আখেরাতের প্রস্তুতি নিয়ে
কিয়ামতের প্রথম হিসাব
কিয়ামতে প্রথমেই নামাজের হিসাব হবে। যে নামাজের হিসাব দিতে পারবে অন্যান্য হিসাব তার জন্য সহজ হয়ে যাবে। যে নামাজের হিসাব দিতে ব্যর্থ হয়ে যাবে সে পরবর্তীতে সকল হিসাবেই ব্যর্থতার পরিচয় দিবে।
যদি ফরজ নামাজে ঘাটতি দেখা যায় তবে আল্লাহ তায়ালা বান্দাহর অন্য কোনো নামাজ যেমন সুন্নাত, নফল দ্বারা তা পূরণ করার জন্য ঘোষণা দিবেন। আরশের ছায়া প্রাপ্ত সাত শ্রেণীর মধ্যে এক শ্রেণী হবে যাদের অন্তর মসজিদের সাথে লেগে থাকে।
ব্যাক্তি পর্যায়ে নামাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও নামাজ চালু করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া অখেরাতের প্রস্তুতির জন্য অন্যতম কাজ। সূরা হজ্জ ৪১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তাদেরকে জমিনে ক্ষমতা দিলে নামাজ কায়েম করে, যাকাত চালু করে, ভালো কাজ চালু করে ও মন্দ কাজ বন্ধ করে। আল্লাহর প্রতিবেশী তারাই হবে যারা মসজিদসমূহ আবাদ করত ও কুরআন তেলাওয়াত করত।
মাফ করে দাও, মাফ চাও
সূরা আ’রাফের ১৯৯ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
“নম্রতা ও ক্ষমতাশীলতার নীতি অবলম্বন কর, মারুফ কাজের হুকুম দাও, জাহেল লোকদের থেকে দূরে থাকো।” (সূরা আ’রাফ: ১৯৯)
অধীনস্থ লোকের কৃত অপরাধ ও তাদের উপর মালিক কর্তৃক আরোপিত শাস্তি আল্লাহ তায়ালা বিচারের দিন পরিমাপ করবেন। যদি উভয়ের কাজ সমান সমান হয় তবে কারো নিকট থেকে কোনো নেকী নেওয়া হবে না। অথবা কাউকে কোনো পাপও দেওয়া হবে না। কিন্তু যদি অপরাধের চেয়ে শাস্তি বেশী হয়ে যায় তবে তার বিনিময় ঊর্ধ্বতনের কাছ থেকে আদায় করে অধীনস্থকে দেওয়া হবে। তাই শাস্তি দেওয়ার চেয়ে মাফ করে দেওয়া নিরাপদ আখেরাতে এটা কাজে লাগবে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে উক্তকথাগুলোর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন।আমিন।