আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

রোগ ব্যাধি বান্দার জন্য যেমন পরীক্ষা তেমনি তা আল্লাহর আজাব গজবেরও ইঙ্গিত বহন করে।জানা অজানা অনেক কঠিন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় মানুষ। এসব রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হচ্ছে মহান আল্লাহর তাসবিহ ও তার কাছে ধরনা দেয়া। সব সময় আল্লাহর প্রশংসা ও গুনকীর্তন করা আল্লাহর শ্রেষ্টত্বের সাক্ষ্য দেওয়া।

জ্বর, কাশি,মহামারী, মাথাব্যথা, দুঃচিন্তা, কুষ্ঠ, অন্ধত্ব, পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগ ব্যাধিসহ জটিল ও কঠিন অজানা অচেনা সব রোগ ব্যাধির চিকিৎসায় মহান আল্লাহর তাসবিহ এবং দোয়া পড়ার মধ্যে রয়েছে শান্তি ও মুক্তি।

আজকে আপনাদেরকে মাত্র তিন শব্দের একটি ছোট্ট দোয়া শেয়ার করবো, সকালে ফজরের নামাজ শেষ করে অর্থাৎ দিনের শুরুতে এই দোয়াটি ১০০বার পড়বেন। আর সকালে পড়তে ভুলে গেলে যেকোনো সময় পড়ে নিবেন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা আপনাদেরকে যাবতীয় বিপদ আপদ, অনিষ্ট, রোগ ব্যাধি ইত্যাদি থেকে পরিত্রাণ দিবেন।

রাসূল (সাঃ) বলেছেন → যে ব্যক্তি সকালে ঘুম থেকে জেগে উঠে ১০০ বার ছোট্ট দোয়াটি পড়বে এবং সন্ধ্যায় উপনীত হয়েও অনুরূপ বলবে আল্লাহ তাঁকে সুস্থ রাখবেন, তাঁকে রোগ ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ করবেন, সৃষ্টিজগতে আল্লাহ তার মর্যাদা সম্মান ইত্যাদি বাড়িয়ে দিবেন। এবং সে ব্যক্তি বেশি বেশি নেকী ও সাওয়াব অর্জন করতে পারবেন।দোয়াটি এসেছে আবু দাউদ শরীফে ৫০৯১ নাম্বার হাদিসে এবং মুসনাদে আহমাদ ২০৮১৩তে।

মনে রাখতে হবে সুস্হতা ও অসুস্থতা দুটোই মহান আল্লাহ পক্ষ থেকে হয়ে থাকে।তাতে আনুগত্য ও নাফরমানি কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের নবী করীম (সাঃ) অসুস্থ হয়েছেন। যাঁরা ছিলেন সব মাখলুকের সেরা। রাসূল (সাঃ) সব পয়গম্বরের চেয়ে শ্রেষ্ট অথচ তিনিও কয়েকবার অসুস্থ হয়েছেন।

তাঁকেও অসুস্থতার কষ্ট বরদাশত করতে হয়েছে। এটি আবশ্যক নয় যে অসুস্থতা আল্লাহর শাস্তি ও তাঁর অসন্তুষ্টির দলিল। অসুস্থতা আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষস্বরূপও হতে পারে। এবং মুমিনের জন্য তার গুনাহর কাফফারাও হতে পারে।

নবী করীম (সাঃ) বলেছেন→ সত্যের নিকটবর্তী থাকো এবং সরল সোজা পথ অবলম্বন করো। মুমিনের যে কষ্টই হোক না কেন এমনকি!তার গায়ে যদি কোনো কাঁটা বিঁধে বা সে কোনো বিপদে পতিত হয় সব কিছুই তার গুনাহর কাফফারা হয়। ( তিরমিজি হাদিস নাম্বার ৩০৩৮)

অসুস্থতার মাধ্যমে মুমিন বান্দার স্তর উন্নত হয়।অসুস্থতাকে অশুভ নিদর্শন হিসেবে গ্রহন করা উচিত নয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন→মহান আল্লাহ যার মঙ্গল চান তাকে দুঃখ কষ্টে ফেলেন।( বুখারী হাদিস নাম্বার ৫৬৪৫)

তাই প্রিয় পাঠক রোগ শোক বিপদে অধৈর্য না হয়ে বেশি আল্লাহর নিকট সাহায্য চান এবং আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি ও প্রশংসার মাধ্যমে তাঁর প্রিয় বান্দা হয়ে উঠুন।

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি

Leave a Reply