ন থাকবে।” (সূরাহ ইয়াসিন, আয়াত : ৫৫)
তারপরও জান্নাতীরা সেদিন এর চেয়েও বেশি কিছু পাবে। আল্লাহতালা সেদিন তাদের চোখের ওপর থেকে পর্দা তুলে নেবেন। আর আল্লাহর বান্দারা সেদিন তাদের রবকে নিজের চোখে দেখতে পাবে। [সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি]
আল্লাহকে দেখতে পাওয়ার তুলনায় তারা এ পর্যন্ত যা যা পেয়েছে সবকিছু ভুলে যাবে। [সহীহ মুসলিম, ৪৬৭]
সুতরাং আল্লাহর উপর আশা-আকাঙ্ক্ষা রাখুন আল্লাহর সাথে সাক্ষাতে আকাঙ্ক্ষা করুন। জান্নাতে আল্লাহকে দেখার আকাঙ্ক্ষা করুন, জান্নাতুল ফিরদাউসের আকাঙ্ক্ষা করুন, আল্লাহ তাআলার ভাগ্যবান বান্দারা আল্লাহ তালাকে দেখতে পাবে, সেদিন যেন আমাদের মত গোনাহগারকেও জান্নাতের একটা কোণে জায়গা দিয়ে দেন। দুনিয়ার জীবনে আমাদের লক্ষ্য হবে আল্লাহর সিংহাসন যেন, আমাদের জান্নাতের ছাদ হয়। আপনারা জান্নাতের ছাদের উপরে যেন আল্লাহর সিংহাসন থাকে, আপনি যেন ওয়াসিলার সবচেয়ে নিকটে থাকেন। আপনি যেন আবু বকর ওমর ওসমান আলী খালিদ আব উবাদা আয়িশা খাদিজা উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহুম আজমাইনের প্রতিবেশী হোন।
এভাবেই আপনি আল্লাহর প্রতি আশা-আকাঙ্ক্ষা অর্জন করুন।
তবে এই প্রত্যাশা মোটেও সহজ নয়,। আল্লাহর প্রতি আকাঙ্ক্ষা উজ্জীবিত করার সময় আপনার সামনে অন্তরের অনেক ফিতনা এসে উপস্থিত হবে।চাকুরী, সামাজিক প্রতিপত্তি, ধন সম্পদ সন্তান, জীবনসঙ্গী একের পর এক ফিতনা আসতেই থাকবে। এর মধ্যে কিছু আপনাকে আনন্দিত করবে, ধোঁকায় ফেলে দেবে। তাই এ গুলোকে আপনার জন্য ফিতনা হতে দেবেন না, জান্নাতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে দিবেন না।
এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, হে আল্লাহ! আমাকে হালালের ভিতরে এতটাই স্বাদ বাড়িয়ে দিন আমি যেন হারামের দিকে ধাবিত না হই। এ দুনিয়ার জীবনকে আমার জন্য নিরাপদ করে দিন, সহজ করে দিন আর আমাকে আমার ইচ্ছার ওপর ছেড়ে দিয়েন না। আমার জীবনের জিম্মাদারী আপনি গ্রহণ করুন।
লেখাঃ ডা. সাঈদ (আল্লাহ্ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
সত্যের সন্ধানে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ, আমাদের এই পথ চলা সব সময় ইসলামিক পোস্ট পেতে বিজিট করুন ইসলামিক সাইট www.OurislamBD.Com
এইজন্য নিয়মিত পোস্ট দিতে পারিনা। তবে সময় হলে করি