• আসসালামু আলাইকুম,

গত লেখনিতে লক্ষণগুলো আলোচনা করেছিলাম আজ চিকিৎসা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা করব ইন শা আল্লাহ।
লক্ষণ মিললেই যে তিনি জিনের রোগী এটা বলা ভুল হবে, অন্য সমস্যার কারণেও এমন হতে পারে। তবে আজকে একটি পদ্ধতির কথা বলছি যাতে বুঝতে পারবেন সে জিনে/যাদুতে আক্রান্ত নাকি মেডিকেল প্রবলেম।
*ডায়াগনোসিস :রোগীর কানের কাছে
কুরআন তিলাওয়াত করুন (সুরা ফাতিহা, আল বাকারা, আয়াতুল কুরসি, সুরা আস সফ্ফাত (১-১০)
সব তিলাওয়াত করা লাগবে না যদি সে জিনের রোগী হয় তবে সাথে সাথে তার আচরণ পাল্টে যাবে। (কান্নাও করতে পারে) ভয় পাবেন না।
আর যদি সে মেডিকেল সমস্যাগ্রস্থ হয় এতে তার আচরণ কোনোভাবে পাল্টাবে না তাকে ভাল ডাক্তার দেখাবেন।

টিপ্স: জিন/যাদুর সমস্যা জানতে কবিরাজের কাছে যাবেন না।এখানেই যাচাইয়ের নিয়ম বলা হয়েছে আপনি নিজেও পরিক্ষা করতে পারেন।

“যে হুজুর/চিকিৎসক মায়ের নাম জানতে চায় হি ইজ আ যাদুকর – সে হয়ত জিন পালে- শয়তানেরা আদম(পিতা) কে সাজদা করেনি তাই মায়ের নাম নিয়ে কাজ করে ওরা”

“তাবিজ এ যুগের বড় একটা অস্ত্র মানুষকে যাদুগ্রস্থ করার জন্য কারণ অমক জন বলেছে তাবিজ জায়েজ তাই বেশিরভাগ লোকেরা তাবিজের ভিতরে যাদু রেখে দেয় আর তার ভক্তরা তো জানে যে জায়েজ আসলে এটা দিয়ে তাকেই যাদুগ্রস্থ করা হচ্ছে” তাবিজ ব্যবহার শিরক এইমতটাকে বিন্দুমাত্র ক্ষতির আশংকা নেই।”একটা নিউজ পড়েছিলাম ‘তাবিজ করে পাগল করার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের ধর্ষণ করেছিল একজন মুফতি’ এমন প্রচুর ঘটনা আছে। এই ফাদে তো তারাই পড়বে যারা তাবিজ কে জায়েজ মনে করে। আমি অনেক তাবিজ খুলেছি উপরে আল্লাহ লেখা ভিতরে পাথর (যাদুর উপাদান) ১০ ১২ টার মধ্যে একটাতেও কুর আনের আয়াত পাই নাই। আমাত উপদেশ হলো তাবিজ ছাড়ুন। তাবিজ শিরকের দিকেই নিয়ে যায়।

চিকিৎসা :

ভয় পাবেন না, জিনের কোনো শক্তি নেই। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনিই যথেষ্ট। একনিষ্ঠভাবে তার কাছেই সাহায্য চাইবেন। আল্লাহর কাছে জিনের শক্তি জিরো।
নিয়ত ঠিক করে নিবেন জিন শয়তান থেকে মুক্তির নিয়তে রুকিয়া করবেন।
রুকিয়াহ দুই প্রকার : শারিয়াহ (জায়েজ) শিরকিয়া (হারাম) -বেশিরভাগ কবিরাজ শিরকি ঝারফুক করে সাবধান এদের থেকে।

রুকিয়াহ আশ শারিয়াহ: কুরআন থেকে বিভিন্ন আয়াত দিয়ে ঝাড়ফুঁক, হাসিসের দোয়াও ব্যবহার করা যায়।
যেভাবে জিন তাড়াবেন,
আপনি নিজে /আপনার বন্ধু অথবা একজন রাকি (ঝাড়ফুককারী) কে দিয়ে কানের কাছে জোরে জোরে তিলাওয়াত করাবেন।(#তার আকিদা শুদ্ধ হওয়া জরুরী)

এগুলো জিন সহ্য করতে পারবে না। যদি সে রোগীর মুখ থেকে কথা বলে তাকে চলে যাওয়ার কথা বলবেন (অনুসলিম হলে তাকে দাওয়াত দিবেন)। যেতে না চাইলে আবার তিলাওয়াত শুরু করুন ধীরে ধীরে জিন সহ্য করতে না পেরে জিন চলে যাবে।

মোবাইলে রুকিয়াহ শারিয়াহ ডাউনলোড করে নিতে পারেন (youtube/Google search) দিন ২ /৩ বার শুনবেন।

★★★সকাল সন্ধার দোয়া অবশ্যই পড়বেন। (হিসনুল মুসলিম app/বই- মাসনুন দোয়া ( Abdullah Jahangir (R) এখানে পাবেন। প্রতিদিন পড়বেন।

জিনের রোগীর সাথে ভাল আচরন করা উচিত সে খারাপ আচরণ করলেও। কারণ, তাকে বাধ্য করা হচ্ছে এমন আচরণের জন্য।খারাপ আচরণ করলে সে হতাশ হবে কস্ট পাবে।

যিনি ঝাড়ফুক করবেন তার ও সকাল সন্ধার দোয়া পড়া উচিত হবে। সকাল সন্ধার দোয়া প্রত্যেক মুসলিম এরই পড়া টা খুবই জরুরী। সকল প্রকার খারাবি অনিসঠ থেকে বাচার জন্য এগুলো শিক্ষাদেওয়া হয়েছে। তাই, সবাই পড়বেন।

***জিনে আক্রান্ত রুকিয়াহ করার আয়াত:–
১. সুরা আল ফাতিহা
২. সুরা আল বাকারা ১-৫, ১৬৩-১৬৪, ২৮৫-২৮৬
৩.সুরা আল ইমরন (১৮-১৯)
৪.সুরা আল মুমিনুন (১১৫-১১৮)
৫.সুরা সফফাত (১-১০)
৬.সুরা আর রহমান( ৩৩-৩৬)
৭.সুরা আল হাশর (২১-২৪)

৮.সুরা আল জিন (১-৯)
৯.সুরা ইখলাস, ফালাক্ব, নাস (৩ বার করে)

*যেই আয়াতে জিন বেশি কস্ট পাবে সেটি বেশি বেশি পড়বেন। সুরা সফফাত (১-১০) সুরা আর রহমান (৩৩-৩৬) এগুলো জিন সহ্য করতে পারে না।
*রোগীর আচরণে ভয় পাবেন না, রোগীর মাথায় অগ্রভাবে হাত রেখে রুকিয়াহ করবেন। youtube এ লাইভ রুকিয়াহ দেখে শিখতে পারেন।
রুকিয়ার সাথে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিবেন। কুর আন শোনার পর রোগীর আচরণ না পাল্টালে তাকে জিনের রোগী ভাব্বেন না।তাকে ডাক্তার দেখান। “অন্যরা কি বলল বিষয় না” শিরক করবেন না নিশ্চয় এটা সবচেয়ে বড় জুলুম। যে শিরক অবস্থায় মারা যায় আল্লাহ তার পাপ ক্ষমা করবেন না (তাই তওবা করে নিতে হবে অতীতে ভুল হয়ে থাকলে)
ভরসা একমাত্র আল্লাহর উপরই তিনি রোগদূরকারী।
ছদ্মবেশী যাদুকরকে বিশ্বাস করবেন না ঈমান, আমল, টাকা, সময় সবই নস্ট হবে।

নিজে জানি, অপরকে জানাই।
আসসালামু আলাইকুম,

6 thoughts on "জিনের চিকিৎসা"

  1. Abdullah Al Sultan Author Post Creator says:
    *খাটি তওবা করতে হবে , ৫ ওয়াক্ত নামাজ সময়মত পড়বেন। পাপের দিকে যাবেন না।
  2. Abir Ahsan Author says:
    অনেক ভালো
  3. atikraz Contributor says:
    মাশাআল্লাহ সুন্দর পোস্ট
    তবে তাবিজের বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।
    তবে কুফরি কালাম নিঃসন্দেহে শিরক।
    সব তাবিজ কুফরির আওতায় পড়ে না।
  4. Abdullah Al Sultan Author Post Creator says:
    হা, ভাই। ইতিহাসে এইমত দুইটি অনেক আগে থেকেই রয়েছে। উভয়ই নিজের মতকে সঠিক মনে করে অন্যেরটা কখনো মানতে চান না।তাই,আমাদের আলোচনাতেও এর সমাধান কতটুকু আসবে আমার জানা নেই।তাই বলতে পারি একতাবদ্ধ হই মতভেদ ভুলে।আমার আকিদা তাবিজ বিষয়ে পোস্টেই লিখেছি।কিছু কথা ভাই, “মেয়েদের মুখ খোলা জায়েজ হতে পারে কিন্তু ফেতনার যুগে তা জায়েজ বলাটা উপযুক্ত হবে না”
    তাই,এখন কারো কাছে তাবিজ নিতে গেলে কেউ বুঝতেই পারে না সে কি লিখছে।অনেকে ওর ভিতর গাছ ভরে দেয়।
    এরপর যারা কুফরি করে তাবিজের দলিল পেয়ে এরা খুবই খুশি হয়-কাউকে খাঔয়াএ বস করা কঠিন তবে ভয় মুক্তির বলে চালিয়ে দেওয়া সহজ।আপনি বের হন তাবিজ নিতে দেখেন কয়জন কুর আনি তাবিজ দিচ্ছে।
    মানে হলো যেটা দিয়ে ফল কাটা যেত সেই ফল কাটার যুক্তি দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এখন যারা এই তাবিজে কুফরি করে তারা বলে ইমামগণ জায়েজ বলেছে, অমক বিখ্যাত হুজুর বলেছেন। এখানে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনগণ। অনেক মসজিদের ঈমাম যিনি কুফরি কাজে লিপ্ত।
    ‘তাবিজ নিয়ে আল্লাহর প্রিয় হওয়া যায় না’ সে হয়ত নামাজো পড়তে চায় না। সবাই না।আর যে তাবিজ নেয় না সে আল্লাহর কাছে চাইতে থাকে,কুরআন পড়ে,যিকির

    সকাল সন্ধার দোয়া গুলোতে দেখবেন তাবিজ দরকার কতটুকু আছে?

  5. Shohag Ahmed Contributor says:
    Valo kicu Sikhlam. Jajakallah.

Leave a Reply