আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে



কুরআন ও রোজা সুপারিশকারী


আখেরাতে কুরআন ও রোজাকে সুপারিশকারী হিসেবে পাওয়া যাবে। বিপদে পড়লে মানুষ বাঁচার জন্য অনেক কিছুই তালাশ করে। দুনিয়ার জেলখানায় কেউ আটক হলে দেশের চেয়ারম্যান, এমপি, মন্ত্রী ইত্যাদি সুপারিশকারীর সুপারিশ নিয়ে বের হবার চেষ্টা করে। কিন্তু আখেরাতের আদালতে কে সুপারিশ করবে?
প্রচলিত ধারণায় পীর দরবেশকে সুপারিশকারী মনে করা হয়। এটা এক ধরণের শিরক ও বিদআত। কারণ আল্লাহর অনুমুতি ছাড়া কেউ সুপারিশ করতে পারবে না। কুরআন মাজিদে বলা হয়েছে সুপারিশ করা তো দুরের কথা আল্লাহর অনুমুতি ছাড়া কেউ মুখ খুলতে পারবে না।
সূরা নাবা ৩৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ
“রহমান আল্লাহর অনুমুতি ছাড়া তার কথা বলতে পারবে না।” (সূরা নাবা: ৩৮)
সেদিন তো মুখ বন্ধ করে দেয়া হবে, “আল ইয়াওমা নাখতিমু আলা আফওয়াহিহিম” (সূরা ইয়াসীন: ৬৫) হাত, পা, চোখ, কান, চামড়া সাক্ষি দিবে এবং তারাই কথা বলবে। তাই নিজেই নিজেকে নিয়ে সেদিন সকলে চিন্তিত থাকবে। অন্যের দশা কি হলো এটা মাথায় আসবে না। তবে কুরআন ও রোজা সুপারিশ করবে। কুরআন বলবে আমাকে সে ঘুম কামাই করে পড়েছে। তার জন্য আমার সুপারিশ কবুল কর- আল্লাহ তায়ালা সুপারিশ কবুল করবেন। সুবহানআল্লাহ। অনুরূপভাবে রোজার সুপারিশও আল্লাহ কবুল করবেন। রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
“কুরআন হয় পক্ষের দলীল হবে, নয় বিপক্ষের দলীল হবে।”
পৃথিবীকে সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী চালানোর জন্য। কুরআন হচ্ছে আল্লাহর হুকুমের কিতাব। সবচেয়ে শক্তিশালী(Most Powerful) কিতাব। এ কিতাব মুখ খুলবে। আখেরাতের প্রতিটি ঘাঁটিতে কুরআনের সাথে দেখা হবে। কুরআন যদি হয় আপনার প্রিয়বন্ধু, পথের সাথী ও জীবনের সঙ্গী তাহলে সকল স্থানে তার সুপারিশ আপনার পক্ষে কাজে লাগবে।
আর যদি কুরআন থেকে বিমুখ থেকে থাকেন সকল স্থানে আপনার বিরূদ্ধে কুরআন কথা বলবে। ধ্বংস থেকে বাঁচতে পারবেন না। তাই কুরআনকে বন্ধু বানাতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে উক্ত কথাগুলোর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন।আমিন।

Leave a Reply