আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

স্ত্রীর এই ৩টি গুন থাকলে আপনি সৌভাগ্যবান

সংসার জীবনে স্ত্রী বলা হয় অর্ধাঙ্গিনী।স্বামী স্ত্রী দুজন মিলেই গড়ে উঠে পরিপূর্ণ সংসার। আর এই সংসার জীবন তখনই সুখ ও শান্তিপূর্ণ করে তুলবে যখন দুজনের ভূমিকা থাকবে। স্ত্রী জীবনে স্বামী যেমন গুরুত্বপূর্ণ স্বামীর জীবনেও তাই স্ত্রী গুরুত্ব অনেকটাই।স্ত্রীর যদি বিশেষ কিছু গুণ থাকে তবে স্বামী হিসেবে আপনি পরম সৌভাগ্যবান।

জেনে নিন এমন তিন প্রকার স্ত্রীর বিষয়ে অথবা স্ত্রীর তিনটি গুণের বিষয়ে যা আপনার স্ত্রীর মধ্যে থাকলে আপনিও মহাভাগ্যবান।

প্রথম নাম্বার হলোঃ পরিচ্ছন্ন মনোভাবের স্ত্রী।পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ এই কথাটি আমরা সবাই জানলেও আমরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বলতে শুধু বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতাকেই জানি।কিন্তু একটা মানুষ বাহ্যিকভাবে যতটা পরিচ্ছন্ন থাকাটা জরুরী তেমনি ভাবে অন্তরেও পরিচ্ছন্নতা দরকার।

আর কোন স্ত্রী যদি বাহ্যিক পরিচ্ছন্নতার সাথে সাথে অন্তরের দিক থেকেও পরিচ্ছন্ন থাকেন তাহলে নিশ্চিতভাবে সেই স্ত্রীর স্বামী মহা সৌভাগ্যবান।কারণ বেশীরভাগ স্ত্রীরা সাধারণত তুলনামূলক হিংসুটে এবং খুঁতখুঁতে স্বাভাবের হয়ে থাকেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কিছু কিছু স্ত্রী আছেন যাদের ভেতর বাহির একই রকম।

অর্থাৎ যারা নিজের পিতামাতার আর স্বামীর পিতামাতার মধ্যে তফাৎ করেন না। তারা স্বামীর সংসারকে একান্ত নিজের সংসারই মনে করেন।বিয়ে মানেই প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য নতুন একটি পরিবারে আগমন। বিবাহের পর সব মেয়েকেই তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে চলে আসে।

নতুন ভাবে চলতে হয় সেখানে। যে স্ত্রী নতুন বাড়িতে এসে নতুন পরিবারকে আপন করে নেন।নতুন পরিবারের সবকিছুর সঙ্গে মিলেমিশে থাকেন, তিনি গুনবতী স্ত্রী । তাই তার স্বামী সত্যিই ভাগ্যবান।আর স্বামীদেরকেও সেই স্ত্রীর জন্য অবশ্যই উত্তম স্বামী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে।

হযরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে বর্ণিত’ নবী করীম (সাঃ) বলেছেন → তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম,আর আমি তোমাদের মধ্যে আমার স্ত্রীদের নিকট সর্বোত্তম ব্যক্তি। ( ইবন মাযাহ ১৯৭৭, তিরমিজি হাদিস নাম্বার ৩৮৯৫)

দ্বিতীয় নাম্বার হলোঃ স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজেকে সংযত রাখা। আল্লাহ তায়ালা বলেন → তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চারিত্রিক পবিত্রতাসম্পন্ন হবে, ব্যভিচারিণী হবেনা এবং গোপনে কোনো অবৈধ সম্পর্ক স্হাপনকারিনী হবেনা। ( সূরা নিসা আয়াত ২৫)

এ আয়াতে ব্যাখ্যায় হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন → জাহিলি যুগের লোকেরা প্রকাশ্যে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়াকে হারাম মনে করত,কিন্তু গোপনে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়াকে হালাল মনে করত।

এই প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে আয়াত নাযিল করলেন, তোমরা প্রকাশ্যে হোক, অপ্রকাশ্যে হোক কোনো রকম অশ্লীল কাজের নিকটেও যেওনা। ( সূরা আনআম ১৫১; তাফসীরে তাবারি হাদিস নাম্বার ৯০৯৫,৯০৭৬,৪/২২)

হযরত আবু উমামা (রা.) হতে বর্ণিত নবী করীম (সাঃ) বলেছেন → কোনো মুমিনের জন্য আল্লাহর তাকওয়া অর্জনের পর নেককার স্ত্রীর চেয়ে কল্যাণকর কিছু নেই। কারণ স্বামী তাকে আদেশ করলে সে আনুগত্য করে, তার দিকে দৃষ্টিপাত করলে সে (স্বামী) মুগ্ধ হয়।তাকে নিয়ে শপথ করলে সে তা (শপথকৃত কর্ম) পূরণ করে। স্বামীর অনুপস্থিতিতে নিজেকে (অন্যায়-অপকর্ম অশ্লীলতা থেকে) নিজেকে হেফাজত করে এবং স্বামীর সম্পদ সংরক্ষণ করে। ( সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বার ১৮৫৭)

এ প্রসঙ্গে রাসূলে পাক (সাঃ) আরো বলেন → পার্থিব জগৎটাই হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্তু। আর পার্থিব জগতে সর্বোত্তম সম্পদ( বা সর্বোত্তম উপভোগের বস্তু বা মহা সৌভাগ্যের বিষয় হলো) সতীসাধ্বী নারীকে স্ত্রী হিসেবে পাওয়া। ( সহিহ মুসলিম হাদিস নাম্বার ১৪৬৭; মুসনাদে আহমাদ হাদিস নাম্বার ৬৫৬৭; সহিহ ইবনে হিব্বান হাদিস নাম্বার ৪০৩১)

তৃতীয় নাম্বার হলোঃ মিষ্টভাষী স্ত্রী এবং যে নারী স্বামীকে শ্রদ্বা করেন। কথায় আছে মুখের কথা দিয়েই বিশ্বজয় করা যায়। তবে তা হতে হবে ইতিবাচক। যে স্ত্রী সবার সাথে খুব ভালোভাবে কথা বলেন, কারো সাথে (স্বামী শ্বশুর শ্বাশুড়ি) খারাপ ব্যবহার করেন না, সবার সাথে মিষ্টিভাবে কথা বলেন তিনি বিশেষ গুণের অধিকারী। আর তার স্বামী যে খুবই সৌভাগ্যবান তা নিশ্চিত বলা যেতে পারে। আবার যে স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা রাখেন এবং তার নির্দেশ মেনে চলার চেষ্টা করেন, তার স্বামীও খুবই সৌভাগ্যবান।

যে স্ত্রী স্বামীর কথা গুরুত্ব সহকারে নেন, সেই স্বামীকে সৌভাগ্যবান মনে করা উচিত। একদা একবার নবী করীম (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হলো, নারীদের মধ্যে কোন নারী উত্তম..? তিনি বললেন → স্বামী যাকে দেখলে আনন্দবোধ করে, যাকে আদেশ করলে আনুগত্য করে, স্ত্রীর বিষয়ে এবং সম্পদের ব্যাপারে স্বামী যা অপছন্দ করে তা থেকে বিরত থাকে। ( মুসনাদে আহমাদ হাদিস নাম্বার ৭৪২১; সুনানে নাসায়ী, কুবরা হাদিস নাম্বার ৮৯৬১)

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি

Leave a Reply