আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,ইফতারের খাবার বাছাই এর সচেতন কেন থাকবেন ও কেন লক্ষ্য রাখবেন। চলছে মাহে রমযান মাস, প্রাপ্ত বয়স্ক আমরা প্রায় সব মুসলমান রোযা রেখে থাকি। ইফতারের সময় আমরা অনেক খাবার না জেনে খেয়ে থাকি। না জেনে এমন খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে।এই গরমে সারাদিন রোযা রাখার পর যদি ক্ষতিকর খাবার আমরা খাই,তাহলে আমাদের শরীর আরো খারাপ হয়ে যাবে।তাই আমাদের ইফতার এর সময় খাবার বাছাই এর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এবং পুস্টিকর ও শুষম খাবার ইফতার এর তালিকায় রাখতে হবে। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক,ইফতার এর সময় খাবার বাছাই এর দিকে লক্ষ্য রাখার ও সচেতন থাকার কারনঃ

আমরা বিরিয়ানি,তেহারি ও নানা ভাজা খাবার খেয়ে থাকি। কিন্তু সারাদিন রোযা রেখে এসব খাবার খাওয়া আমাদের স্বাস্থ এর জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই আমাদের উচিৎ ইফতার এর সময় এমন খাবার পরিহার করা ও পুস্টিকর ও ভাজা পোড়া খাবার পরিহার করা।

১) পেট ঠান্ডা থাকে এমন খাবার খেতে হবে।কারন এই গরমে অস্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের দেহের জন্য খুব ই ক্ষতিকর। তাই পেট ঠান্ডা রাখে এমন খাবার যেমনঃদই,চিড়া,মুড়ি,দুধ এসব খাবার খেতে হবে।এবং ভাজা খাবার পরিহার করতে হবে।

২) ইফতার এর সময় বিশেষ করে আঁশজাতীয় ফল খেতে হবে। কারন এই আশ জাতীয় খাবার দেহের জন্য অত্যান্ত উপকারী। এই সময় চা বা কফি বা কোমল পানীয় এ ধরনের খাবার পরিহার করতে হবে। না হলে শরীর এর অনেক ক্ষতি হতে পারে। চা ও কফি পানি শূন্যতা সৃষ্টি করে।

৩) ইফতারের তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন। কারন খেজুর এর উপকারিতা আছে।খেজুর রক্তের সর্কার পরিমান বাড়িয়ে দেয়।এই খেজুর ওর কোনো প্রকার প্বার্শপ্রতিক্রিয়া নেই। এই খেজুর হজমের ও প্রচুর সাহায্য করে। তাই ইফতার এর তালিকায় খেজুর রাখতে পারেন।অস্বাস্থ্যকর খাবার রাখা যাবে না।

৪) ইফতারে অবশ্যই তেল বা ভাজা জাতীয় খাবার রাখা যাবে না। শুধু তেল বা ভাজা জাতীয় খাবার না, মিস্টি জাতীয় খাবার ও ইফতার এর তালিকায় রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।তবে হালকা মিস্টি জাতীয় খাবার রাখা যাবে। মিস্টি জাতীয় খাবার বেশি রাখা যাবে না।

৫) ইফতারের সময় পানির চাহিদা পুরন করে এমন খাবার রাখতে হবে। কারন সারাদিন রোযা রাখার ফলে পানিশূন্যতা দেখা দেয়।ফলের রস, শরবত এগুলো রাখা যেতে পারে,এগুলো পানিশূন্যতা দূর করে।তবে জুস বা কৃত্তিম রঙ মিশানো কোনো পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।এবং বেশি পানি পান করা উচিৎ না।

৬) ইফতারে ছোলা রাখতে পারেন।কারন ছোলা খেলে অনেক উপকার পাবেন। ছোলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যায়। এবং কোনো অস্বাস্থ্যকর খাবার ই ইফতার এর তালিকায় রাখা যাবে না।

৭) ইফতার এর তালিকায় রাখতে পারে লেবুর শরবত, তোকমার শরবত, ইসবগুল ও বা ঘরে তৈরি ফলের রস। এগুলো খেলে শরীর এর পানি শূন্যতা ঘাটতি পুরন হবে। তাই আজে বাজে কিছু ইফতার এর তালিকায় রাখা যাবে না।

৮) সবজি ও সালাত রাখবেন ইফতার এর তালিকায়, কারন এগুলো আমাদের শরীরের কোনো ক্ষতি করে না , বরং শরীরের পুস্টি যোগান দেয়।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ

Leave a Reply