আসসালামুয়ালাইকুম
নামাজ ইসলামের দ্বিতীয় রুকন বা স্তম্ভ। ইমানের পরই নামাজের স্থান। নামাজ বারো মাসই আদায় করতে হয়। আর রোজা শুধু মাহে রমজানে ফরজ। একজন মুমিন মুসলমান বছরজুড়ে নামাজ আদায় করবেন এটাই স্বাভাবিক।
এর পর যখন পবিত্র মাহে রমজানের আগমন ঘটবে, তখন নামাজ আদায়ের পাশাপাশি রমজানের রোজাগুলোও পালন করবেন। একজন রোজাদার শুধু রোজা রাখবেন, নামাজ পড়বেন না এমনটা কখনও কল্পনা করা যায় না। নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে প্রচুর আলোচনা রয়েছে।
ইবনুল কায়্যিম তাঁর এ হাদিসের মর্মার্থ আলোচনা করতে গিয়ে বলেন,
“বেনামাজি ব্যক্তি দুই ধরণের-
(১) পুরোপুরিভাবে ত্যাগ করা। কোন নামাজই না পড়া। এ ব্যক্তির সমস্ত আমল বিফলে যাবে।
(২) বিশেষ কোন দিন বিশেষ কোন নামাজ ত্যাগ করা। এক্ষেত্রে তার বিশেষ দিনের আমল বিফলে যাবে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে নামাজ ত্যাগ করলে তার সার্বিক আমল বিফলে যাবে। আর বিশেষ নামাজ ত্যাগ করলে বিশেষ আমল বিফলে যাবে। ” (আসসালাত পৃ-৬৫)
অতএব, যদি কোন ব্যক্তি রোজা রাখে; কিন্তু নামাজ না পড়ে তবে রোজার সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে । এজন্য আমরা এমন ব্যক্তিকে বলবো, নামাজ পড়ুন, রোজাও রাখুন।
সবাইকে ধন্যবাদ।
আসসালাত পৃ ৬৫
আরো ক্লিয়ার করুন দলিল……
কপিপেস্ট পরিহার করুন