আসসালামুয়ালাইকুম

তারাবির নামাজ কত রাকাত ? তারাবির নামাজ ওয়াজিব না সুন্নত ? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত রাকাত পড়তেন ?

রাসুলুল্লাহ (সা.) তারাবি নামাজের জন্য রাতের কোনো বিশেষ সময়কে নির্দিষ্ট করে দেননি। তবে তারাবি নামাজ অবশ্যই এশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিকের পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে আদায় করতে হবে।

নবী করিম (সা.) বেশির ভাগ সময় রাতের শেষাংশে তারাবি আদায় করতেন এবং প্রথমাংশে বিশ্রাম নিতেন। তিনি কখনো আট রাকাত, কখনো ১৬ রাকাত, আবার কখনো ২০ রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু বিশেষ কারণবশত নিয়মিত ২০ রাকাত পড়তেন না। কেননা, তিনি কোনো কাজ নিয়মিত করলে তা উম্মতের জন্য ওয়াজিব তথা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়। এ করুণা দৃষ্টির কারণে তিনি তার আমলে প্রতিনিয়ত ২০ রাকাত পূর্ণ তারাবি জামাত হতে দেননি। যার দরুন সালাতুত তারাবিহ সুন্নত, ওয়াজিব নয়; তবে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বা জরুরি সুন্নত। ২০ রাকাত তারাবি নামাজ হওয়ার সপক্ষে দলিল সহিহ হাদিসে হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, ‘নবী করিম (সা.) রমজান মাসে বিনা জামাতে (একাকী) ২০ রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করতেন,

অতঃপর বিতর নামাজ পড়তেন।’ (বায়হাকি) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওফাতের পর তারাবি নামাজ ওয়াজিব হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আর থাকেনি।

মাহে রমজানে রাত্রিকালে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয় তা ‘তারাবি নামাজ’। আরবি ‘তারাবিহ’ শব্দটির মূল ধাতু ‘রাহাতুন’ অর্থ আরাম বা বিশ্রাম করা। তারাবি নামাজ পড়াকালে প্রতি দুই রাকাত বা চার রাকাত পরপর বিশ্রাম করার জন্য একটু বসার নামই ‘তারাবি’। দীর্ঘ নামাজের কঠোর পরিশ্রম লাঘবের জন্য প্রতি দুই রাকাত, বিশেষ করে প্রতি চার রাকাত পর একটু বসে বিশ্রাম করে দোয়া ও তসবিহ পাঠ করতে হয় বলে এ নামাজকে ‘সালাতুত তারাবিহ’ বা তারাবি নামাজ বলা হয়।

তারাবি নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াব প্রাপ্তির আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করে, তার অতীতকৃত পাপগুলো ক্ষমা করা হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম) মাহে রমজানে রোজা, তারাবি নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ও অন্যান্য ইবাদতের দরুন আলস্নাহ তাআলা রোজাদার ব্যক্তির আগের সব গুনাহ মাফ করে দেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ইমান ও আত্মবিশ্লেষণের সঙ্গে পুণ্য লাভের আশায় রোজা রাখেন, তারাবি নামাজ পড়েন এবং কদরের রাতে জাগ্রত থেকে আলস্নাহর ইবাদত করেন, তার জীবনের পূর্বের সব গুনাহ মাফ করা হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা তারাবি নামাজ আদায় করতেন। তবে তিনি মাত্র চার রাত তারাবি নামাজ জামাতে পড়েছিলেন; কারণ যদি তিনি সর্বদা জামাতে তারাবি নামাজ আদায় করেন, তাহলে তার উম্মতরা ভাববেন যে হয়তো এ তারাবি নামাজ ফরজ। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, ‘ রাসুলুল্লাহ (সা.) দুই রাতে ২০ রাকাত করে তারাবি নামাজ পড়িয়েছেন। তৃতীয় রাতে লোকজন জমা হলেও রাসুলুল্লাহ (সা.) উপস্থিত হননি। পরদিন সকালে তিনি ইরশাদ করলেন, ‘আমি তোমাদের ওপর তারাবি নামাজ ফরজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করেছি। তখন তো তা তোমাদের জন্য কষ্টকর হবে।’ তাই দৈহিক বা মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে ২০ রাকাত অথবা কমপক্ষে আট রাকাত তারাবির সুন্নত নামাজ পড়ার সুযোগ
আছে।

7 thoughts on "তারাবির নামাজ কত রাকাত ? তারাবির নামাজ ওয়াজিব না সুন্নত ? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কত রাকাত পড়তেন ? ( এসব বিস্তারিত প্রশ্নের উত্তর পোস্টে)"

    1. MD Nayem Bokhtiar Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ ভাই
  1. Ahmed iSHFAQ Subscriber says:
    এই বিষয় নিয়ে এতি মধ্যে আমি পোষ্ট করেছি – সুতরাং আবারো একই পোষ্ট এর কোন মানে হয় না
    1. MD Nayem Bokhtiar Author Post Creator says:
      ভাই আপনি এবিষয়ে পোস্ট করেছেন তাই আর পোস্ট করা যাবে না এমন তো নয়
      হয়ত এমন অনেক আছে আপনার পোস্টটি দেখেনি কিন্তু আমার পোস্ট দেখেছে।
  2. 1Rony Contributor says:
    হাদিসের রেফার নাই। নিজের ইচ্ছা মত হাদিস বানাইয়া চালাইয়া দেয়।আবুল পূলাপান।নবী কারিম (সাঃ) ২০ রাকাত তারাবি পড়েছেন এমন কোন সহীহ হাদিস দেখাতে পারবেন??? বরং খলিফাদের যুগ থেকে ২০ রাকাত তারাবির প্রথা শুরু হয়। না যেনে হুদাই মিথ্যাচার করেন।সাধারন জনগনদের বিভ্রান্তি করেন।আপনি বলতে পার তেন আমি ২০ রাকাআত পড়ি চাইলে আপ্নারা ও পড়তে পারেন। না জেনে কোন কিছু পোস্ট করবেন না ভাই।আগে ভাল করে জানেন পড়ে অন্যদের প্রচার করেন।
  3. MD Shakib Hasan Contributor says:
    oh এক পোস্ট কত হবে আল্লাহই জানেন

Leave a Reply