আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

ঘুম থেকে উঠে রাসুল (সাঃ) যে ৫টি কাজ করতে নিষেধ করেছেন

ঘুমের সময় জীবনটা কেমন যেন থেকে থাকে। ঘুম থেকে উঠেই জীবনের গতি শুরু হয়।এই শুরুটা যেন ঠিকঠাক হয় সে জন্য ঘুম থেকে উঠার পরেও কিছু আয়োজন থাকে। এক্ষেত্রে নবী করীম (সাঃ) এর কিছু নির্দেশনা ও আদর্শ আছে। এবং ঘুম থেকে উঠে ভুলেও এই পাঁচটি কাজ করবেন না তো চলুন জেনে নেই সেই পাঁচটি কাজ কি…

এক নাম্বারঃ ঘুম ভাঙ্গার পর অলসতা করা যাবেনা। বর্তমানে আমাদের একটি বাজে অভ্যাস হয়ে দাড়িয়েছে যে মানুষ ঘুম ভাঙ্গার পর মোবাইল নেয় টাইম দেখতে। কিন্তু টাইম দেখার পর মোবাইলটা রেখে না দিয়ে মোবাইল ঘাটাঘাটিতে ব্যস্ত হয়ে যাই।যার ফলে আমাদের দেহে অলসতা যেকে বসে। এমরকি আমাদের ফজরের নামাজ ক্বাজাও হয়ে যায়। তাই এই কাজটি করা যাবে না।

এজন্য ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম করণীয় এবং রাসূল (সাঃ) এর নির্দেশ হলো হাত দিয়ে চেহারা থেকে ঘুমের প্রভাব দূর করা। ( বুখারী হাদিস ১৮৩)

এবং হাদিসে আরো এসেছে, হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ আমি আমার খালা মাইমুনার বাড়িতে রাত কাটালাম দেখলাম নবী করীম (সাঃ) ঘুম থেকে উঠে ঘুম দূর করার জন্য চেহারায় হাত বুলিয়ে নিচ্ছেন। ( বুখারী হাদিস নাম্বার ৪৫৭)

বস্তুত দেরী করে ঘুম থেকে উঠলে বা ঘুম ভাঙ্গার পর অলসতা করে শুয়ে থাকলে সময়ের বরকত হয় না। অলসতা ও ক্লান্তির সৃষ্টি হয়।এবং নামাজ ছুটে যাওয়ার আশংকাও তৈরি হয়।

দ্বিতীয় নাম্বারঃ ঘুম থেকে উঠে কোনো কথা না বলে সর্বপ্রথম আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা।অর্থাৎ ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়তে হবে। প্রিয় নবী করীম (সাঃ) আল্লাহর প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা একটি দোয়া পড়তেন। হযরত হুজায়ফা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসূল (সাঃ) রাতে যখন শয্যায় যেতেন গালের নাবালে হাত রাখতেন।

তারপর বলতেন → “আল্লাহুম্মা বিইছমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।”

আর যখন ঘুম থেকে উঠতেন, তখন বলতেন

বস্তুত ঘুম কিছুটা সাময়িক মৃত্যুর মতোই। এই সাময়িক মৃত্যুর পর আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। বস্তুত তিনিই তো আমাদের আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার তৌফিক দেন। শারীরিক সুস্থতা দান করেন।

প্রকৃত পক্ষে ঘুম তো মানুষের সামনে জীবন মৃত্যু ও সুস্থতার বাস্তবতা প্রকাশ করে এর থেকে শিক্ষা গ্রহনের প্রেরণা যোগায়। তাই ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়তে ভুলবেন না।

তৃতীয় নাম্বারঃ মুখ পরিস্কারের জন্য ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করা আবশ্যক। হুজায়ফ রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন → নিশ্চয়ই রাসূল (সাঃ) রাতে ঘুম থেকে জাগার পর মিসওয়াক দ্বারা নিজের পবিত্র মুখ ও হাত পরিস্কার করতেন।( আবু দাউদ ৫৫)

অথচ আজকাল আমাদের আধুনিক সমাজের তথাকথিত সভ্য মানুষ গুলো মেসওয়াকের গুরুত্ব প্রায় ভুলতে বসেছে। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন → ঘুম থেকে উঠে তিনবার হাত না ধুয়ে পানির পাত্রে হাত দিও না। ( মুসলিম ১৬২)

তিনি আরো বলেন → তোমাদের কেউ ঘুম থেকে উঠলে আযু করো এবং তিনবার নাক পরিস্কার করো।( বুখারী ৩২৯৫)

ইসলাম পরিচ্ছন্নতা ও পরিশিলতার ধর্ম।ঘুম থেকে ওঠে প্রথমেই মেসওয়াক করার মাধ্যমে মুখ পরিচ্ছন্ন করে নিবে।কেননা মুখে খাদ্যকনা লালা ইত্যাদি জমে থাকে৷ এতে দূগন্ধ ও জীবাণুর সৃষ্টি হয়।

চতুর্থ নাম্বারঃ ঘুম থেকে ওঠে আজু করতে ভুলবেন না। এবং গোসল ফরজ হলে গোসল করে নেবেন।

পঞ্চম নাম্বারঃ জামাতের সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করবে। হাদিস শরিফে এসেছে, যে ব্যাক্তি এশা ও ফরজ জামাতের সঙ্গে পড়ল সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল। ( মুসলিম ৬৫৬)

আর সম্ভব হলে শেষরাতে উঠে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করবেন। তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করলে কুপ্রবৃত্তি দমন ও শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ইরশাদ হয়েছে → অবশ্যই দলনে রাত্রিকালীন উত্থান প্রবলতর এবং বাকস্ফুরণে সঠিক হয়। ( সূরা মুজ্জাম্মিল আয়াত ৬)

অর্থাৎ উচ্চারণ সঠিক হয় ও দেহের শক্তি পূর্ণ থাকে, যখন তাড়াতাড়ি ঘুমানোর পর শেষ রাতে ওঠে তাহাজ্জুদ পড়া হয়।

অর্থাৎ আজকের আলোচনার মূল সারাংশ হলোঃ ১.ঘুম থেকে উঠে অযথা মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকবেন না। ২. ঘুম থেকে উঠে দোয়া পড়তে ভুলবেন না। ৩.ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করতে ভুলবেন না। ৪. ঘুম থেকে ওঠে অযু করতে ভুলবেন না এবং গোসল ফরজ হলে ফরজ গোসল করে নিবেন। ৫. জামায়াতে ফজরের নামাজ পড়বেন এবং অবশ্যই সময়ে মতো নামাজ পড়ে নিবেন এবং সম্ভব হলে একটু আগে ঘুম থেকে ওঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে নিবেন।

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি

3 thoughts on "আসুন সবাই জেনে নেই ঘুম থেকে উঠে রাসুল (সাঃ) যে ৫টি কাজ করতে নিষেধ করেছেন"

    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ?
  1. tanvirtheboss Subscriber says:
    হাগা যাবে?

Leave a Reply