আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন।

আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে



দাওয়াত সাদকায়ে জারিয়া


আখেরাতের জন্য সাদকায়ে জারিয়ে হিসেবে দাওয়াতী কাজকে গুরুত্ব দিতে হবে। আল্লাহর পথে দাওয়াত দান হচ্ছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ কাজ।
আল্লাহ পাকের ঘোষণা-
“তার কথার চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে যে, মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকে, নিজে আমল করে ও ঘোষণা দেয় যে আমি মুসলমান (আল্লাহ ছাড়া আর কারো হুকুম মানি না)।” (হা-মীম আস-সাজদা: ৩৩)

আখেরাতের প্রস্তুতির জন্য দাওয়াতী কাজটি খুবই সহায়ক। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
‘যিনি কাউকে কোন ভাল কাজের দাওয়াত দিবেন তিনি কাউকে কোন ভালো কাজের দাওয়াত দিবেন তিনি উক্ত ব্যাক্তির সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবেন’। দাওয়াতী কাজের মাধ্যমে এক ব্যাক্তিকে কুরআনের পাঠক বানানো হলে সে ব্যাক্তি কুরআন পাঠ করে যে সওয়াব লাভ করবে সমান পরিমাণ সওয়াব যিনি তাকে পাঠক বানাবেন তিনি লাভ করবেন। দা’য়ী বা আহবানকারী ব্যাক্তি মারা গেলেও তার এ সওয়াব তিনি পেতে থাকেবেন। এমনি ভাবে কাউকে নামাজী বানানো, কাউকে আল্লাহর পথে খরচকারী বানানো, কাউকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কর্মী বানানোর কাজে একইভাবে সওয়াব পাওয়া যাবে।

আল্লাহর দরবারে নেকীর কোন অভাব নেই। কারো নেকী কর্তন করে অন্যকে দেয়ার কোনই প্রয়োজন নেই। আল্লাহ তার অসীম ভান্ডার থেকে সওয়াব দিতে থাকবেন। যিনি যত বেশি লোকের কাছে দাওয়াত পৌছাতে পারবেন তিনি তত বেশী সওয়াব লাভ করতে থাকবেন। তার তত বেশী আখেরাতের প্রস্তুতি মজবুত হবে।

নিজের পরিবারে নিজেই দাওয়াতী কাজ করাও সাদকায়ে জরিয়া।
দাওয়াতী কাজে এ সওয়াব আখেরাতে পাওয়া যাবে। আমার সন্তানকে অন্য কেউ এসে দাওয়াত দিয়ে নামাজী বানালে, কুরআনের পাঠক বানালে, আল্লাহর পথে মাল খরচকারী বানালে নেকী তো সেই দাওয়াত দানকারী ব্যাক্তি পাবে। আমার পরিবারের সদস্যকে আমি যদি উল্লিখিত কাজগুলো করাতে পারি তবে সেটাই হবে আমার সফলতা। আখেরাতের এটিই আমার সাদকায়ে জারিয়া হবে। আমার অন্যান্য আমল বন্ধ হলেও দাওয়াতী কাজের এ সাদকায়ে জারিয়া আমি পেতে থাকব।

আমার সম্পদ থেকেও এমনভাবে দান করতে পারি যা আখেরাতে কাজে লাগবে। মৃত্যুর আগেই এ কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে হবে। করি করি করে হয়ত করা নাও হতে পারে। সে জন্য যত দ্রুত সম্ভব এখনই সম্পাদন করার কাজে লেগে যেতে হবে।

আমার দাওয়াত প্রাপ্ত ব্যাক্তি অন্য ব্যাক্তিকে সে ব্যাক্তি অপর কাউকে এমনিভাবে কিয়ামত পর্যন্ত দাওয়াতী কাজের প্রভাব চলতে থাকবে। সাদকায়ে জারিয়ার বড় ক্ষেত্র হচ্ছে দাওয়াত দা৭। আর সবচেয়ে সহজ পন্থায় দাওয়াতী কাজ পরিবারের সদস্যদের দিয়ে করা যায়। প্রতিদিন একসাথে খাওয়া দাওয়া চলাফিরা কথাবার্তা এসব কিছু দাওয়াতী কাজের টার্গেটে করলে কাজটি সহজ হয়ে যায়।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে ইসলামি দাওয়াতে আপনিও অংশগ্রহণ করুন। প্রিয় বন্ধুরা জানার স্বার্থে দাওয়াতি কাজের স্বার্থে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন। হতে পারে আপনার একটি শেয়ার বহু মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।

7 thoughts on "দাওয়াত সাদকায়ে জারিয়া।"

  1. Rifat Author says:
    স্যার পেমেন্ট কি একবারেই নিতে চাচ্ছেন ??
    বিকাশ নাম্বার টা দিন প্লিজ ।
    1. Muhammad Rahad✅ Author Post Creator says:
      আমার বিকাশ নেই নগদ আছে
    2. Muhammad Rahad✅ Author Post Creator says:
      কিন্তু আপনি পেমেন্ট এর কথা বললেন কেনো।
    3. Rifat Author says:
      Apni nogod account nom e den , apnar payment ta dewar bebostha korsi…
    4. Rifat Author says:
      Ak din a ato post kew kore !
    5. Muhammad Rahad✅ Author Post Creator says:
      01307938237
  2. Rifat Author says:
    মাশাআল্লাহ ! খুব সুন্দর পোস্ট ।

Leave a Reply