আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন।

আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে



অর্থ সম্পদ কুরবানী করা


দুনিয়ার অর্থ সম্পদ আল্লাহর পথে খরচ করে আখেরাতের সফলতা অর্জন করতে হবে।
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
(আল্লাহর পথে খরচ করে) যে অগ্রিম পাঠায় তাই তার নিজের সম্পদ। আর যা সে পিছনে রেখে যায় তাই তার ওয়ারিশের সম্পদ। (বুখারী)
আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: তোমার মাল তো উহাই যা তুমি দান সাদকা করে সঞ্চয় করেছো। (মুসলিম)

রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
ক্ষণস্থায়ী জিনিসের উপর স্থায়ী জিনিসের প্রাধান্য দাও। (আহমাদ)

টাকার গোলামদের সম্পর্কে বলেছেন:
দুনিয়ার গোলামদের প্রতি লানত ও টাকার গোলামদের প্রতি লানত (দিনার দিরহামের গোলাম)। (তিরমিযী, আবু হুরায়রা রাঃ)

সম্পদ রাখার হক কতটুকু সে সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আদম সন্তানদের জন্য বসবাসের একখানা ঘর, লজ্জাস্থান ঢাকার জন্য একখানা কাপড়, এক খন্ড রুটি, কিছু পানি ব্যাতিত আর কিছুই রাখার হক নেই। (তিরমিযী, উসমান রাঃ)

আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য নিয়মিত অর্থ কুরবানি করতে হবে।
মনে রাখতে হবে যে টাকা আল্লাহর পথে খরচ হচ্ছে সে টাকাই শুধু নিজের খাতে জমা হচ্ছে। বাকী টাকা ওয়ারিশের থেকে যাচ্ছে। তাই নিজের টাকা এখনই আখেরাতের একাউন্টে সঞ্চয় করে নিতে হবে।
দুনিয়ার কষ্ট হলে আখেরাতে লাভ হবে এ ফরমুলার এমন পরিমাণ অর্থ আল্লাহর পথে খরচ করতে হবে যাতে একটু কষ্ট টের পাওয়া যায়।
তাহলেই কষ্ট হবে যার বিনিময়ে আখেরাতে লাভ পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে নবী ও সাহাবীদের মাল কুরবানির ভূমিকাকে সামনে রাখতে হবে।
এক সাথে জান্নাতে যেতে চাইলে এ কাজে সারা জীবন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে যেতে হবে।
একটু কষ্ট করেই এ পথে অগ্রসর হতে হবে আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসার ৭৪ নম্বর আয়াতে বলেন:
আল্লাহর পথে সংগ্রাম তাদেরই করা উচিৎ যারা দুনিয়ার জীবনের সুখ সুবিধাকে আখেরাতের বিনিময়ে বিক্রি করতে পারে। এ আয়াতের আলোকে বলা যায় কিছু সুখ সুবিধা কুরবানী না করলে এ পথে চলা যাবে না। আল্লাহর পথে টাকা পয়সা খরচ করাল অর্থই সুখ সুবিধা কুরবানী করা।
কৃপণতা ও দূর্ব্যবহার এ দুটি স্বভাব মুমিনের হতে পারে না। গরীব হলে তার খরচ আল্লাহর কাছেই বেশী প্রিয়।
রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে বেশি পরিমাণে দেখেছি। জাহান্নাম থেকে বাচার জন্য তোমরা খরচ করো।” এ কথা শুনে মহিলারা টাকা পয়সা অলংকার দান করে নমুনা রেখে গেছেন।
হিসাব করে যাকাত বের করে দাও কবরে চলে গেলে যাকাতবিহীন সম্পদ আগুনে পরিণত হয়ে কপালে পার্শ্বদেশে ও পিঠে অনবরত ছেকা দিবে।
মাল সম্পদ খাবে সন্তানেরা আর আগুনের ছেকা খাবে তুমি। এটা হতে পারে না।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে ইসলামি দাওয়াতে আপনিও অংশগ্রহণ করুন। প্রিয় বন্ধুরা জানার স্বার্থে দাওয়াতি কাজের স্বার্থে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। হতে পারে আপনার একটি শেয়ার বহু মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।

2 thoughts on "অর্থ সম্পদ আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করা।"

  1. Avatar photo Rifat Author says:
    খুব ভালো পোস্ট
    1. Avatar photo Muhammad Rahad✅ Author Post Creator says:
      vlo post tbe ei postar jnne tk pacchina

Leave a Reply