আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
শুক্রবারে মারা যাওয়া কিসের লক্ষণ….?
জুম্মার দিন যদি কারো মৃত্যু হয় তাহলে এই মৃত্যুর বিশেষ কোনো ফায়দা বা ফযিলত বা মর্যাদা রয়েছে কিনা….? আজকে আমরা সেই বিষয়টি জানার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। এই বিষয়ে রাসূলে পাক (সাঃ) থেকে বেশ কিছু হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
তারমধ্যে থেকে একটি হাদিস তিরমিজি শরিফে বর্ণিত হয়েছে যায় ভাষা হলো এরকম, কোনো মুসলিম যদি জুম্মার দিনে অর্থাৎ শুক্রবারে মৃত্যুবরণ করেন অথবা জুম্মার রাতে মৃত্যুবরণ করেন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে মৃত্যুবরণ করেন তাহলে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে কবরের যে ফেতনা পরীক্ষা বা আজাব তা থেকে হেফাজতে রাখেন।
হাদিসটি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে তিনি বলেন → নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন → যেকোনো মুসলমান জুম্মার দিনে অথবা রাতে মৃত্যু বরণ করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের ফিতনা থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। (মুসনাদে আহমদ ১১/১৪৭ তিরমিজি হাদিস নাম্বার ১০৭৪)
এই হাদিস থেকে আমরা স্পষ্ট জানতে পরলাম যে শুক্রবার দিনে অথবা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তাঁর মানে হলো বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা হলে সূর্য ডুবে গেলে তখন থেকে নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত এই সময়ে মধ্যে কোনো মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যু হলে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে বিশেষ মর্যাদা দিয়ে থাকেন তাঁকে কবরের আজাব থেকে ফেতনা থেকে মুক্তি লাভ করিয়ে থাকেন।
আর কেউ যদি কবরের আজাব এবং ফেতনা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন, কবরের বিষয়টি তাঁর দুনিয়াবি কাজের জন্য এবং তাঁর কবরের প্রশ্নোত্তরের বিষয়টি পরিক্ষার বিষয়টি যদি কোন ব্যক্তির সহজ হয়ে যায় তাহলে কেয়ামতের তথা হিসাবের দিনের হাশরের দিনের যে হিসেব নিকাশ তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে সেটি আরো অনেক বেশি সহজ হয়ে যাবে এটাও আশা করা যায়।
কারণ এই বিষয়ে তিরমিজি এবং ইবনে মাজাহ বর্ণিত হাদিসে উসমান ইবনে আওফান (রাঃ) বলেন → রাসূল (সাঃ) বলেছেন → কবর হলো আখিরাতের ঘাটি গুলোর ভিতরে প্রথম ঘাটি।এই ঘাঁটিতে যদি কারোর জন্য প্রশ্নোত্তরকে সহজ করে দেওয়া হয় এই ঘাটির পরিক্ষা যদি কারোর জন্য সহজ করা হয় কবরের ঘাঁটিতে যদি কেউ বড় কোনো বিপদে না পড়েন অর্থাৎ সহজেই পার পেয়ে যান তাহলে পরবর্তী ধাপ গুলোতে ও তিনি সহজেই উত্তির্ন হতে পারবেন সেই আশা করা যায় ইনশাআল্লাহ। ( সূত্রঃ শায়খ নাসিরুদ্দিন আলবানী রহ. আহকামুল জানাইয গ্রন্হ পৃষ্ঠা ৫০ বঙ্গানুবাদ মিশকাত ১২৫ হাদিস সহীহ)
আর যদি কবরের ঘাঁটি কারো জন্য কঠিন হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী যে ধাপগুলো রয়েছে সে ধাপগুলো কারো কঠিন হবে ( তিরমিজি ২৩০৮)
এই সকল হাদিসের আলোকে জুম্মার দিনে কারোর মৃত্যু হলে সেটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো আলামত। অর্থাৎ বলা যায় সেই ব্যক্তি ভালো মৃত্যু বরণ করলেন। এবং এর ফলে তার আখিরাতের প্রতিটি ধাপ তারজন্য সহজ হবে আশা করা যায়।
তবে হ্যাঁ কোনোভাবেই আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারিনা যে জুম্মার দিনে কেউ মৃত্যু বরণ করলে তিনি সরাসরি জান্নাতে যাবেন। তবে সেই মৃত ব্যক্তির জন্য আমাদের মনে সুধারণা রাখা যেতেই পারে।
সুতরাং জীবদ্দশায় ভালো মৃত্যুর জন্য যে আমল গুলো আছে যে আমল গুলো করলে আমরা ভালো মৃত্যু লাভ করতে পারি সে আমল গুলো করতে হবে সবসময় তাকওয়ার উপর চলতে থাকা, ঈমানের উপর চলতে থাকা ভালো কাজের উপর নিজেকে গড়ে তোলা এবং নিজেকে সৎ কাজে নিয়োজিত রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে আমাদের।
এবং আল্লাহ তায়ালা নিকট খাস করে দোয়া করতে হবে আল্লাহ যেনো আমাদের খারাপ মৃত্যু না দেন যেমন একটা মৃত্যু উদাহরণ হলো আকস্মিক মৃত্যু বরণ করা। সেটা হতে পারে কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে। এক্ষেত্রে যিনি আকস্মিক মৃত্যু বরণ করেন সে ব্যক্তি তওবা করার শেষ সুযোগটা হারায়।
যেমন কেউ যদি এমনিতে ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরণ করে অথবা মৃত্যু বরণের পূর্বে কিছুটা সময় পায় সেক্ষেত্রে এই ব্যক্তি আল্লাহ কাছে তওবা করার সুযোগ পেতে পারে।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে মৃত্যুর সময় যেন কালেমা পড়ার তৌফিক দান করেন এবং আমরা যেন মৃত্যুর আগে তওবার সুযোগ পাই সেজন্য প্রতিদিন আমাদের ৭০ থেকে ১০০ বার ইস্তেগফার পড়তে হবে। তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহ কাছে সাহায্য চাইতে হবে তওবা করতে হবে। আল্লাহ যেন আমাদের তৌফিক দান করেন আমিন।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি
2 thoughts on "শুক্রবারে মারা যাওয়া কিসের লক্ষণ….? এই দিনে মারা গেলে কবরের আজাব কেন হয়না…?"